নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড্রোনকাহিনী

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

"বাংলাদেশ" নামক দেশটার আসলেই কোন উন্নতি হবে না। এদেশের সভ্য মানুষগুলোর অসভ্য কার্যকলাপ দেখলেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়।

ড্রোন/আনম্যানড-এরিয়াল-ভেইকেল (ইউএভি)/মানববিহীন-আকাশযান নিঃসন্দেহে আধুনিক প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যার এক অভিনব সংযোজন। বিশ্বের উন্নত প্রায় সব দেশই এই যন্ত্রের গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রয়োগ নিয়ে কাজ গুটিয়ে এনেছে; সামরিক খাতের পরে অন্যান্য মনুষ্যবান্ধব ক্ষেত্রেও এর প্রয়োগ শুরু হয়েছে বেশ আগে।

অনেক পরে হলেও সাস্ট (শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) ঘোষণা দিয়ে ঘটা করে এই ডিভাইস নিয়ে একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। তবে এর সবটুকু ক্রেডিট যায় সেসব সাহসী-উদ্যমী শিক্ষার্থীদের প্রতি যারা দেশের কথা চিন্তা করেই, শিক্ষকদের সহায়তা নিয়ে এই কাজে নেমেছে; ভার্সিটির নাম তো শুধু একটা লেবেল!

আমি নিজেও দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী/সামরিক বাহিনী বা অন্যান্য অনেক অগণিত ক্ষেত্রে মানুষকে সহায়তার জন্য এই প্রজেক্ট হাতে নেওয়ার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু, বাধ সেধেছিল মিডল-ক্লাস ফ্যামিলির গতানুগতিক চিন্তাধারা। তাড়াতাড়ি ভার্সিটির বৈতরণী পার হওয়ার ধান্ধায় এটা আর করে ওঠা হয় নি।



আসলে, দেশের যেকোন প্রতিষ্ঠানের যেকেউই এই কাজ শুরু করতে পারত, আর আদতে লাভ হত দেশেরই।

কিন্তু, কথায় আছে না, আমাদের দেশে কেউ উপরে উঠতে চাইলে অর্ধেক মানুষ তাকে উপর থেকে লাথি মারে, বাকি অর্ধেক নিচে থেকে পা ধরে টান দেয়; এ ব্যাপারেও একই অবস্থা হচ্ছে।

বুয়েট-কুয়েট-সাস্ট ও অন্যান্য অনেক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ড্রোন নিয়ে যে বহুমুখী কাদা ছোড়াছুড়ি ও বাদানুবাদে জড়িয়ে পরেছে, তার সাথে শুধু হিন্দি সিরিয়ালের শ্বাশুড়ী-ননদ-বৌ-এর নোংরা ঝগড়ারই তুলনা করা চলে।

কোন ভাল উদ্যোগের মধ্যেও কি করে রাজনীতি, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের সম্ভাবনা, হিংসা-রেষারেষি, অর্থফায়দা, সুপেরিয়রিট-ইনফেরিয়রিটি ইস্যু ঢুকিয়ে দেওয়া যায়, তা এই "বাংলাদেশের" মানুষ ছাড়া আর কে-ই বা ভাল বলতে পারে? কে আগে করেছে, সেটা নিয়ে নীচমনের পশুগুলো ঝগড়া করতে করতে এটাই ভুলে গিয়েছে যে, ইউএভি সবার আগে আমাদের দেশের বাইরেই তৈরী হয়েছে!! শুধু তাই না, আমাদের দেশের সরকার "বিশ্বের অঘোষিত কর্তা"-র নির্দেশিত পথে না চললে অনেক আগেই হয়তো আমরা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মত নিজেদের চোখে এই যন্ত্রের বিভীষিকাময় রূপ দেখতে পেতাম।

আবার কোন এক "এজেন্ট প্রোভাকেটার" বলেছে, নাশকতাকারীরা নাকি সাস্টের দুধের বাচ্চাগুলোর হাত থেকে এই যন্ত্রের আউটলাইন ছিনিয়ে নিয়ে দেশের স্থানে স্থানে ড্রোন হামলা চালাবে! ঐ গর্দভকে কেউ হয়তো এটা বলেনি যে, যদি সত্যিকারের ড্রোন বানানো এতটাই সহজ হত, তবে সে যে দেশের হয়ে তাবেদারী করে, সে দেশেও এটা এতদিনে বানানো হয়ে যেত!

আমাদের দেশের অলি-গলি, রাস্তাঘাট আর ফুটপাতের অপরিসীম ধুলাবালি এখন ফুসফুস/পাকস্থলী শেষ করে মানুষের মগজের দিকে হাত বাড়িয়েছে। সবার উন্মাদনা তারই প্রমাণ দেয়।



যারা ড্রোন বানাচ্ছে, বানাতে দেন। বাকিরা মিলে রাস্তা থেকে বালি তুলে তুলে বালির ব্যবসা করেন; তাতে নগরবাসী-ও অসহনীয় বালিঝড় থেকে বাঁচবে, আর নদীখননকারী অবৈধ জোতদারদের থেকে দেশের নদীগুলো-ও বাঁচবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: লেখা ভাল লাগল।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

পথহারা নাবিক বলেছেন: ভাই কোনটা ড্রন আর কোনটা RC তা কি জানেন?? জানলে আপনিও SUST কে আপনিও ছাগল বলতেন!!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আবীর চৌধুরী বলেছেন: আরে নাবিক ভাই, আগে তাদেরকে পথের খোঁজ করার চেষ্টা তো করতে দেন, তারপর না হয় "পথহারা" বলে তাদের আখ্যায়িত করেন!

আমাদের অনেকের বাসাতেই আগে এনালগ টেলিফোন ছিল, পরে এল ডিজিটাল টেলিফোন, এরপর কলার-আইডি, এরপর নোকিয়া ১১০০, এরপর নোকিয়া ৩৩০০, এরপর নোকিয়া এন৭০, এখন না হয় স্মার্টফোন ছাড়া লোকে স্মার্ট-ই বলে না!

গুগল থাকতে দূর-নিয়ন্ত্রিত আর মানববিহীন আকাশযানের পার্থক্য জানতে কারো বাকি আছে কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.