নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠক শো রিভিউ

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২১

কোন একটা চ্যানেলের একটা প্রোগ্রামে আওয়ামীলীগের একজন রাজনীতিবিদ/সমর্থক (বোকাচোদা সমর্থক) সাধারণ দেশবাসীর উপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। নিজেকে সাধারণ জনতার অংশ মনে করে ব্যাপারটা গায়ে নিলাম, আর রিমোটটা হাত থেকে রেখে ঐ প্রোগ্রাম দেখতে লাগলাম।



বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী (মেয়ে) শুরুতে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে দুটি মন্তব্য করেছে। তারই ভিত্তিতে অতিথিরা একে একে বক্তব্য দিলেন। সবার শেষে এল সরকারদলীয় ব্যাক্তির মন্তব্যের পালা।



তিনি বলতে লাগলেন, কেন মানুষ দুই দলকে এক চোখে দেখছে? কেন জনতা "দুই নেত্রী" কথাটিকে ভদ্র গালিতে রূপান্তর করছে? মানুষ কি দেখে না শেখ হাসিনা কি করেছেন।

তিনি গত ৫ বছরে বৈদেশিক রিজার্ভ ৪ বিলিয়ন থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার করেছেন [ডাটা সামান্য এদিক ওদিক হতে পারে।] তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এনেছেন, এখন আর বিদেশ থেকে খাদ্যদ্রব্য আমদানি করতে হয় না, বরং বেশ কিছু রপ্তানি করা যায়। তিনিই ঐ মেয়ে দুইটার মত অসংখ্য মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মত পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন, না হয় তাদেরকে বোরকা পড়ে ঘরে বসে থাকতে হত।



শুনে আমি বললাম, বাহ ! ঠিকই তো বলেছেন এই বালের (BAL) নেতা।



বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক রিজার্ভ বিনির্মাণে বিদেশে থাকা অগণিত বাংলাদেশীদের শ্রম ও মেধার তো কোনই ভূমিকা নেই। সবই তো তাহার করুণা! তিনি বা তার সরকার যদি এসব মেধাবী/পরিশ্রমীদের বিদেশ গমনের সুযোগ না দিতেন! অথবা তাদের পাঠানো অর্থ যদি কেউ গায়েব করে ফেলত! তখন কি হত?



খাদ্যশস্য উতপাদনে মাঠপর্যায়ের লাভের মুখ না দেখা কৃষকদের তো কোনই কৃতিত্ব নেই। তাদেরকে আমরা তাদের শ্রমের মূল্য যেমন দিব না, তেমনি ফসল ফলনের ক্রেডিট-টা-ও দেব না! খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা তো এনেছেন "সেই তিনিই"; তাহার বদৌলতেই দেশবাসী মুখে ভাত তুলতে পারছে। ভাতের লোকমা মুখে নেওয়ার আগে তার নাম নিব না?



আর নারীদের অগ্রগতির ব্যাপারে তেনার ভূমিকার কথা আর কি বলব? তার ভূমিকার জন্য বোরকা ব্যবসায়ী আর বোরকা শেলাইওয়ালাদের আজ ব্যবসায় মন্দা। এখন যুগ ক্যাটওয়াক আর র‌্যাম্পের। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া বা ইকস্টাসির ওয়েবসাইট দেখেই এই অগ্রগতি বোঝা যায়। যত দোষ তেঁতুলের! সময় এখন আপেল আর মিষ্টি কুমড়ার যে!



সহজ ভাষায় বললে বলা চলে, শেয়ালগুলো যে এতদিন মুরগীগুলো না খেয়ে পাহারা দিয়ে গেল, তাতে শেয়ালদের কি কোনই ক্রেডিট নেই? কেন আমরা তাদের গালি দিই? আসুন আর গালি নয়। শেয়ালদের আমরা বুকে টেনে নিই।



[আমি কিন্তু মোরগ ;) ]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৮

কর্পোরেট ভালোবাসা বলেছেন: বালের নেতাদের রক্ত আমাশয় দেখা দিয়েছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.