![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ামি খুব একাকী একজন মানুষ। জীবনে চলার পথে ভুল গুলোর মাশুল বয়ে যাই।
ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। এটাকে passion বলব কি না জানি না। কেন আমি ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই এটা কেউ জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিতে পারব না অবশ্য। ডাক্তার হলে রাখঢাক না করে সরাসরি বলতাম মানুষের সেবা করব। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং তো এরকম নয়।
আমি সবসময় জীবনটাকে উপভোগ করতে চাইতাম।
কেন জীবনটাকে উপভোগ করতে চাই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব অবশ্য। সবাই বলবে এটা তো সোজা। জীবনটাকে কে না উপভোগ করতে চায়? কিন্তু আমার উত্তরটা ভিন্ন। সারাজীবন যাকে বলে ভাল ছাত্রই ছিলাম আমি। কিন্তু আমার ভাই বোন সবাই সব সময় ভাল ফলাফল করে এসেছে বলেই আমার উপর একটা অদৃশ্য চাপ ছিল। আমি ভাল ফলাফল করলে সবাই খুব্ একটা উৎসাহ দেখাত না, ভাবত এ তো ভাল ফল করবেই।কিন্তু একটু খারাপ করলেই যাকে বলে চারদিক থেকে কথাবার্তা শুরু হয়ে যেত যে আমি আর আগের মত ভাল ছাত্র নই । পড়াশোনা আমি করতাম প্রায় সবসময়। কিন্তু তা করতে গিয়ে আমাকে পড়াশোনার প্রতি অনেক সময় দিতে হত। আমি ছিলাম একটু আলাদা ধরনের। যেটা পড়তে অন্যদের ১ ঘণ্টা লাগত। আমার লাগত ২ ঘণ্টা । আমার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি ছিল পরিশ্রম। আমি তা দাঁতে দাঁত চেপে হলেও করেও যেতাম বাধ্য ছেলের মত। এইভাবে সম্পূর্ণ পড়া শেষ করতে অনেক সময় লাগত আমার।
পড়াশোনা যে আমার ভাল লাগত কথাটা সত্যি নয় ।আমি পড়াশোনা করতাম কারণ আর কিছু আমার করার ছিল না।।খুব শান্তশিষ্ট ছিলাম আমি । তাই বড়রা যা বলত তাই শুনতাম ।দস্যিপনা জিনিশটা আমার কখনই করা হয় নি।দুর্বল ছিলাম বলে খেলাধুলা করতাম না খুব একটা। আর পড়ুয়া বলে বন্ধু মহলে পরিচিত হওয়ায় খেলায় আমার ডাক পড়ত না খুব একটা।আমার বন্ধুও ছিল খুব অল্প। কারণ একদম প্রথম সারির ছাত্রদের বন্ধু খুব কমই থাকে। এটা যারা আমার মত তারা মাত্রই বুঝতে পারবে।
কিন্তু সবসময় ভাল ফলাফলের সাফল্য অর্জন করতে গিয়ে আমাকে জীবনের বাকি আনন্দগুলো থেকে নিজেকে বঞ্ছিত করতে হয়েছে। তাই যখন সুযোগ পেলাম পড়াশোনা নামক এই জ্বালা থেকে মুক্তি পাবার সুযোগ কেবল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লেই পাব তখন থেকে হয়ত ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার দৃঢ় সংকল্প মনের মধ্যে পুষে রেখেছিলাম।খালি শুনতাম ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা অনেক সোজা।ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টরা অনেক মজা করে বলে বড় ভাই দের কাছে শুনেছিলাম। আর আমার এক প্রতিবেশী ছিল মেডিকেল কলেজ এর স্টুডেন্ট। সারাদিন ওনাকে দেখতাম বই এর মাঝে মুখ গুঁজে থাকতে।খালি পড়াশোনা আর পড়াশোনা।আর আমাদের সামনে মেডিকেল লাইফের সাপ সাপান্ত করতেন । আমি ভাবতাম শুধু শুধু কেন এই সুন্দর আগামি জীবনটাকে আমি মেডিকেল লাইফের এর মত কষ্টের যাঁতাকলে পিষ্ট করব। যেখানে সুযোগ আছে অন্য কিছু হওয়ার । তাই ফাইনাল decision নিলাম ইঞ্জিনিয়ার হয়েই ছাড়ব। এবং অবশ্যই সেরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট এর EEE তে পড়তে হবে। সাবজেক্ট টার প্রতি আলাদা আকর্ষণ ছিল না কখনও।কিন্তু প্রথম সারির ছাত্ররা এই সাবজেক্ট নিত। এটাতে সুযোগ না পেলে আমার ভাল ছাত্রের তকমা আর থাকবে না- এই অমুলক ভয় আমাকে পেয়ে বসেছিল।
আর সবার মুখে শুনতাম ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলে সামনে নিশ্চিন্ত জীবন।পাশ করে বের হলেই ভাল বেতনের চাকরি।আমাকে আর পায় কে? তাই মনোযোগ দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পড়তে আরম্ভ করলাম।
এবং সুযোগ পেয়ে গেলাম পছন্দের সাবজেক্ট এ। কেবল মেডিকেল ছাড়া অন্যান্য ভার্সিটিতেও ভাল পজিশন পেয়েছিলাম। কিন্তু বুয়েট এর জন্য তা বাদ দিয়েছিলাম। আমি জানি অধিকাংশ জন আমার জায়গায় তাই করত। তখন ভাবলাম জীবন তো আমার গড়েই গেল। এইবার আনন্দের সময় শুরু।
কিন্তু হায়রে! তখন যদি জানতাম।
বাকি কথাগুলো আরেকদিন এর জন্য তোলা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
রশিক রশীদ বলেছেন: এই ওডিটি শুনুন । প্রথম পেজে দিলে মডুরা সরিয়ে দিচ্ছে ।
খালেদা জিয়ার ফেনসিডিল খাওয়ার তথ্য।
http://www.youtube.com/watch?v=2Dd24MYF6x4