নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিব্বা সমাচার !!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

ডিপ্লোমা-রা ইঞ্জিনিয়ার নাকি বিএসসি(ইঞ্জিনিয়ারিং)-রা ইঞ্জিনিয়ার সেই তর্কে যাওয়ার আগে আমি বলবঃ

"ডিপ্লোমা" আর "বিএসসি(ইঞ্জিনিয়ারিং)"-দের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্যটাই তারা দেশব্যাপী সবার চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেখিয়ে দিল ২৯ সেপ্টেম্বরের তাণ্ডবের মাধ্যমে!



পলিটেকনিকগুলোর ছাত্রদের বিশেষভাবে যেখানে বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি, প্রযুক্তিগত উতকর্ষতা আর প্রকৌশলভিত্তিক দক্ষতার পরিচয় রাখা দরকার, সেখানে তারা উগ্রত, অসভ্যতা আর পাশবিকতার নগ্ন প্রদর্শন দেখিয়ে প্রমাণ করে দিল, আমাদের দেশে "পদবি ও বেতন"-টাই সবচেয়ে মূল্যবান, "যোগ্যতা ও পরিশ্রম"-এর কোনই মূল্য নেই।



আমার অনেক পরিচিত/সিনিয়র/জুনিয়র/বন্ধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার আছেন। তাদেরকে নিজের রক্তের ভাই বলে মেনেই বলছি, তাদেরকে কখনো নিজের চাইতে ছোট বলে মনে করিনি। বরং তাদের কারিগরি-অভিজ্ঞতা থেকে নিজে কিছু অর্জন করতে চেয়েছি, এবং একই সাথে তাদের কোন প্রশ্নের উত্তর-ও সঠিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার এই "উদার-দৃষ্টিভিঙ্গির" পিছনে হয়তো বা রয়েছে আমার পারিবারিক শিক্ষা; অথবা আমি প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করাও এর অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে।



বাংলাদেশের মানুষের ক্ষেত্রে "সুপেরিয়রিটি/ইনফেরিয়রিটি কমপ্লেক্স" তৈরী হওয়ার পিছনে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর (ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ) চাইতে আক্রান্তকারী জনগোষ্ঠীর (বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারগণ) ভূমিকা বেশী; কারণ আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা, ঢাকায় আছে বুয়েট, আর (মাপ করবেন) সাধারণত বুয়েটের প্রোডাক্টগুলো ও তাদের অভিভাবকদের গায়ে যে কি পরিমাণ অহংকার-প্রসূত কারেন্ট থাকে, তা বলাই বাহুল্য! বুয়েটিয়ানরা তো পারলে চুয়েট-কুয়েট-রুয়েটকেও তাদের গায়ে ঘেষতে দেয় না, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তো বহু দূরের কথা।



এসব উদ্ভট সমস্যা (আমি ডাক্তার, আমি ইঞ্জিনিয়ার-টাইপের সমস্যা) শুধুমাত্র আমাদের দেশেই হয়, একথা আমি আমার আগের লেখাতেই (Click This Link) বলেছি, যেখানে আমার এক সদ্য ডাক্তার বন্ধু ডাক্তারি প্ল্যাটফর্মে এধরণের বিবিধ সমস্যাকে ঘিরে আলোকপাত করেছিলেন।



আমাদের সবাই যার যার অবস্থা/যোগ্যতাভিত্তিক সত্যতা মেনে নিতে নারাজ। সবাই দেশের রাজা হতে পারেন না, কাউকে মন্ত্রী, কোতোয়াল, সেনাপতি, সৈন্য ইত্যাদি হতে হয়। বাকিরা প্রজা, প্রজারাও যার যার পেশা ও পদবি নিয়ে থাকেন। ডিপ্লোমারা যদি আমাদের বিএসসিদের মতই সমমর্যাদা চান, তাহলে দেশে দুই ধরণের প্রকৌশলব্যবস্থা থাকার কি দরকার? কেন তারা এস-এস-সি/এইচ-এস-সি পাশের পরেই পলিটেকনিকে ভর্তি না হয়ে প্রকৌশল-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়নি?



