নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে পড়ি এবং নিজের ক্ষুদ্রতা ও জ্ঞানের স্বল্পতা স্বীকার করি। নিজেকে বুদ্ধিজীবী ভাবি না। ঐ বয়সটা পার করে এসেছি।

ব্লগার_প্রান্ত

Ashraful Alam Khan Pranto

ব্লগার_প্রান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখকের কথা

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬



১৯২৪ সালের ১লা এপ্রিল, মিউনিখ গণ-আদালতের বিচারে লেখ্ নদীর তীরে ল্যান্ডসবার্গের দূর্গে আমার কারাবাসনের দিনগুলো শুরু হয়।

গত কয়েক বছরের অবিশ্রান্ত পরিশ্রমের পর একটা কাজ করার মতো সময় এই প্রথম আমার ভাগ্যে জোটে; অনেকেই আগে আমাকে অনুরোধ করেছে এবং আমি নিজেও ভেবেছি যে আমাদের পক্ষে এটা অত্যন্ত মূল্যবান। সুতরাং এই ভেবেই আমি এই বইটা লেখা শুরু করি, যার মূল উদ্দেশ্য শুধু সংগ্রামটাকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নয়, তাকে উন্নত করাও। তাই এই বই থেকে এমন অনেক কিছু শেখার আছে যা তৎকালীন পারিপার্শ্বিক লেখা বা প্রবন্ধ থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।

আমি কিভাবে উন্নতির সোপান বেয়ে উপরে উঠেছি, এই বইয়ের প্রথম এবং দ্বিতীয় অংশে তা বর্ণনা করেছি। শুধু তাই নয়; আমার সম্পর্কে ইহুদী সাংবাদিকরা যে কল্পিত অপপ্রচার করেছে, সেটা ধ্বংস করার সুযোগও এই বইয়ের মাধ্যমেই আমি পেয়েছি।

এই বই আমাকে দূরে সরিয়ে রাখবে না, বরং সংগ্রাম যাদের হৃদয়ের দাবী তাদের কাছাকাছি আমাকে পৌছে দিবে, তাদের জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করবে। আমি জানি, যতো লোককে মুখের কথায় কাজ করানো যায়, লেখার দ্বারা তা' সম্ভব নয়। প্রতিটি সৎ এবং মহৎ সংগ্রাম পৃথিবীতে যা সংগঠিত হয়েছে, তা জন্ম নিয়েছে মহৎ বক্তার বক্তৃতা থেকে, কোন বড় লেখকের লেখা থেকে নয়।

যাইহোক, ভণিতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের দৃঢ় হাতিয়ার হিসেবেও লেখাটা প্রয়োজন। সুতরাং এই বইটি তার ভিত্তিপ্রস্তর।

-অ্যাডলফ হিটলার

দি ফোর্টেস্
ল্যান্ডসবার্গ, লেখ্ নদীর তীরে।

Order link

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার সংগ্রাম....

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: Mein kampf এর বাংলা অর্থ..

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কি হলো হঠাৎ করে সংগ্রাম নিয়ে ভাবছো? আর তাও আবার বাছাই করে করে আমার সংগ্রাম? এটা যখন পড়েছ তাহলে অ্যানির আত্মজীবনীটাও পড়ার পরামর্শ দেবো।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় প্রান্তকে।

০৫ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: প্রথমত দেরিতে প্রতিউত্তর করায় দুঃখিত।
দাদা সংগ্রাম নিয়ে ভাবছি না, আপনি হিটলারের কথাগুলো লক্ষ্য করুন। এটাতো অস্বীকার করার সুযোগ নেই, তিনি একজন গননায়ক ছিলেন? সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ওনার এ কথাগুলোর আলাদা গুরুত্ব আছে....
আমি জানি, যতো লোককে মুখের কথায় কাজ করানো যায়, লেখার দ্বারা তা' সম্ভব নয়। প্রতিটি সৎ এবং মহৎ সংগ্রাম পৃথিবীতে যা সংগঠিত হয়েছে, তা জন্ম নিয়েছে মহৎ বক্তার বক্তৃতা থেকে, কোন বড় লেখকের লেখা থেকে নয়।

আপনি দ্য বয় ইন দা স্ট্রাইপড পাজামাস পড়ে দেখতে পারেন, ভালো লাগবে আশা করি। শুভেচ্ছা

৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২৯

জুন বলেছেন: হিটলার একজন খাটি দেশ প্রেমিক কিন্ত তার দেশকে ভালোবাসার ধরনটা নিষ্ঠুর ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানী পরাজিত হলে মিত্র বাহিনী তাদের এমন চুক্তিতে বাধ্য করে যা ছিল অমানবিক। তারই প্রতিশোধ নিতে হিটলার দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে নেমেছিল। বড়ই দূর্ভাগ্য তাদের। লেখক বা ইতিহাসবিদরা শুধু বিজয়ীদের ইতি্হাস লিখে। পরাজিতদের নয় প্রান্ত।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভার্সাই চুক্তি জার্মানিকে চরম অপদস্ত করেছিলো। হিটলার সেই সুযোগটা নিয়েছিলেন, নাৎসি মেনিফেস্টো আর কিছু ব্রেইন গেইম আপামর জার্মান জাতিকে রাউন্ড টু এর জন্য উসকে দেয়।
আমি মনে করি, হিটলারকে স্টাডি করা দরকার, যাতে সামনের সময়ে, নতুন প্রজন্মের নেতারা জনগনকে আবেগ দিয়ে পরিচালিত করতে না পারেন। আমাদের উপমহাদেশে মানুষ খুব সহজেই আবেগী হয়ে পড়ে, যার ফলাফল ভোট থেকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা!
ধন্যবাদ আপু, আমি জানি আপনি ইতিহাস নিয়ে পড়েছেন, আপনি অনেক ইতিহাস বিষয়ক পোষ্টে খুবই ভালো মন্তব্য করেন :)

৪| ২২ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

তাসনুভা রায়া বলেছেন: পৃথিবীর ইতিহাসে হিটলারের মতো মানুষ কমই এসেছেন... যুদ্ধবাজ গোটা ইউরোপ কে একটি রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্নটি প্রায় সম্পূর্ণ হয়েই গিয়েছিল, যদি না রাশিয়া হামলার ভুলটি না করতেন....

২২ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: রাশিয়ার শীত জার্মানদের সায়েস্তা করেছে।
সিরাজ পলাশিতে অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি পেয়েছিলেন, যা তার গোলা বারুদ ভিজিয়ে দিয়েছিলো।
নেপোলিয়ন ও বৃষ্টির জন্য ওয়াটারলুতে হারেন।
হিরোশিমা নাগাসাকিতে পরমানু বোমা পড়ার কথা ছিলোনা, মেঘের জন্য আসল টার্গেটে দেখা না যাওয়ায়, হিরোশিমা নাগাসাকিতে বোম ফেলা হয়।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: এই লোকটার জাতীয়তাবাদ কেন যেন পছন্দ করি, জানি এটা আমার ঠিক না, কিন্তু ভালো লাগা কোন বাধা মানে না, মেইন ক্যাম্প পড়ছেন? ভালো বই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: নবম শ্রেণীতে পড়েছিলাম। ইন্টার পরীক্ষা পিছিয়ে গেল তাই আবার পড়বো ভাবছি। হিটলার আকর্ষণীয় লোক। আপনি নির্দোষ ভাই

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

স্থিতধী বলেছেন: বইটা ইন্টারেস্টিং। এটা পড়লে বোঝা যায়, হিটলার মানুষ কে উজ্জীবিত করার মন্ত্র খুব ভালো জানতেন তাঁদের একটা নির্দিষ্ট দিকে ধাবিত করার জন্য। ৩ নং মন্তব্যের প্রতি উত্তরে ভুল আবেগের বিষয়টি সত্য। বইয়ে তাঁর আর্য রক্তের গৌরব আর আর্যদের পুনরায় বিশ্ব জয়ের মানসিকতাটুকু বিরক্তির উদ্রেক করে। গণতন্ত্রের কিছু দুর্বলতা নিয়ে তাঁর কিছু পর্যবেক্ষণ কৌতুহল সৃষ্টি করে। সব মিলিয়ে বইটা পড়ার মতো শুধু তাঁর মতবাদ গ্রহণের মতো লাগেনি।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: হিটলার অন্তত জার্মানদের প্রতি, জার্মানির প্রতি সচেতন এবং অনুরাগী ছিলেন। আমাদের শাসকদের সেই গুনটুকুও নেই!

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

স্থিতধী বলেছেন: 'হিটলার অন্তত জার্মানদের প্রতি, জার্মানির প্রতি সচেতন এবং অনুরাগী ছিলেন। আমাদের শাসকদের সেই গুনটুকুও নেই!'

আমাদের বা দুনিয়ার কোন দেশের নেতাদের মাঝেই হিটলারের ঐ চরম গুনগুলো চাইনা যা কৌলিন্য প্রথা কে বাহবা দিতে সক্ষম। বাড়াবাড়ি সবকিছুতেই খারাপ ফলাফল বয়ে আনে তা হোক যতই ভালো কিছু কে ঘিরে। যে কারনে জার্মানির জন্য ভালো ভেবে কাজ করলেও এখন সে জার্মানরাই তাঁকে ছুড়ে ফেলেছে। আমরা চাই মানবকল্যাণে শুভ বোধ সম্পন্ন নেতৃত্ব।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সহমত ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.