নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Ashraful Alam Khan Pranto
বৈশাখের দিন। আকাশে হপ্তাখানেক পরে মেঘ করেছে। তবে বৈশাখের রোদ্রঝড়ের পর কালবোশেখী নয়। শরতের হঠাৎ বৃষ্টির মতো মেঘ।
পাড়াগায়ে নতুন ব্যাংক, সবুর মিয়া সেই ব্যাংকের সেনাপতি। তিনিও গোটা সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির জন্য সবুর করছেন। ওনার সঙ্গী চকচকে দোনলা বন্দুকটাও সবুর করছে, একটু গর্জানোর জন্য! বন্দুকটার ট্রিগার কতদিন টানা হয়নি কে জানে?
কোনদিন টানা হয়েছিলো কি?
এখন ধানের দিন। বৃষ্টি হবে না।
সবুর মিয়া হাতপাখায় হাত রেখে নিরবে আফসোস করেন। গত দশ বছর ঢাকাতে, এই ব্যাংকের অন্য শাখায় ছিলেন। সেখানে গোলাগুলি দূরে থাক, বন্দুক সমেত তিনি আরাম করে গদি দুলিয়েছেন, আর ঝিমিয়েছেন।
কায়দা করে সালাম ঠুকতে পারেন দেখে বড় সাহেবেরা সবুর মিয়াকে ভালো করে চিনতেন। চেনাটাই কাল হলো। বন্দুক বগলে তিনি নির্বাসিত হলেন তিনি নতুন শাখায়। চোর ছ্যাচড়ের সাহসী ভূমিতে সবুর মিয়া খুব অসহায় বোধ করছেন।
হাতাহাতিতে তার ভয় নেই। তিনি সজাগে স্বপনে খালি ভাবেন- কতদিন বন্দুক চালানো হয়না!
হাতের টিপ কি আগের মতো আছে? এই বন্দুকটা সময় হলে, দৈত্যের মতো ডাক দিয়ে, এক ফুঁকে কি বের করতে পারবে, জ্বলন্ত গুলি?!
সহজলভ্য দেশীয় অস্ত্র মোকাবেলা করার পূর্বপ্রস্তুতি জনিত চিন্তা, এক আতঙ্কের চাদরের মতো সবুর মিয়াকে আচ্ছাদিত রাখে। তিনি ভেবেছেন, এভাবে বাঁচা যায়না। কালকেই তিনি ট্রান্সফারের মিনতি করবেন।
মেঘের মাদুর আকাশ আস্তে আস্তে ঢেকে সংকেতে দিচ্ছিলো...এমন দিনেই ব্যাংক ডাকাতি হয়!
সমাপ্তি
ছবি: আমাদের ছোট্ট বারান্দা থেকে মোবাইলে তোলা
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সত্যি?! ধন্যবাদ ভাইয়া
১ম থৃলার
২য় থৃলার
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্প পড়ে মনে হলো আপনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, সবুর মিয়া ১০ বছর ধরে গুলি চালায় না। কিন্তু তার পোস্টিং হয়েছে এমন জায়গায় যেখানে ডাকাতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং ডাকাত সামনে এলে সে যে গুল চালাতে পারবে সে ব্যাপারে সে শিওর না। এই গুলি চালানো এড়ানোর জন্যই সে পোস্টিং এর জন্য মিনতি করবে।
শুভেচ্ছা রইল।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৩
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জ্বী আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
এক ব্যাংকে গিয়ে সেখানকার দাড়োয়ানকে দেখে এই প্লটটি ভেবেছিলাম। এমনটা আসলেও হতে পারে।
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় প্রান্ত,
ঠিক আছে মানলাম। কিন্তু এত সুন্দর এবং এত বড় ছবিটি কি করে ছোট্ট একটা বারান্দা থেকে ওঠে?? আমার ধারনা বান্দা কোনো অবস্থাতেই ছবির চেয়ে ছোট হতে পারে না। তোমার উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম ।
শুভকামনা জানবে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মোবাইল গ্রিলের বাইরে ধরে পরে, ছবিটি তুলেছি
দেরিতে মন্তব্যের জবাব দেয়ায় দুঃখিত
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৩
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আপনার ছোট্ট মোবাইল থেকে তোলা ছবিটা অত্যান্ত সুন্দর।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন:
৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২০
সুমন কর বলেছেন: ভিন্নভাবে উপস্থাপন, ভালো লেগেছে। আরো সময় দিলে..........
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জ্বী, থ্যাংক ইউ
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর !