![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম কি আসলেই যুদ্ধ বা তরবারীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?? একটু লক্ষ্য করুন...
অনেকের ধারনা- ইসলাম প্রচারে তলোয়ারের ও যুদ্ধ-বিগ্রহর উপরই বেশী নির্ভর করা হয়েছে। এর প্রমান হিসাবে তারা রসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবদ্দশায় সংঘটিত যুদ্ধ সমূহ ও পরবর্তীতে মুসলিম শাসকদের যুদ্ধ-বিগ্রহকে তুলে ধরার চেষ্টা করে। আসুন, কিছু পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা করা যাক-
৯ম হিজরীর রজব মাসে সংঘটিত তাবুক যুদ্ধ ছিল রসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশার শেষ যুদ্ধ। রসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় ২৭টি গযওয়া বা যুদ্ধ ও যুদ্ধাভিযান পরিচালিত হয়েছে। তাছাড়া ছোটখাট যুদ্ধ ও নৈশ অভিযান (যার সংখ্যা ৬০টি; আরও কতগুলো যুদ্ধ ও সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়নি) পরিচালিত হয়েছে।
রসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় জিহাদ হয়েছিল ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। প্রতিরক্ষা মূলক এসব যুদ্ধ ও অভিযানে, যা রসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশে পাঠানো হয়েছিল, তাতে যে পরিমান রক্তপাত হয়েছিল, সমগ্র যুদ্ধের ইতিহাসে এর চেয়ে কম রক্তপাত আর খুজে পাওয়া যায়না।
শুনতে খুবই অবিশ্বাস্য শুনাবে! এসব যুদ্ধে মোট নিহতের সংখ্যা মাত্র দেড় থেকে দুই হাজারের বেশী নয়, তাও এ সংখ্যায় উভয় পক্ষের নিহতেরাই অন্তর্ভুক্ত। এর পরিনতিতে জাযীরাতুল-আরবের চারপাশে যে শান্তি ও নিরাপত্তার পরিবেশ কায়েম হয়েছিল তার কোন তুলনাই চলে না। অথচ, পুর্বে গোটা জাযীরাতুল-আরবে হত্যা, ধ্বংস, প্রতিশোধমূলক কর্মকান্ড, গৃহযুদ্ধ ও লড়াই-সংঘর্ষের ধারা বংশানুক্রমিক ভাবে অব্যাহত ছিল এবং শুধু তাইনা, ব্যাপারগুলো খুবই সাধারন ও নৈমত্তিক বিষয় ছিল।
এছাড়া, ঐসব যুদ্ধের ওপর রসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যেসব নৈতিক শিক্ষা ও সহানুভূতিশীল নির্দেশ ছিল তা একে আরববাসীদের প্রতিশোধ ও ক্রোধের আগুন নেভানোর বদলে চরিত্র সংশোধনমূলক কর্মকান্ড, হেদায়েত ও কল্যান লাভের মাধ্যম বানিয়েছিল। রসুলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কোথাও কোন বাহিনী পাঠাতেন তাখন তাদের প্রতি হেদায়েত থাকত,
“আমি তোমাদের আল্লাহকে ভয় করার এবং যেসব মুসলমান তোমাদের সাথে রয়েছে তাদের সাথে উত্তম আচরনের উপদেশ দিচ্ছি। তোমরা আল্লাহর নামে যুদ্ধরত হবে এবং আল্লাহর পথে তাদের সাথে যুদ্ধ করবে যারা আল্লাহর সাথে কুফুরী করেছে। কোন শিশু, নারী, আসহায় বৃদ্ধ কিংবা খানকাহ, গীর্জা, মঠ, মন্দিরের ধর্মীয় পুরোহিত, বিশপ-যারা কোন না কোন ধর্মের সেবায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছে তাদেরকে হত্যা করবে না। কোন গাছ কাটবে না, কোন গৃহ ধ্বসিয়ে নিবে না”
রসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশাতে এই সামরিক কর্মকান্ডের সফলতা যে কত দ্রুত অর্জিত হয়েছে, তা এভাবে বুঝা যেতে পারে, প্রায় দশ বছরেরও কম সময়ে, দৈনিক গড়ে জাযীরাতুল-আরবের প্রায় ২৭৪ বর্গমাইল এলাকা ইসলামের অধীনে এসেছে। মুসলমানদের জীবনহানির হিসাব নিলে দেখা যাবে, গড়পরতা মাসে একজন মানুষের অর্ধেক শাহাদত বরন করেছে। দশ বছরেরও কম সময়ে, প্রায় দশ লাখ বর্গমাইল এলাকা ইসলামের পদানত হয়েছে।
এসব যুদ্ধ ও অভিযানের তুলনা দু’দুটি বিশ্বযুদ্ধের (যার প্রথমটি ১৯১৪ সালে শুরু হয়ে ১৯১৮ সালে শেষ হয় এবং দ্বিতীয়টি ১৯৩৯ সালে শুরু হয়ে ১৯৪৫ সালে শেষ হয়) সাথে করলেই পার্থক্যটা ভাল ভাবে বুঝা যাবে। ইনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার তথ্যমতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ছিল চৌষট্টি লক্ষ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ছিল সাড়ে তিন কোটি থেকে ছয় কোটির মধ্যে। অথচ, এই দু’দুটি বিশ্বযুদ্ধ মানবতা ও মানব সমাজের জন্য কি আদৌ কোনো সুফল বয়ে আনতে পেরেছিল? বিশ্বমানবতার জন্য ইসলামের যে অবদান তার সাথে কি এর আদৌ কোনো তুলনা চলে?
রসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় জিহাদ হয়েছে সম্পুর্ন ইনসাফ ও ন্যায়বিচারে ভিত্তিতে যা মানবতার ইতিহাস পুর্বে কখন ধারনাও করেনি। যার প্রভাবে দলে দলে মানুষ ইসলামে প্রবেশ করেছে ও তাদের অন্তরকে ইসলামের আলো দিয়ে আলোকিত করেছে। তরবারির জোরেই যদি মানুষ ইসলাম গ্রহন করত, তবে তাদের অন্তরে ইসলামের স্থায়ী প্রভাব কিভাবে রেখাপাত করত? অন্তরে এ প্রভাবের প্রমান হল, তাদের স্বভাব-চরিত্র সম্পূর্ন নির্মল ও ইসলামী শরীয়তের শিক্ষার আলোকেই পরিপুর্নরূপে গড়ে উঠেছিল।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ইসলামের ইতিহাসে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মদীনায় আসার পর। আর মদীনাবাসীদের বেশিরভাগই রাসুলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মদীনায় আসার পুর্বেই ইসলাম গ্রহন করেছিলেন। তাহলে কোন তলোয়ার বা অস্ত্রের মুখে তারা মুসলিম হয়েছিল? আর মক্কাতে শুরুতেই যে কয়েক’শ লোক মুসলিম হন এবং কাফিরদের নির্মম অত্যাচারে জর্জারিত হতে থাকেন তারা কিসের ভয়ে তা সহ্য করেছিলেন?
পরবর্তীত, খোলাফায়ে রাশিদীনের ব্যাপারেও পুর্ন আস্থাসহ দাবী করা যায় যে , তারা অযৌতিকভাবে কখনো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন নি, বরং কোনও সঙ্গত কারন এবং প্রয়োজনেই কেবল যুদ্ধের আশ্রয় নিতেন। ইসলাম যুদ্ধ সংক্রান্ত বহুবিহ নীতি ও শর্ত নির্ধারন করে দিয়েছে। সেগুলির মধ্যে সংক্ষেপে আমি একটি মাত্র বিষয়ে আলোচনা করছি।
শরীয়তের এই নীতির উপর খোলাফায়ে রাশিদীন সবসময় আমল করেছেন যে, “যুদ্ধ ক্ষেত্রে যদি কোন লোক তোমাদের পিতা, পুত্র, ভাই তথা আত্নীয়কে হত্যা করে এবং দীর্ঘকাল পর্যন্ত রক্তপাত করতে থাকে এবং তারা কখনো পরাস্ত হলে তোমরা তার প্রতিশোধ নিতে চাও, তবে এই অবস্থায়ও যদি সে মুখে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” উচ্চারন করে, তাহলে তাকে তৎক্ষণাৎ মুক্ত করে দাও। এমনকি যদি তোমার পুর্ণ বিশ্বাসও হয় যে, সে প্রানভয়ে কালেমা পড়েছে অনত্রে আদৌ বিশ্বাস করেনি, তবুও সাথে সাথে তলোয়ার সরিয়ে নাও। এমনকি বিপদ মুক্ত হয়ে সে অন্য সময় তোমাদের হত্যা করবে বলে প্রবল আশংকা তাকে তবুও”।
মুসলিমরা যদি অস্ত্রবলেই মানুষকে ইসলামে দীক্ষিত করে থাকে, তবে ছয়শ বছর মুসলিমরা শাসন করার পর ভাররবর্ষে আজ একজন হিন্দুও দেখা যেত না। অতীতের কথা বাদ দেই, বর্তমানে ভারত সহ সারা বিশ্বে যে যেসব লোক আজ ইসলাম গ্রহন করছে, তারা কেন মুসলমান হয়? তাদের উপর কোন অস্ত্র বা শক্তি কাজ করে? বরং সবদিক থেকেই তো তারা মুক্ত ও স্বাধীন।
পরিশেষে এতটুকুই শুধু বলতে চাই, ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারনা আগেও ছিল এবং তা সবসময়ই থাকবে। একজন ভাল মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হবে শুরুতে নিজে সঠিক ভাবে ও সাধ্যমত ইসলামকে জানা ও সেটা মেনে চলতে থাকা। সেইসাথে ইসলামের সৌন্দর্যের সাথে অন্যকে শুধুমাত্র পরিচয় করিয়ে দেয়া। আর দিন শেষে যার যার হিসাব কিন্তু তাকেই দিতে হবে। আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন। আমীন।
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০২
আবদুল্লাহ ০২৬ বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খাইরান,সাব্বির ভাই। আমি এখানে নতুন, আপনার উৎসাহই আমার প্রেরনা। ভাল থাকবেন ভাই।
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
সুদিন বলেছেন: আসলে আমরা ভালোভাবে চিন্তা করিনা। হয় অন্ধভাবে সমর্থন করি বা করি না।
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০৪
আবদুল্লাহ ০২৬ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন ভাই। জাযাকাল্লাহ খাইরান।
৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ইকবাল হোসাইন সুমন বলেছেন: অসাধারণ লিখলেন ভাই।.।
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
আবদুল্লাহ ০২৬ বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খাইরান সুমন ভাই। আপনার উৎসাহই আমার প্রেরনা। ভাল থাকবেন ভাই।
৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৩
বিজন শররমা বলেছেন: ইসলাম কি আসলেই যুদ্ধ বা তরবারীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?..। উত্তরটা নিজেই দিলেন । আগে মানুষ কম মরেছিল কারন তখন পৃথিবীর জন সংখ্যাই ছিল কম – এটা বাচ্চাদের জানার কথা ।
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪
আবদুল্লাহ ০২৬ বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। সেই সময় মানুষ এখনকার চেয়ে অনেক কম ছিল এটা ঠিক। কিন্তু সেই সময়ের আরব ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের (যেটাকে এখানে জাযীরাতুল-আরব বলা হয়েছে) ও সেখানকার মানুষের সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন, লোকগুলো কতটা যুদ্ধ পাগল ও রক্তপিপাসু ছিল। তাদের মর্যাদা ও আত্নগরিমার জন্য কোন একটা যুদ্ধ বংশপরিক্রমায় চালিয়ে যেতেও তারা দ্বিধা করত না। বিশ্বমানবতাকে সামনে রেখে এরকম এক জাতির মাঝে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই তখন যুদ্ধসমূহ সংঘটিত হয়েছিল। হতাহতের সংখ্যাটা মূলত পাঠকের বুঝার সুবিধার্থে দেয়া। যুদ্ধাবস্থায় মুসলিমরা যেই নীতি অবলম্বন করেছিল (যার কিছুটা এখানেও আলোচনা করা হয়েছে) তা যদি একটু ভাল করে দেখতেন তাহলে ব্যাপারটা আরেকটু ভাল ভাবে বুঝতে পারবেন আশা করি।
৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১৭
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ইসলাম কি আসলেই যুদ্ধ বা তরবারীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?..
