নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে পড়ি এবং নিজের ক্ষুদ্রতা ও জ্ঞানের স্বল্পতা স্বীকার করি। নিজেকে বুদ্ধিজীবী ভাবি না। ঐ বয়সটা পার করে এসেছি।

ব্লগার_প্রান্ত

Ashraful Alam Khan Pranto

ব্লগার_প্রান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেতারের আটলান্টিক ভ্রমণ

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৩



পদার্থবিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ১২ই ডিসেম্বর। কেননা এই দিনটিতেই ইতালীয় উদ্ভাবক গুগলিয়েলমো মার্কনি, আটলান্টিকের এপাড় থেকে ওপাড়ে সফলভাবে রেডিও সিগনাল প্রেরণ করতে সম্ভব হয়েছিলেন।
সমালোচকরা ধারণা করেছিলেন যে, পৃথিবীর বক্রতার কারনে ২০০ মাইলের বেশি দূরত্বে রেডিও সিগনাল সফলভাবে প্রেরণ করা সম্ভব হবে না। কিন্তু ১৯০১ সালের ১২ই ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের কর্নওয়াল থেকে কানাডার নিউ ফাউন্ডল্যান্ডে, রেডিও তরঙ্গের সাহায্যে মোর্স কোডের s বর্ণটি পাঠান মার্কনি। এই দুই গন্তব্যের মধ্যে ছিলো আটলান্টিক মহাসাগরের ২০০০ মাইলের বিশালতা! এটি গুগলিয়েলমো মার্কনির জীবনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, কেননা এই ঘটনাটির মধ্য দিয়েই বৈশ্বিক আলোচনায় পরিণত হয় মার্কনি এবং তার রেডিও কোম্পানি।

মার্কনি একজন জিনিয়াস উদ্যোগতা এবং ইঞ্জিনিয়ার। তরুণ উদ্ভাবক হিসেবে ইতালীর সরকারকে রেডিও প্রযুক্তির গুরুত্ব বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে, মাকে নিয়ে ইংল্যান্ডে চলে আসেন মার্কনি। ব্রিটিশরা মার্কনিকে ইংল্যান্ডে সুস্বাগতম জানায়। বেকারী, পোস্ট অফিস থেকে শুরু করে ব্রিটেনের রানীর জন্য রেডিও প্রযুক্তির ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। তবে সেসব ছিলো নেহাতই স্বল্প দূরত্বের মামলা।

''রেডিও তরঙ্গ সরলপথে চলাচল করে। পৃথিবীর বক্রতার কারণে অধিক দূরত্বে পাঠাতে চাওয়া রেডিও সিগনাল মহাকাশে চলে যাবে।'' বিজ্ঞানী মহলের এমন বয়ানে অবিশ্বাসী ছিলেন মার্কনি। তিনি ভেবেছিলেন রেডিও তরঙ্গ পৃথিবীর বক্রতাকে অনুসরণ করে গন্তবে পৌছাবে। মার্কনির এই ভাবনাটাও ভুল ছিলো। প্রকৃতপক্ষে সরলপথে চলমান রেডিও তরঙ্গ বায়ুমন্ডলের আয়নোস্ফেয়ার বা আয়নস্তরে প্রতিফলিত হয়ে অনেক দূরের যাত্রা সম্পন্ন করে। ১৯০৯ সালে নোবেল পুরষ্কার গ্রহনকালীন ভাষণে মার্কনি স্বীকার করেছিলেন যে, তার উদ্ভাবন ঠিক কিভাবে কাজ করে, এই জিনিসটি তিনি ভালো ভাবে বোঝেন না।

রেডিও তরঙ্গের এই দূরযাত্রা মানবসভ্যতার অনন্য এক আশীর্বাদ। টাইটানিক দূর্ঘটনার সময় সাত শতাধিক মানুষকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়েছিলো, সঠিক সময়ে সাহায্য চেয়ে অন্য জাহাজকে রেডিও সিগনাল পাঠানোর মাধ্যমে। ১৯৩৭ সালে ৬৩ বছর বয়সে মার্কনি হার্ট এ্যাটাকে মারা যান। মার্কনির সম্মানে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় ২ মিনিট সম্প্রচার বন্ধ রেখে নিরবতা পালন করে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন তথা বিবিসি।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫০

অধীতি বলেছেন: কতকিছুই অজানা।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সহমত

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২০

স্থিতধী বলেছেন: ব্লগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে এতো কম লেখা আসে যে এই মুহূর্তে এই লেখাটা দেখে অনেক ভালো লেগে গেলো। ইতিহাসটা জানা ছিলোনা । অনেক ধন্যবাদ। 8-|

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ স্থিতধী। আশা করি সামনে আরো লিখবো। শুভকামনা।

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

উলডুমা কেরামত বলেছেন: মার্কনি অবশ্যই কৃতিত্বের দাবি রাখে। একই সাথে এটাও আমাদের জানতে হবে, এই বাংলার মুন্সীগঞ্জের ছেলে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একই সময়ে বেতার তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা করছেন। শুরু প্রচার না পাওয়ার কারণে, ইতিহাস তাকে সেভাবে স্মরণ করে না। এছাড়াও পশ্চিমারা সবসময়ই প্রাচ্যের আবিস্কারকে খাটো করে দেখেছে এবং এই অঞ্চলের ইতিহাসকে তাদের মতো করে লিখেছে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: দুঃখিত প্রচার এখানে বিষয় না। বিষয় পেটেন্ট না করা। স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুকে প্রাচ্য পশ্চিমে সবাই সম্মান করে, হয়তো সেভাবে স্মরণ করেনা কেননা, ঘরে ঘরে রেডিও প্রযুক্তির যাত্রাটা মার্কনির হাতে হয়েছে।
ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি পোষ্ট দিয়েছেন। অনেক কিছু জানা গেলো।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। শুভকামনা জানবেন।

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুবই চমৎকার একটি লেখা। অজানা কিছু জানলে ভালো লাগে

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৬

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০

শায়মা বলেছেন: শ্রদ্ধা এই বিজ্ঞানীর তরে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: পৌঁছে দিলাম। ধন্যবাদ।

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সারাজীবনই এই কনফিউশনটা রয়ে গেল, এটা নিয়ে কোনো স্টাডিও করি নি- স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নাম কেন সেভাবে রেডিও আবিষ্কারক হিসাবে প্রচার পেলো না? এরা দুজনই যে একই সময়ে আলাদা ভাবে রেডিও আবিষ্কার করলেন, সেটা কীভাবে নিশ্চিত করা হয়েছিল? বিশ্বব্যাপী কার প্রযুক্তিটা ছড়িয়ে পড়লো- মার্কনি, নাকি জগদীশ চন্দ্রের?

সম্ভব হলে এর উপর আলোকপাত করুন।

ভালো পোস্ট।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: খুবই বড় এবং বৈজ্ঞানিক আলাপ, সহজ করে বলার চেষ্টা করি।
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ওনার সময়ের চেয়ে ৬০ বছর এগিয়ে ছিলেন (কথাটা বলেছেন নোভেল জয়ী নেভিল মট)। স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু রেডিও তরঙ্গ সংক্রান্ত প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন, পৃথিবী ব্যাপীই তখন রেডিও প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা হচ্ছিল। মার্কনি কিশোর বয়সে রেডিও নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। স্যার জগদীশ চন্দ্র বোসের আবিষ্কারও তিনি জানতেন, স্যারের সাথে মার্কনির দেখাও হয়েছিলো, কিন্তু স্যার নিজের কাজকে কমার্শিয়াল রুপ দিতে চাননি, তাই তিনি নিজের আবিষ্কারের পেটেন্ট ও করাননি।

যোগাযোগের জন্য রেডিও তরঙ্গ ব্যবহারের জন্য সঠিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে যন্ত্রটা তৈরি করেছিলেন মার্কনি, যার পেছনে স্যার জগদীশ চন্দ্র বোসের আবিষ্কারের অবদানকে অস্বীকার করার জো নেই, এবং কেউ করেও না।
দুজনেই যার যার স্থানে সেরা।

১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: ভালো লাগলো প্রযুক্তি বিষয়ক লেখা।

শুভকামনা রইল।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৮

সোহানী বলেছেন: জানলে ও আবার পড়তে ভালো লাগলো।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০০

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই। আপনার আসন্ন বইয়ের জন্য শুভকামনা।

১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকুন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনিও সাবধানে থাকবেন ভাইয়া।

১৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সে সময়ে ইতালিয়ান সরকারে আমাদের সরকারের লোকজনের ক্লোন ছিল মনে হয়। গাধারা আসলে কোন কাজে আসে না। যাইহোক, বৃটিশদের মেধার কদর দেয়ার ব্যাপারটা জেনে ভালো লাগলো। চমৎকার হয়েছে লেখাটা। :)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
মার্কনি বড়লোক পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার বাবার নির্দেশে তিনি মাকে নিয়ে সহজেই ইংল্যান্ডে চলে আসছিলেন। গরিব ঘরের কেউ হলে পৃথিবীর ইতিহাস নতুনভাবে লেখা হতো। কারণ রেডিও টেকনোলজি ঘরে ঘরে যাওয়ায় পৃথিবীতে যে আমুল পরিবর্তন আসছে, তার ইতিহাস আপনারা আমার চেয়ে ভালো জানেন।

১৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রান্ত কেমন আছ?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আস সালামু আলাইকুম ভাইয়া। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? আশা করি ভালো এবং নিরাপদে আছেন।

১৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪২

ফয়সাল রকি বলেছেন: অফলাইনে পড়েছিলাম।
সুন্দর পোষ্ট।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ রকি ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.