নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাস্হ্য তথ্যই আপনার সুস্হতার পরশ পাথর, নির্ভুল স্বাস্হ্য তথ্য পেতেই NCDcenter.com

ডা.আব্দুল্লাহ আহমেদ

লেখক: NCDcenter.com

ডা.আব্দুল্লাহ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুল পড়া : প্রতিকার ও প্রতিরোধ

২২ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:২১

চুল পড়া একটি অতি পরিচিত সমস্যা । সাধারণত ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা

এ সমস্যায় বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হয়।

রোগ তত্ত :

. মাথায় খুশকি হলে

. বড় অসুখের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে

. তীব্র গরমে চুল পড়ার হার বৃদ্ধি পায় । কারণ তীব্র গরমের কারণে চুলের ত্বকে ও পরিবর্তন হয়। চুলের ত্বকের গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হয়। ফলে চুল তৈলাক্ত হয়ে যায় । এ ছাড়া ও চুলের গোড়ার ঘাম না শুকালে চুল পড়া বেড়ে যায় ।

. অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে ও চুল পড়া বেড়ে যায় ।

. চুলের গঠনের সঙ্গে মানানসই নয়, এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার জনিতকারণে ও সাধারণত চুল পড়ে।

.বংশগতির কারণেও চুল পড়তে পারে ।

প্রতিরোধ :

**খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে চুল পড়ার হার অনেকখানি হ্রাস পায় । মনে রাখবেন, প্রতিদিন

১০০টি চুল পড়লে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। পুষ্টিযুক্ত পরিমিত খাবার চুলেও পুষ্টি জোগায়।

এজন্য খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ফল ও সবজি রাখতে হবে। এসব খাদ্য খেলে চুলের গোড়া মজবুত হয়।

**চুলের গোড়ায় বিদ্যমান তেল ও ময়লা দূর করতে ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার না করে তরল শ্যাম্পু

ব্যবহার করলেই বরং ভালো হয়। শ্যাম্পুর প্রকৃতি ঘন হলে তার সাথে সামান্য পরিমাণে পানি মিশিয়ে

নিতে পারেন। তারপর চুলের গোড়া সহ যথেষ্ট পরিমাণ শ্যাম্পু সমস্ত চুলে ভালভাবে মিশিয়ে নিন ।

এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। যাতে চুলে কোনো শ্যাম্পু না থাকে।

অনুরুপভাবে নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু করলে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।
** তেল-মসলাযুক্ত খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।

**মানসিক চাপ কমাতে হবে।

**এ ছাড়া সময়মতো খাওয়া-ঘুমানো ও পানি পরিমাণমতো পান করতে হবে।

**খেয়াল রাখতে হবে, শ্যাম্পু করার সময় যেন নখের আঁচড় ত্বকে না লাগে। আরেকটি বিষয় হলো

চুল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা গজিয়ে যায়। সে কারণে এটি নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

খুশকি দূর না হলেও চুল পড়ে। খুশকি থাকলে সপ্তাহে কমপক্ষে তিনদিন খুশকি প্রতিরোধী শ্যাম্পু

ব্যবহার করুন। অন্যান্য দিন প্রোটিন, অ্যামাইনো প্রোটিন-সমৃদ্ধ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

এর ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়।

**নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে জেল, চুলের স্প্রে কম ব্যবহার করাই

ভালো। এতে চুলের ক্ষতি কম হয়। আসল কথা হলো, চুল পরিষ্কার রাখতে হবে।

তবেই দেখবেন চুল পড়া কমে গেছে।’

প্রতিকার :

১*চুলে খুশকি থাকলে কিটোকোনাজল (Ketoconazole) শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয়।

খুশকির পরিমাণ অধিক হলে এই শ্যাম্পুর সঙ্গে ছত্রাক ধ্বংসকারী নিন্মের ঔষধও প্রাপ্ত বয়স্কদের

মুখে সেবন করানো হয় :

যথা : ক্যাপ -ফ্লুকোনাযল ( Fluconazole) ৫০ মি.গ্রা - ১ টি ক্যাপ প্রতি রাতে- ১ মাস

তারপর ক্যাপ -ফ্লুকোনাযল ( Fluconazole) ১৫০ মি.গ্রা- প্রতি জুমার দিনে -আরো ২ মাস

২. ক্যাপ - ভিটামিন -ই

১+ ০+১ : ২ মাস

৩. জটিল রোগ বা অন্য কোন অঙ্গানুর রোগ থাকলে অতি দ্রুত চিকিৎসা করা

৪. তৎ সঙ্গে থাকা মানসিক রোগের চিকিৎসা

সূত্র : এন.সি.ডি সেণ্টার ডট কম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.