এই কথাটা আপনার ভিতরও দ্বিধাদ্বন্ধের মত কাজ করছে। এ যেন, ঠাকুর ঘরে কেরে মা আমি কলা খাইনা। স্বেচ্ছায় যদি হবে, তবে গত ১০০ বা ২০০ বছরে কোথায় কতজন মুসলমান বা ক্রীস্টান হয়েছে, বলবেন কি? ইহুদী বা হিন্দু হওয়া যায় না, জন্মসূত্রে হতে হয়, কেউ হিন্দু বা ইহুদী হতে চাইলেও হতে পারবে না, তাই এরা খুব বেশি বাড়ে না। না ভাই, আমি ইহুদী বা হিন্দু ভাল তা বলছি না। অাপনি যদি বাংগালী হন, তাহলে আপনার পূর্বপুরুষ বা পূর্বনারী(এটাই বেশি) হিন্দু ছিল। আর যদি আরবীয় বংশধর হন, তাহলে ইহুদী ছিল। অতএব, আমার কথায় কষ্ট নিয়েন না, এই ভারতে যদি ইসলাম বা খ্রীস্টান না আসত, আমাদের তো একই ঘরে গলা ধরে থাকার কথা, তাই না ভাই। আজ আপনাকে ভালবাসলেও আপনি অামাকে ধর্মের কারণে বয়ানে, চিল্লায়,ওয়াজে সব সময় ঘৃণা করেন।
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
আবদুল্লাহ ০২৬ বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। প্রথমেই বলে রাখি, আমি- আপনাকে বা অন্য ধর্মের এমনকি কোন নাস্তিককেও ঘৃণা করি না। কাউকে ঘৃণা করাটা ইসলামের শিক্ষা না। বরং সকল মানুষকে আমার রক্ত সম্পর্কের ভাই মনে করি। কারন আমাদের সকলেই আদি পিতাই এক। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,
"হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার (ধার্মিক)। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।"
(সূরা হুজুরাত, আয়াতঃ ১৩)
মুসলিম-অমুসলিম সকল মানুষকে অন্ধকার ও পথভ্রষ্টতা থেকে বাঁচানোর জন্য এই কিতাব অবতীর্ণ করা হয়েছে। শুধু মুসলমানদের জন্য অবতীর্ণ করা হয়নি। ইসলাম সমস্ত বিশ্বমানবতার জন্যই এসেছে যদিও শুরুটা হয়েছিল মূলত জাযীরাতুল-আরবে। সেই হিসেবে ইসলামের দাওয়াত পাবার জন্য আপনিও হকদার। একজন মুসলিম হিসেবে আমার কর্তব্য সেটা আপনাকে পৌছে দেয়া। এই দায়িত্ব বোধ থকেই কিন্তু লেখা, কিছু ভ্রান্তি নিরসনের চেষ্টা করা ও এত কিছু বলা। একদিনে সব কথা বলা সম্ভব নয়। এসব বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতেও লেখার ইচ্ছা আছে। সাথে থাকবেন আশা করি।
৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২৩
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: আপনি নবীর সময়ে বা পরের যুদ্বের সাথে ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্বের হতাহতের সংখ্যা দিয়েছেন। ধর্মযুদ্ধ আর বিশ্বযুদ্ধ কি এক রকম? অাপনি গবেষনা করুন হিন্দু বা বৌদ্ধ বা খ্রীস্টান বা অন্য যে কোন ধর্ম বিস্তার বা সংখ্যা বৃদ্দির জন্য কত কত যুদ্ধ হয়েছিল, কত মানুষ মরেছিল
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৮
আবদুল্লাহ ০২৬ বলেছেন: হতাহতের সংখ্যাটা মূলত পাঠকের বুঝার সুবিধার্থে দেয়া। বরং, যুদ্ধাবস্থায় মুসলিমরা যেই নীতি অবলম্বন করেছিল (যার কিছুটা এখানেও আলোচনা করা হয়েছে), তা যদি একটু ভাল করে দেখতেন তাহলে ব্যাপারটা আরেকটু ভাল ভাবে বুঝতে পারবেন আশা করি। এছাড়া যুদ্ধবন্দী ও পরাজিত শক্তির সাথে ক্ষমা ও মানবতার যে অপূর্ব নিদর্শন ইসলাম দেখিয়েছে, ইতিহাসই তার সাক্ষী। এখানে অন্য ধর্মের সাথে তুলনাটা ইচ্ছা করেই করা হয়নি, কারো ধর্মানুভুতিতে কোন রকম আঘাত দেয়াটা এখানে উদ্দেশ্য না। বরং এখানে ইসলাম ও বিশ্বমানবতা বিষয়টাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১০
ব্লগার রাজনুর বলেছেন: শয়তানরা ভালোর মাঝেও দোষ খোজে
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
আবদুল্লাহ ০২৬ বলেছেন: ভাই, ভাষাটা আরেকটু সংযত হলে ভাল হয় না? ঘৃণার চাষাবাদ তো অনেক হল, একটু না হয় ভালবাসা ছড়াই আজ? ভাল থাকবেন ভাই।
৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: শাশ্বত স্বপন, নেড়ু মুসলমান কারা ছিল এবং কি কারণে বলা হতো?
"আজ আপনাকে ভালবাসলেও আপনি অামাকে ধর্মের কারণে বয়ানে, চিল্লায়,ওয়াজে সব সময় ঘৃণা করেন।" এটা প্রমাণ করতে পারবেন? আমি উল্টাটা প্রমাণ করবো।
হিন্দু ধর্মটা সম্পূর্ণ আঞ্চলিক। আর আব্রাহামিক ধর্মের প্রতিটাই শুরু হয়েছে একজন রাসুলের হাত ধরে এবং লড়াই করেই নিজের স্থান দখল করতে হয়েছে। আর আমরা তো আর্য, অনার্য যুদ্ধের কথা শুনেছি, সেখানের হতা হতের পরিসংখ্যান আপনার কাছে আছে? রামায়নের যুদ্ধের ক্যাজুয়াল্টি কতো? রক্ত সব জায়গাতেই ঝরেছে, কলিঙ্গের যুদ্ধে লাখো মানুষ মারা যাবার পর অশোক বৌদ্ধ হয়েছে, এতে বৌদ্ধ ধর্মের সুবিধা হয়েছে, এই সুবিধাটা তারা চীনেও পেয়েছে। সম্রাট কন্সট্যান্টাইন খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত না নিলে আজ পৃথিবীটার চেহারা ভিন্ন থাকতো।
যারা মরুভূমিতে বসে ভেড়া চড়ায় আর নীল আকাশের পুজা করে, তারাও এক হলে মানব সভ্যতা ধুলোয় মিশিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে। যার প্রমাণ চেঙ্গিস খান। ইতিহাসটা ঠাকুর ঘরে কলা খাওয়ার মতো আবদ্ধ জ্ঞান নয়। ১০০-২০০ বছরের কথা বললেন, সেই আমলের বর্ণ প্রথা আর সতীদাহ চালু রাখলে দেখতেন কেমন তরতরিয়ে বাড়ে।
আরেকজন দেখলাম যুগের জনসংখ্যার উদাহরণ টেনে হাস্যকর উদাহরণ দিলেন। আজকাল মুভি দেখলেও তো জানা যায় ৩০০ স্পার্টান মিলে আরও হাজার বছর আগে ২ দিনেই ২০ পারসিয়ানকে মেরে ফেলেছিল। কোন পারমানবিক বোমা লাগেনি, ক্যানাইয়ে মাত্র ৬ ঘন্টার যুদ্ধ শেষে ৭০ হাজার সুসজ্জিত রোমান সেনাকে মেরে ফেলেছিল হ্যানিবল বার্কা। এটাও ইসলাম আসার ৮০০ বছর আগের ঘটনা। মাত্র ১৭ জন নিয়ে বাংলা জয় হয়েছিল, সেদিন কতো লাখ মরেছিল?
পৃথিবীতে ধর্ম যুদ্ধের চেয়ে ধর্ম হীনতার কারণে হওয়া যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা বহুগুণে বেশী।
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
আবদুল্লাহ ০২৬ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, সাকিব ভাই। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে আপনার জ্ঞান দেখে আমি মুগ্ধ। আল্লাহ্ আপনার জ্ঞান ও যোগ্যতাকে আরো বাড়িয়ে দিন এই দুয়া করি। ভাল থাকবেন ভাই।
৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১১
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কোন ধর্মই বলেনা আমাকে কেউ অস্বীকার করলে তাদের নির্মুল কর। ইসলামও তা বলেনা। চরমোনাই, দেওয়ানবাগীরা বলতে পারে, কিন্তু মাঝে মাঝে নোওমান আলি খানের কথাগুলাও শুইতে অসুবিধা কই?
ইসলামের প্রতিষ্ঠা হয় অহিংসার উদাহরন তৈরীর মাধ্যমে। মক্কার অধিবাসীরাই মুসলমানদের প্রধান প্রতিপক্ষ হলেও মক্কা দখল কিন্তু রক্তপাত ছাড়াই হয় এবং দখলের পর এর অমুসলিম অধিবাসীদের পূর্ন নিরাপত্তা দেয়া হয়।
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
আবদুল্লাহ ০২৬ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। মক্কা বিজয়ের ঘটনাটা উল্লেখ করার দরকার ছিল। জাযাকাল্লাহ খাইরান। এটা পরবর্তীতে যুক্ত করে দিব ইনশাআল্লাহ্। সীরাতের বইগুলা পড়লে এত এত ঘটনা পাওয়া যায় যে ক্ষুদ্র পরিসরে সব কিছু আনা সম্ভব হয় না। আপনাদের উৎসাহই আমার লেখার অন্যতম প্রেরনা। ভাল থাকবেন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮
সাব্বির ০০৭ বলেছেন: ভাল লিখেছেন!