নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঁটগাবাসীর দুটো দিন

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৪

-গতকাল-



স্বরস্বতী পূজার দিন সন্ধ্যাবেলায় পাড়ার মণ্ডবে মধুব্যবসায়ী আর কদুব্যবসায়ীদের গান শোনা যাচ্ছিল। পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে অনেক বন্ধুদের সাথে দেখা হল। হিন্দু বন্ধুদের এভাবে একসাথে দেখার সুযোগ আর মেলে না। টেরিবাজার হাজারী গলি থেকে এদিকে দিদার মার্কেট পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য। একেক জন একেক উদ্দেশ্যে বের হয়েছে, তাতে আর সন্দেহ নেই! তবে এই জায়গাগুলোর মধ্যে আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের সামনে বিশাল পুলিশবহর শুধু সৌন্দর্যহানিই করছিল না, যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি অহেতুক উস্কানি তৈরী করছিল।

ও! মধুব্যবসায়ী আর কদুব্যবসায়ীদের গানের রহস্য উদঘাটন করাই হয়নি! মধুব্যবসায়ীরা গায়- "ও মধু! ও মধু! আই লাভিউ! আই লাভিউ!..." বড়ই রোমান্টিক গান; এ গানই বলে দেয় ভালবাসা হতে হয় মধুর মত অপচনশীল। শুধু দিন-দিন মধুর দামটা না বাড়ালেই হয়।

আর কদুব্যবসায়ীরা গায়- "কদ্দু কাটেগা তো সাব মে বাটেগা..." গানটার নৃত্যায়নের কথা চিন্তা করেই হয়তো তাদের চোখ জ্বলজ্বল করে উঠে!



-আজ-



দুইদিন ধরে এলাকায় পানি নেই। কখন আসবে কেউ জানেনা। আর নালাগুলো ময়লা পানিতে জমাট বাঁধা, নীরব-নিথর, মশার বংশবিস্তারের জন্য সর্বোচ্চভাবে প্রস্তুত, যেকোন দিন উপচে রাস্তা ভাসিয়ে দিবে।

দুটো ঘটনার জন্যেই দায়ী নগরব্যাপী ওয়াসার সংস্কার কাজ; নিশ্চিতভাবেই যা অপরিকল্পিত। আরো যে দুটো জিনিস নগরবাসী বেশ কয়দিন উপহার হিসেবে পাচ্ছে, তা হল "যানজট" আর "বালুসাগর"।



আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধুর বালুসাগর নামক মিষ্টি খুব পছন্দ, আমি কিন্তু মিষ্টির কথা বলছি না। শীতের কনকনে বাতাসের সাথে অহর্নিশি আমাদের যে বালিময় নাকানি-চোবানি খাওয়ানো হয়, তারই নাম "বালুসাগর!" ফুটপাত, রাস্তাঘাট আর দালানকোঠার নির্মাণকাজের আগে, পরে এবং নির্মাণকালীন সময়ে বালি দিয়ে আশেপাশের অঞ্চলে "স্পেশাল এফেক্ট" তৈরী করা কিছু বরাহনন্দনদের খুবই শখের কাজ। তাতে অবশ্য আমার মত শ্যামবর্ণের মানুষদের খুবই সুবিধা হয়, ঘর থেকে বের হলেই ধলা হয়ে যাই।



আর এখন যানজট নতুন মাত্রা নিয়েছে। যেখানে-সেখানে রিকশা-সিএনজি-প্রাইভেট কার পার্কিং, টেম্পু-বাস ও অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টের যত্রতত্র অবস্থানের পিছনে শুধু জাতিগত উদাসীনতা ও বেয়াদবীই কাজ করে না; তার সাথে রয়েছে প্রশাসনের মদদ আর ক্ষমতাসীন দলের জারজ পাতিনেতারা, যারা ঘুষ আর উপঢৌকনের বিনিময়ে সাধারণ মানুষকে অসাধারণ অপকর্মের সুযোগ করে দেয়। সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে শহরব্যাপী কাঁচাবাজার। বক্সিরহাট, চকবাজার, রিয়াজউদ্দিনবাজার, কাজীর দেউড়ী, বহদ্দারহাট ও অন্যান্য বড় কাঁচাবাজারের গণ্ডি পেরিয়ে এসব ভ্রাম্যমান কাঁচাবাজার এখন দখল করে নিয়েছে শহরের অলি-গলি, ছোট রাস্তা আর বড় রাস্তার দুইপাশ এবং ফুটপাত-ও! দেশটাকে "আবর্জনা"-র ভাগাড়ে পরিণত করতে জাতি আজ বদ্ধ পরিকর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.