![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুকের মধ্যে ধকধক করে হৃদপিণ্ড নামের যে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সারা দেহে রক্ত সরবরাহ করে চলেছে তার কথা আমরা প্রায় সবাই জানি, তাই না? হৃদপিণ্ডে কোথা থেকে রক্ত এসে কোথায় যায় এটাও ক্লাস টুয়েলভে উঠলেই ম্যাক্সিমাম পোলাপান জেনে যায়, আর মেডিকেলে আসলে তো কথাই নেই।
সুতরাং, আজকের পোস্ট ম্যাক্সিমাম পোলাপানের জন্য রিভিশন পোস্ট।
হৃদপিণ্ড বা Heart এ চারটা প্রকোষ্ঠ বা চেম্বার। left atrium, right atrium, left ventricle, right ventricle. atrium ছোট, ventricle বড়।
এবার আসুন দেখি রক্তের গতিপথ কিরকম।
সারা দেহ থেকে দূষিত রক্ত -> right atrium -> right ventricle -> pulmonary artery -> ফুসফুস -> দূষিত রক্ত ফুসফুসে এসে বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে হয়ে গেল বিশুদ্ধ রক্ত -> pulmonary veins -> left atrium -> left ventricle -> aorta -> সারা দেহে পৌঁছে গেল বিশুদ্ধ রক্ত
(লক্ষ্য করুন, বিশুদ্ধ রক্তকে এই ছবিতে লাল রঙ দিয়ে এবং দূষিত রক্তকে নীল রঙ দিয়ে ভূষিত করা হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিশুদ্ধ রক্তের রঙ আসলেই লাল, আর দূষিত রক্তের রঙ আসলেই নীলাভ)
মনে রাখবেন, atrium এর সংকোচনের ফলে রক্ত সবসময় ventricle এ যাবে। right atrium থেকে যাবে right ventricle এ আর left atrium থেকে যাবে left ventricle এ। কিন্তু ventricle এর সংকোচন থেকে কিন্তু রক্ত কখনও স্বাভাবিক অবস্থায় atrium এ যাবে না। left ventricle এর সংকোচনের ফলে রক্ত যাবে সারা শরীরের দিকে, right ventricle এর সংকোচনের ফলে রক্ত যাবে ফুসফুসের দিকে।
এই যে atrium সংকোচনের ফলে রক্ত ventricle এ যাবে, কিন্তু ventricle এর সংকোচনের ফলে রক্ত আবার atrium এ ফেরত আসবে না, এর কারণ হচ্ছে গিয়ে, atrium আর ventricle এর মাঝখানে একটা একমুখী দরজা থাকে, যাকে বলে ভাল্ভ। এই ভাল্ভ রক্তকে শুধু atrium থেকে ventricle এ আসার সময় খোলা থাকে, ventricle থেকে atrium এ রক্ত আসতে চাইলে বন্ধ হয়ে যায়, তাই রক্ত atrium এ আসতে পারে না।
left atrium আর left ventricle এর মাঝে থাকে mitral/bicuspid valve.
right atrium আর right ventricle এর মাঝে থাকে tricuspid valve.
এখন এই ভাল্ভ নষ্ট হয়ে গেলে কি হবে? ventricle থেকে atrium এ রক্ত চলে আসবে, যেটা কোনভাবেই স্বাভাবিক নয়।
mitral valve নষ্ট হলে left ventricle থেকে left atrium এ রক্ত চলে আসবে। একে বলে mitral regurgitation.
এই ছবিটা mitral regurgitation এর...
একইভাবে tricuspid valve নষ্ট হলে right ventricle থেকে right atrium এ রক্ত চলে আসবে। একে বলে tricuspid regurgitation.
ventricle সংকুচিত হলে রক্ত ফুসফুস অথবা সারা শরীরে চলে যায়, আর প্রসারিত হলে atrium থেকে রক্ত এসে ventricle ভর্তি করে। ventricle প্রসারিত হলে কিন্তু ফুসফুস বা সারা শরীরের দিক থেকে রক্ত আবার উল্টোপথে যাত্রা করে ventricle এ এসে হাজির হয় না, কারণ এখানেও আছে ভাল্ভ।
left ventricle আর সারা শরীরের মাঝে আছে aortic valve. একইভাবে right ventricle আর ফুসফুসের মাঝে আছে pulmonary valve.
aortic valve নষ্ট হলে শরীর থেকে রক্ত left ventricle এ ফিরে আসে। একে বলে aortic regurgitation.
pulmonary valve নষ্ট হলে ফুসফুসের দিক থেকে রক্ত right ventricle এ ফিরে আসে। একে বলে pulmonary regurgitation.
একইভাবে, valve যদি কোন কারণে শক্ত হয়ে যায়, তাহলে এটা পুরোপুরি খুলতে পারে না, সে কারণে এটা দিয়ে সহজে রক্ত যেতে পারে না। তখন তাকে বলে stenosis.
mitral stenosis মানে, mitral valve দিয়ে রক্ত ঠিকভাবে left atrium থেকে left ventricle এ যেতে পারে না।
aortic stenosis মানে, aortic valve দিয়ে রক্ত ঠিকভাবে left ventricle থেকে aorta, অর্থাৎ সারা শরীরের দিকে যেতে পারে না।
tricuspid stenosis এবং pulmonary stenosis ও একই ধরণের সমস্যার প্রতিনিধিত্ব করে।
সাত খণ্ড রামায়ণ তো পড়লেন। এবার বলুন তো, একটা পূর্ণবয়স্ক মহিলার দেহে কয়টি হৃদপিণ্ড রয়েছে?
২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: হাহাহাহহাআহা, বলেন তো কার বাপ????
২| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: মাথা গুরাইতাছে
২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: আহারে, সামনে তো আরও গজব আসতেসে তখন কি করবেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৩:০৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: না পেরে সীতা কার বাপ- জিজ্ঞেস করছি