এসব প্রশ্নের হয়তো নানারকম উত্তর রয়েছে, কারো উত্তর অর্থের অভাব, কারো উত্তর উপযুক্ত আধুনিক শিক্ষার অভাব, কারো উত্তর প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা, কারো উত্তর মেধার অভাব, কেউ বা ছিলেন আমার মত ফাঁকিবাজ! এসব কারণেই তারা সহজলভ্য ও সহজে-আহরণযোগ্য "কারিগরি প্রকৌশলে" ভর্তি হয়েছেন, মূলধারার "প্রকৌশল শিক্ষায়" ভর্তি হননি।



আমার একটা পলিটেকনিকে কিছুদিন ক্লাস নেওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তাদের কারিকুলাম, বই, ইত্যাদিতে তো বিএসসি(ইঞ্জিনিয়ারিং) ইঞ্জিনিয়ারদের শিক্ষাব্যবস্থার অনেক তফাত আছেই; তার উপর তাদের জ্ঞান-আহরণ পদ্ধতি ও পরিব্যাপ্তিতেও তফাত স্পষ্ট। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই! স্রষ্টাই আমাদেরকে একে অন্যের চেয়ে পৃথক করে সৃষ্টি করেছেন।



তাই ডিপ্লোমা ভাই দের উদ্দেশ্যে বলি, পড়াশোনায় মন দিন, প্রতিযোগিতার দৌড়ে আসুন। আমার পরিচিত অনেক ডিপ্লোমা বড়ভাই ডিপ্লোমা শেষে চাকরিরত অবস্থায় ডাবল-বিএসসি পর্যন্ত নিয়েছে। আমার এক মামা ডিপ্লোমা করে এমএসসি-পিএইচডি করতে এখন অস্ট্রেলিয়ায়। অনেক ডিপ্লোমা ভাইদের কাছে বড় বড় বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারেরা আসেন কারিগরি বিভিন্ন সহায়তা নিতে কিংবা ফ্রিল্যান্স প্রজেক্ট কন্ট্যাক্ট নিয়ে। সাতকানিয়ায় আমার পরিচিত এক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার আছেন, যার পুরো ডুপ্লেক্স ঘরটাই অটোমেটেড, মাইক্রোকন্ট্রোলার প্রোগ্রামিং-এ ওস্তাদ তিনি! বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি/কোম্পানির সর্বোচ্চ পদে এমন অনেকেই আছেন, যারা মূলত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, হয়তো বা পরে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। আমার দেখা অনেক ক্ষেত্রেই ডিপ্লোমাদের অভিজ্ঞতাকে বিএসসিদের পুঁথিগত বিদ্যা থেকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়। পদোন্নতির দৌড়েও তারাই এগিয়ে থাকেন।

সুসংবাদগুলোকে গুরুত্ব দিন। যেখানে সম্মান পাবেন না, সেখানেই শুধু সোচ্চার হন।



পরিশেষে, এই আন্দোলনের পিছনে কোন ক্ষমতার রাজনীতি আছে নাকি, কিংবা ডিপ্লোমা ভোটব্যাংক বিএসসি ভোটব্যাংক-এর চেয়ে অনেক বড় হওয়ায় এদের অযৌক্তিক দাবীগুলো মেনে নেয়া হবে কিনা এ নিয়ে টোকাইদের মধ্যেও সন্দেহ দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে ভাল কোন কিছুই বেশীদিন টিকে না, কু-রাজনীতির আগ্রাসনে সব সম্ভাবনা শুধু "ভাষণের" ভিতরেই রয়ে যায়!

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-১

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: আপনি কি বলতে চাচ্ছেন তা আপনি নিজেই বোধহয় বুঝেন নাই :( :(

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

আবীর চৌধুরী বলেছেন: আমার ব্রেন একটু শর্ট তো, তাই কম বুঝি। আপনিই বুঝিয়ে দেন না, প্লিজ!
নিজেকে ধন্য মনে করব!

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

ভোরের শিশির । বলেছেন: এই পোষ্ট টা যিনি লিখেছেন । তিনি একজন অনেক বড় মাপের গাধা , বর্নান্ধ , ও উন্মাদ । কারন
১. আপনি বলেছেন আমরা নাকি বি এস সি ইন্জিনিয়ার দের সম মর্যাদা দাবী করেছী ! এটা আপনি মিথ্যা বলছেন । এটা ভূল নয় মিথ্যা । কারন আমরা বি এস সি এর সমমান দাবী করিনি । আমরা তাদের সহকারীর পদ চেয়েছি । কারন আগে আমাদের পদ ঐটাই ছিল । পরে আমাদের কে সাধারন টেকনীশিয়ান বা সুপার ভাইজার ঘোষনা করা হয়েছিল । আমরা এটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি ।
২. আপনি বর্নান্ধ । কারন বর্নান্ধরা যেমন কিছু কিছু রং দেখতে পায়না । আপনি ও তেমন কিছু কিছু ঘটনা দেখতে পান না । আপনি বলেছেন যে আমরা নাকি শুরুতেই ভাংচুর করছি । এটাও ঠিক নয় । কারন আমরা যে গত ২০০৮ থেকে অহিংস আন্দোলন করছি সেটা আপনার চোখে পরেনি । কারন আপনি তো বর্নান্ধ । শুধু ২৯ তারিখটা ই দেখতে পেয়েছেন । আর মনে রাখবেন । ডিপ্লোমাতে এমন পোলাপান ও আছে । যারা আপনাদের মত বি এস সি ওয়ালাদের পড়ানোর মত ক্ষমতা রাখে ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩

আবীর চৌধুরী বলেছেন: ভাই, আপনি শুধু আমার কথার নেগেটিভ দিকটাই দেখলেন। তাই আমাকে বিনা দ্বিধায় বাজে কতগুলো কথা বললেন।
মানুষকে সামনা-সামনি না দেখে তার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করাতেই আপনার পরিচয় ফুটে উঠল।
আর আমি আসলেই ঘটনার গভীরে যাই নি, যাওয়ার প্রয়োজনবোধ-ও করিনি! কারণ, আমার আশেপাশের ডিপ্লোমা ভাইদের মুখে এসব ব্যাপারে কোন দিন কোন কথা শুনিনি। হয়তো বা তারা এসব ব্যাপারকে গায়ে মাখত না, তাই বলার দরকার মনে করেনি।

ডিপ্লোমা হোক, বিএসসি হোক, সবাইকে উদ্দেশ্য করেই আমি লেখাটি লিখেছি। ইঞ্জিনিয়ারের আগে আমাদের বড় পরিচয় মানুষ, মনুষ্যত্ব ভুলে গেলে হবে না।

আর প্রশাসনের নজড় কাড়তে অহিংস আন্দোলনের বদলে হিংসার পথ যদি সবাই বেছে নিতে থাকে, তবে পৃথিবীতে প্রতি পদে-পদেই রক্তারক্তি হত।

ভালো থাকবেন।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: খুবই সুন্দর চিন্তা ভাবনা করে লেখা।

সত্যিই তো পদের পিছনে ছুটে বেড়ানোর তো কোন কারণ নেই, নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলুন, অন্যরা আপনার পিছনে ছুটে বেড়াবে।

আমার নিজের চোখে দেখা, সাধারণ রাজমিস্ত্রি বলছে ডিজাইনে ভুল আছে, যেখানে একজন ইঞ্জিনিয়ার ভুলটা বুঝতে পারছে না। এখানে রাজমিস্ত্রির কাছে হলেও যে শেখা যায় সেটাতো সত্যি নাকি? কিন্তু দেশের সকল রাজমিস্ত্রি যদি এখন বলতে থাকে আমাদের ও একটা সহকারী পদবী দিতে হবে তাইলে কেমন হবে? আর সেই কারণে আন্দোলন করে তারা যদি গাড়ি ভাংচুর করতে থাকে তাহলে ভোরের শিশির সাহেব তাকে কি বলবেন?

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: আপনি শুরুটাই করেছেন ডিপ্লোমাদের তাচ্ছিল্য করে। আপনার পোস্টের শিরোনাম হচ্ছে ডিব্বা সমাচার !! এরপরে যত উদারতা দেখান সেটা কি কাজে আসবে???

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

আবীর চৌধুরী বলেছেন: "ডিব্বা সমাচার"- না লিখলে ব্লগে কেউই লেখাটা পড়ত না!! লেখাটা না পড়লে এই ব্যাপারগুলোর ভালো-মন্দ দিকগুলো বেরিয়ে আসতো না। আলোচনাতেই সমাধান!

ইটস জাস্ট "পাব্লিসিটি স্টান্ট"!! বুঝলেন নাকি?

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩১

আবীর চৌধুরী বলেছেন: Click This Link

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২২

ভোরের শিশির । বলেছেন: মিঃ আবীর । আমি চাইনি আপনাকে কোন কটু কথা বলতে । আজকের সারা দিনের ব্যস্ততা । তার পর ব্লগে ঢুকে এরকম পোষ্ট দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারিনি । এজন্য দুঃখিত । আর আপনি আপনার যে বক্তব্য তুলে ধরেছেন । আমি তার উপর ই কথা বলেছি । আপনি আমাদের কিছু পজেটিভ দিক ও তুলে ধরেছেন । এজন্য ধন্যবাদ । আর আমি আশা করব যেকোন কারনেই হউক । কাউকে আক্রমন করে বা ব্যঙ্গ করে কিছু লিখবেন না । একজন বি এস সি ইন্জিনিয়ার বা উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিদের কাছথেকে এটা কারোর ই কাম্য নয় ।

৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৯

হন্টক২৮ বলেছেন: ডিপ্লোমারা যদি ডুয়েট ছাড়া অন্য আরও যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেখানে বিএসসি পড়ার জন্য আন্দোলন করতো তাও ভাল লাগতো।
যতদূর জানি বাইরের দেশেও তাদের টেকনিশিয়ানই বলে, আর এই আন্দোলনের সুবাদে তারা উপসহকারী প্রকৌশলী হয়ে গেল।

৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১১

ভোরের শিশির । বলেছেন: হন্টক । আপনার জানায় ভুল আছে । কোন কিছু জানতে হলে আগে বিষয়টা বুঝতে চেষ্টা করবেন । আর আমরা ২০০৮ এর আগ পর্যন্ত উপসহকারী প্রকৌশলী ই ছিলাম ।

৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:১১

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপোনার লেখার মূল বক্তব্যের সাথে একমত। শেখার আগ্রহ থাকলে তার এগিয়ে যাওয়ায় কেউ বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারবেনা, এটা সম্ভব না।

১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: আমি শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আমার জানা শোনার মধ্যে অনেক সীমাবব্ধতা ছিলো......প্রকৌশলী বা ইনজিনিয়ার বলতে আমি বুয়েট/বি আই টি/ রুয়েট/ কুয়েট/ চুয়েট থেকে বের হওয়া মেধাবী ছেলে মেয়েদেরকেই বুঝতাম.........

বর্তমানে পলিটেকনিক ছাত্রদের আন্দোলন আর ভাংচুর দেখে উৎসুক হয়ে তাদের দাবী দাওয়া গুলো দেখলাম......আমার সেখানেও কোন আপত্তি নেই......দাবী যৌক্তিক হলে অবশ্যই তা আজ হোক কাল হোক মেনে নেয়া হবে, আমার আপত্তি অন্য যায়গাতে.....

ব্লগে বেশ কিছু লিখাতে দেখতে পাচ্ছি পলিটেকনিক/ডিপ্লোমা স্টুডেন্টরা তাদের নিজেদেরকে বি এস সি দের সমকক্ষ বা কাছাকাছি দাবী করতে চাচ্ছেন, এও বলছেন যে বি এস সি রা তাদের কে ছাড়া অচল.....দেশ তাদেরকে ছাড়া অচল ইত্যাদি কথাবার্তা......এসব বলতে গিয়ে "এসি রুমে বসে হুকুম দেবার" মত প্রসংগও দেখতে পেলাম.......

ব্যবহার, লিখন রীতি, উপমার ব্যবহার আর বাচনভংগী দেখেই বুঝা যায় কেন কেউ কেউ বসেন এসি রুমে, আর কেন সেই রুমের টয়লেট বসানোর জন্য রাজমিস্ত্রীর পেছনে দাড়িয়ে থাকেন....

একটা কথা জানা থাকা উচিৎ সবারই, ঘোড়ার কাজ যেমন গাধা দিয়ে হয়না, বি এস সি র পরিপুরক হিসাবে কোনভাবেই পলি/ডিপ কারিগর দিয়ে হবেনা.....ঘোড়ার কাজ তেজী ঘোড়াকেই করতে হবে.......

আমার নিজের কর্মজীবনের অর্জন থেকেই বলছি......

বিমানের ককপিটে একজন ফ্লাইট ইনজিনিয়ার থাকেন......

পোষাকে, বয়সে, বেতনের দিক দিয়ে পাইলটের চেয়ে কোন ভাবেই তার অবদানকে আলাদা করার উপায় নেই, তথাপি তাকে সহকারী বৈমানিক বলার কোন সুযোগ নেই.....

তাহলে মেডিকেল গুলোতে ওয়ার্ডবয় / নার্স দের কে সহকারি চিকিৎসক, কলেজের ল্যাব সহকারীদেরকে সহকারী অধ্যাপক, সচিবালয়ের কেরানীদের কে সহকারী সচিব, মন্ত্রীর পি এস কে সহকারী মন্ত্রী বলতে হবে......

ডিপ/পলি ভাইদের কে পরিশেষে একটা কথা বলবো,

আপনারা কাজ না করলেও, বি এস সি রা আপনাদের কাজ করে দিয়ে দেশ সচল রাখবে, তারা না থাকলে আপনারা কি সেই কাজ করতে পারবেন ?

১১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

হেডস্যার বলেছেন:
লেখক সাহেব তো দুই কলম পড়া লেখা কইরা ধরের সরা জ্ঞান করতেছেন :D

চুল্কানি :#)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

আবীর চৌধুরী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় হেডস্যার, চুল্কাইতে চাইলে মিরপুর চিড়িয়াখানায় চলে যান। ওখানে আপনার ভাই-ব্রাদাররা লাফাতে লাফাতে আপনার শরীর চুল্কায়ে দিবে!

আমি এখানে নিজেকে বড় করে কোন কথা বলিনি। একচেটিয়াভাবে ডিপ্লোমা, বা বিএসসিদের পক্ষেও বলিনি! ধরাকে সরাজ্ঞান করা তো দূরের কথা!

চুল্কাতে থাকেন!

