নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

“সংখ্যালঘু” ও সংখ্যালঘু নিয়ে রাজনীতি

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

শব্দে দোষ নাই, দোষ উদ্দেশ্যে। খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কোন ভাল শব্দ ব্যবহার করলেই শব্দটাকে খারাপ মনে হবে। ৭% হোক, আর ০.০৭% হোক, একটা দেশের সব জনগোষ্ঠীর অধিকার সমান-সমান। সংখ্যার ভিত্তিতে কম-বেশী অনুপাতে জনগোষ্ঠী থাকবেই।



মুসলিম বাদে অন্য সম্প্রদায়ের উপর আঘাত আসলেই মানুষ সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠে, সাম্প্রদায়িক পরিচয়টাকে প্রাধান্য দেয়। আর মুসলিমদের বেলায় সবসময় অসাম্প্রদায়িক হতেই হবে; যত দোষ নন্দ ঘোষ(ইসলাম ধর্ম)।

মূল কথা হল সবাইকে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের গণ্ডির মধ্যে থেকেই সামাজিক বন্ধন সমুন্নত রাখতে হবে। অপরাধী-সন্ত্রাসী-পথভ্রষ্টদের দোষ-অপকর্মের দায়ভার একতরফাভাবে সবার উপর দিলে বড্ড ভুল হবে।



আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করলে একটা দেশের এই সাম্প্রদায়িক টানাপোড়েন নিয়ে অনেক বহুদেশীয় রাজনৈতিক খেলা হয়। কেন আমাদের দেশের সনাতনধর্মালম্বী মানুষদের ভাগ্য নির্ধারণে ভারতের দিকে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে, কেন বৌদ্ধধর্মের মানুষদের বিপদে চীন-মায়ানমার উত্তেজিত হয়ে পড়বে? তারা কি ঐসব দেশের মানুষ? তারা তো এই দেশের-ই মানুষ। তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। তাদের সুবিচার দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।



সমাজে অকারণ উত্তেজনা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকুন, উত্তেজনা সহিংসতা ডেকে আনে। ধর্মের রীতি-নীতিতে দোষ না, দোষ মানুষের অন্তরে। তাই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করে যারা নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায় বা বিপরীত আদর্শকে বড় করে তুলতে চায়, তাদেরকে চিনে রাখুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুসলিম বাদে অন্য সম্প্রদায়ের উপর আঘাত আসলেই মানুষ সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠে।

আপনার এভাবে বলা ঠিক হচ্ছেনা।
ওয়াহিদুজ্জামানরা এই রকম বলেছিল, এরা বলবেই, আগেও এরকমই বলেছে!
এদের ভোতা 'ব্লেম গেইম' অনেক আগে থেকেই চলে আসছে।

বিম্পি-জাশি চক্রের ককটেল আগুনে বোমা, আগুনে পুড়িয়ে কাবাব বানানো সহ সকল প্রানঘাতি হামলাকেই এই চুপা শুশিলরা সাজানো বলে সরকারকে দায়ী করে চিপা মন্তব্য করে যাচ্ছে, কোন প্রাথমিক তথ্য প্রমান ছাড়াই!
বলে "কাছেই এত পুলিশ থাকার পরও 'কেমনে' হইল" .. নিশ্চই ..? বাসটির মালিক আম্লিগ .. তাই আম্লিগই দায়ী ...!!

এরা উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে 'অভিযুক্তদের পাপ' হালকা করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেই যাচ্ছে।

এরা গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন মারা যাওয়ার পরও একে সাজানো ঘটনা বলে আসছে
এই গোষ্ঠিরা এখনো বলে ৭১এর বুদ্ধিজীবি হত্যা ভারতীয়দের কাজ!
মালালাকে হুমকি দিয়ে ঘোষনা দিয়ে সাবধান করে কয়েক দিন পরে গুলি করা হয়েছিল। এর পরও এই গোষ্ঠি মালালা ঘটনা আমেরিকানদের সাজানো বলে ধারনা করে।
নাইন ইলেভেনের ধ্বংশকান্ডকেও তাই মনে করে।
লাদেন হত্যাকেও বলে কাল্পনিক!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০২

আবীর চৌধুরী বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী ভাই-

আপনি যা বললেন, সব ঠিক। কিন্তু, ঘটনার পেছনেও ঘটনা থাকে। সবকিছু প্রত্যক্ষ নয়, পরোক্ষ ঘটনাই বেশী।

তবে আমি যা বলেছি, তা অন্যপ্রসঙ্গে বলেছি। আপনি কি ভেবে আমাকে এসব জবাব দিলেন, জানি না!

আমি যা বলেছি, খুব ভেবে চিন্তে, নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে, সমাজের সব স্তরের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলেছি।

"মুসলিম বাদে অন্য সম্প্রদায়ের উপর আঘাত আসলেই মানুষ সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠে, সাম্প্রদায়িক পরিচয়টাকে প্রাধান্য দেয়। আর মুসলিমদের বেলায় সবসময় অসাম্প্রদায়িক হতেই হবে; যত দোষ নন্দ ঘোষ(ইসলাম ধর্ম)।"
- যেকোন সাধারণ হিন্দু/বৌদ্ধকে জিজ্ঞেস করুন, যে কোনদিন সাম্প্রদায়িকভাবে পরাস্ত হয়নি; সে আমার এই উক্তি বিনা দ্বিধায় স্বীকার করবে।

"আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করলে একটা দেশের এই সাম্প্রদায়িক টানাপোড়েন নিয়ে অনেক বহুদেশীয় রাজনৈতিক খেলা হয়।"-
উন্নত বিশ্ব থেকে শুরু করে তৃতীয় বিশ্ব, সব জায়গায় কম বেশী এই উক্তির যথার্থতা লক্ষণীয়।

সব শেষে যা বললাম, সেটা সবার জন্য। কোন দল বা গোষ্ঠীবিশেষের জন্য না-
"সমাজে অকারণ উত্তেজনা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকুন, উত্তেজনা সহিংসতা ডেকে আনে। ধর্মের রীতি-নীতিতে দোষ না, দোষ মানুষের অন্তরে। তাই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করে যারা নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায় বা বিপরীত আদর্শকে বড় করে তুলতে চায়, তাদেরকে চিনে রাখুন। "

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.