![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক: NCDcenter.com
শিশুর সৃজনশীলতা বিকাশে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হলো পরিবার। নিজের সন্তান বড় মানুষ হবে, সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে, এটা সব বাবা-মাই চায়। কিন্তু শিশুকে রেসের ঘোড়া বানিয়ে, সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা কবিতা আর গণিত মুখস্থ করিয়ে হয়তো ক্লাসে প্রথম বানানো যায়, কিন্তু এ প্রবণতার সুদূরপ্রসারী প্রভাব ক্ষতিকর। পৃথিবীকে বোঝার মতো মননশীলতা, উপলব্ধি ও জ্ঞান ঠিকঠাক অর্জিত না হওয়ায় পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠা হয় না তার। তাই শৈশবেই সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য শিশুকে উসকে দিতে হবে। প্রাত্যহিক পড়াশুনার বাইরে শিশুকে নিজেকে নিয়ে, নিজের চারপাশকে নিয়ে ভাবার পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। বাবা-মা চাইলে শিশুর চারপাশে, ঘরের চারদেয়ালে, টি-টেবিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে পারেন শিল্প-সাহিত্যে-চিত্রকলার নানা অনুসঙ্গ, বিখ্যাত বিজ্ঞানী, শিল্পীর ছবি। শিশুর সঙ্গে পৃথিবী বিখ্যাত বড় বড় মানুষের গল্প করতে পারেন, যা শিশুর মনোজগেক তুমুলভাবে নাড়া দিতে পারে। বড় মানুষ হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে। ঘরে বসিয়ে খাতা আর রঙতুলি ধরিয়ে ছবি আঁকতে না বলে শিশুকে নিয়ে যেতে পারেন প্রকৃতির মাঝে। শিশু গাছপালা, বন, পাহাড়, মানুষ দেখে মনের মতো করে ছবি আঁকতে পারে। এছাড়া শিশুকে সৃষ্টিশীলতা উসকে দেয় এমন গল্প শোনানোর পাশা-পাশি শিশুকেও নিজের মতো করে গল্প বলার বা তৈরি করার সুযোগ করে দিতে হবে। আমাদের শিশুরা ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোনের মতো নানা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে।
কেবল কম্পিউটার গেমস, কার্টুন সিনেমা না দেখে শিশুরা এসব প্রযুক্তি যাতে আরও ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে পারে, সে ব্যাপারে অভিভাবকদের মনোযোগী হতে হবে। বাবা-মা নিজেদের স্মার্টফোন দিয়ে শিশুকে প্রাণ ও প্রকৃতির ছবি তুলতে উত্সাহিত করতে পারেন। যা ওদের সৃষ্টিশীলতাকে যেমন বাড়িয়ে দেবে, তেমনি জীবন ও জগত্ সম্পর্কে উপলব্ধি ও কৌতূহলও বৃদ্ধি করবে।
আমাদের শিশুদের সৃজনশীল সত্তা সঠিকভাবে বিকশিত হলে ভবিষ্যতের বাংলাদেশে বিশ্বমানের গবেষক, চিকিত্সক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পীসহ অন্যান্য পেশার কীর্তিমান মানুষের অভাব হবে না।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩২
বর্ষন হোমস বলেছেন:
এই করতে হবে সেই করতে হবে।
সবই হবে হবে।এত সব গ্যাঁজিয়ে লাভ নেই।
বাস্তবে প্রয়োগ করতে গেলেই শখ মিটে আরকি।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমামদের সমস্যা হলো, আপনার সমান বয়সী শতকরা ৬০ জন স্কুলে যেতেই পারেনি; সেটাই আমাদের সমস্যা ছিল ও আছে, আপনার মাথায় আসল সমস্যা প্রবেশ করেনি
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: কেবল কম্পিউটার গেমস, কার্টুন সিনেমা না দেখে শিশুরা এসব প্রযুক্তি যাতে আরও ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে পারে, সে ব্যাপারে অভিভাবকদের মনোযোগী হতে হবে। বাবা-মা নিজেদের স্মার্টফোন দিয়ে শিশুকে প্রাণ ও প্রকৃতির ছবি তুলতে উত্সাহিত করতে পারেন। যা ওদের সৃষ্টিশীলতাকে যেমন বাড়িয়ে দেবে, তেমনি জীবন ও জগত্ সম্পর্কে উপলব্ধি ও কৌতূহলও বৃদ্ধি করবে।
শহরের ফ্ল্যাটে বন্দী শিশুরা বছরে একবার বেড়াতে গিয়ে প্রাণ ও প্রকৃতির ছবি তুলবে আর বাকি দিনগুলিতে কি করবে? কার্টুন গেমস ছাড়াও বাচ্চারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক সৃষ্টিশীল কাজই করছে। আমার পরিচিত এক পিচ্চিই ক্লাস ফোর থেকে এডাল্ট ভিডিও দেখছে। প্রযুক্তি হাতে তুলে দেয়া মানে শিশুদের শৈশবকে ধ্বংস করা এই ব্যাপারটা যতদিন অভিভাবকরা না বুঝবে ততদিন কিছুই হবে না।
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সবাই তো সন্তানদের ভাল রেজাল্ট হবে কি করে সেটা নিয়েই বেশি ভাবে। ভাল মানুষ হবে কি করে এটা নিয়ে ভাবার মানুষ কম।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশে এত পন্ডিত, আর আমি ভাবছি, ৫০% নামও লিখতে পারে না, কান্ড!