নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একদিন ঐ আকাশ ছুবো!!!!দেখে নিয়ো ……………

আব্দুর রব প্রান্ত

আমি পথিক। ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নকে জোড়া লাগিয়ে নতুন করে স্বপ্ন নিয়ে চলা এক পথিক। কারো ভালোবাসার জন্য অন্তত পথে অপেক্ষমান এক পথিক। আমি নিজেকে খুজেঁ পাওয়ার প্রত্যয়ে চলা এক পথিক

আব্দুর রব প্রান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মা নদীর মাঝি ২

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

কেতুপুর গ্রামের লোকদের মনে এখন আর সুখ নাই। তাদের জীবিকার সম্বল পদ্মা আজ মৃত প্রায়। পদ্মার বুকে চর জাগিছে। উঠেছে নতুন নতুন বসতী। পদ্মায় ইলিশের পরিমান কমিয়া আসিছে। কেতুপুরেরজেলে পাড়ার বাসিন্দারা তাই জীবিকার সন্ধানে বাপদাদার পৈতৃকপেশা ছাড়িয়া দিয়া নতুন নতুন পেশা বাছিয়া লইছে।হাতেগোনা যে কজন জেলেগিরি,মাজিগিরি করে তাহাদেরঅবস্থাও খুব খারাপ। এমনিতেই পদ্মা মৃত তার উপড় ইলিশের মৌসুমছাড়া বাকীসময় তাহাদের নাখাইয়া কাটাইতে হয়। তাই মৌসুম শেষে অনেকেই শহরে ইটভাটায় কাজ করিতে যায় নয়তো রিক্সা চালাইয়া জীবন চালায়। হঠাত করিয়া পদ্মার মৃত্যু কেউ যেন মানিয়া নিতে চায়না। কুবেরের ছেলে চন্ডি ও লখা আজও নদীর মাঝি। বাপের পেশা তাহারা ছাড়িতে পারেনাই। ছোট ছেলেটা আজও বাপের প্রত্যাবর্তনের জন্য পদ্মার পারে দাঁড়াইয়া থাকে। ছোট ছেলেটার বুঝ হওয়ার আগেই চুরির দায় মাথায় লইয়া খালা কপিলার সাথে পদ্মা পাড়ি দিয়া ময়না দ্বীপে চলিয়া গিয়াছিলো কুবের্।চন্ডিও লখার মুখে সে গল্প শুনিয়া বাবার প্রতি খুব ক্ষোভ হয় ছোট ছেলে নারিনের । কিন্তু বাপের প্রতি তার ভালোবাসা জন্মিয়াছে গোপীর মুখে তার প্রশংসা শুনিয়া। কুবের দেশ ছাড়িবার পড়েই তার শোকে কাতর হইয়া অল্পদিনের মধ্যেই মালা মারা যায়। পিসীর কাছে বড় হতে থাকে নারিন। কিন্তু সেবার বৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপা পড়িয়া পিসীও গত হইয়াছে। এরপর গোপীই নারিনকে কোলে পিঠে করিয়া মানুষ করিয়াছে। মাতৃস্নেহে আগলাইয়া রাখিয়াছে। গল্প করিয়াছে বাপের্। তাইতো নারিন আজও মৃত পদ্মার পানে চাহিয়া থাকে তার বাপের প্রত্যাবর্তনের্। অপেক্ষার প্রহর যেন তার শেষ হইতে চায়না। (চলবে…………)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

আব্দুর রব প্রান্ত বলেছেন: দারুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.