১২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

ভোরের শিশির । বলেছেন: মিঃ ডাষ্ট । আপনার কিচু মন্তব্যের সাথে আমি দ্বিমত পোষন করছি । আমি স্বীকার করি । আমরা বি এস সি দের সমক্ষ নই । আর আমরা ওদের সমক্ষ বলে দাবিও করি না । তবে একথা সত্য যে আমাদের ছারা বি এস সি রা মোটা মোটি অচল ।বাংলায় একটা প্রবাদ আছে যার কাজ তাকেই সাজে ।

১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন রিসাদ বলেছেন: আসসালামুয়ালাইকুম।
ভাই "ভোরের শিশির", আপনার কথার সাথে একমত প্রকাশ করি যে আপনারা নিজেদের বি.এস.সি. দের সমমান মনে করেন না। কিন্তু দ্বিমত পোষন করি যে, আপনারা মনে করেন আপনাদের ছাড়া আমরা অচল। বাংলাদেশে SIEMENS, LINDE (Former BOC), SAMSUNG, CHEVRON, MOTOROLA, COATS, BAT, etc Multi-National Company গুলোতে কিন্তু কোন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নেই। এই বড় বড় কোম্পানীগুলো চলে কেমনে??
MACHINE MANUFACTURING COMPANY - TRUTZCHLER, RIETER, ZINSER, SCHLAFORST, MURATA, ELECTRO-JET, MARUBENY, TOYOTA in Bangladesh এ ERECTOR হিসেবে ও কোন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নাই।

Bangladesh- এ A/C Plant/Compressor Company LUWA, BEST-AIR, BOGE, LTG, INGERSOLLRAND, KAESER etc. Company- গুলোতেও কোন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নাই।

USTER Quantum, LOEPE YarnMaster Company তেও কোন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নাই। এরা কেমনে চলে?

হুম, বাংলাদেশে লোকাল কোম্পানীগুলোতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার অনেক। সেখানে যদি আপনারা মনে করেন যে আপনাদের ছাড়া আমরা অচল, তাহলে অইসব কোম্পানীগুলোতে কর্মরত ইলেক্ট্রিশিয়ান/হেড ইলেকট্রিশিয়ান/ফোরম্যান দের ছারাতো আপনারাও অচল। কারণ অইসব কোম্পানীতে সব মেশিন রিলেটেড কাজ তো ওয়ার্কার রা করে। আপনারা শুধু তাদের মনিটর করেন আর রিপোর্ট করেন আমাদের কাছে।এছারা আপনাদের কাজ তো এর তেমন কছু না। সেখানে উচ্চ-পদে যেসব বি.এস.সি. ইঞ্জিনিয়াররা আছেন তারা কিন্তু শুধু বসে থাকেন না, তারা আসল কাজগুলোই করেন। যেমন প্ল্যানিং। একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে প্ল্যানিং এর গুরুত্ব আপনি আশা করি ভালোই বুঝবেন। প্ল্যানিং এ যদি একটু ভুল হয়, তবে সারাজীবন তার ফল অই কম্পানীকেই ভুগতে হয়। এরপর, এস্টিমেশন, ড্রয়িং ইত্যাদি।

তারপরেও আমি আপনাদের দরকার নাই তা বলবোনা, আপনারা থিক সেই কাজ টাই করেন যেই কাজটা আপনাদের কাজ। ার আমরাও থিক সেই কাজ টা করি যেটা শুধু আমাদ্র কাজ এবং যেই কাজটা আমাদের ছাড়া হবেনা।

আবীর চৌধুরীর সাথে একমত হয়ে আমি এটাও বলবো, "পড়াশোনায় মন দিন, প্রতিযোগিতার দৌড়ে আসুন।" অনেক ডিপ্লোমা ভাই আছেন, যারা এই প্রতিযোগিতার দৌরে আমাদের সমান বা আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তারা কিন্তু কখনো তাদের পদ/বেতন নিয়ে ভাবেন নি। কারণ তারা কাজ নিয়ে এতই ব্যাস্ত থাকেন, যে এইসব বিষয় নিয়ে তাদের ভাবার সময় টাই নাই। কিন্তু তাদের মুল্য ঠিকই তারা পাচ্ছেন। আর তাদের মুল্য তাদের কে তাদের কর্ম দিচ্ছে। তাদের কাজই তাদেরকে তাদের যোগ্য আসনে বসিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.