নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুধা থেকে সাবধান

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৩

খ্যাতির ক্ষুধা, আসলেই শারীরিক বা জৈবিক ক্ষুধার সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করার মতই সামর্থ্য রাখে। অর্থের ক্ষুধা, ক্ষমতার ক্ষুধা আর শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষুধাও খ্যাতির ক্ষুধার সাথে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠে না। পার্থক্য শুধু অর্থ, ক্ষমতা ও শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষুধায় এমন কিছু পাওয়ার স্বার্থ থাকে যাকে সরাসরি স্পর্শ করা যায়। আর খ্যাতির ক্ষুধায় থাকে মানুষের মাঝে মহান, দয়ালু, ভাল হয়ে উঠার এক প্রচন্ড রকমের লুকানো স্বার্থ।

সাধারণত, যেসব মানুষ অর্থ, ক্ষমতা বা শ্রেষ্ঠত্বের যেকোন একটি বা দুটি বা সবগুলো জীবনে অর্জন করে ফেলে, তারা খ্যাতির পিছনে স্বভাববশতই হাত বাড়ায়। জীবনে যারা সাধারণ মানুষের সাহচর্য পায়নি বা সহ্য করতে পারে না, তারা কখনো নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সহায়তার জন্য কাজ করতে পারে না, তাদের তথাকথিত “অলট্রুয়িজম”-এর পিছনে কোন না কোন স্বার্থ ও পার্থিব উদ্দেশ্য কাজ করে।

খ্যাতির লোভে লোভাতুর না হয়ে, এর উর্ধ্বে গিয়ে মানুষকে সাহায্য করার অর্থ হল- মানুষের অনুভূতিগুলোকে বুঝতে শিখা, কাউকে অবহেলা না করা এবং নিজের কাজের গণ্ডির মত নিজের হৃদয় ও দৃষ্টিভঙ্গিকে বড় করে তোলা। তবে এরকম “সাদা মনের মানুষ” মানবজাতির ইতিহাসে হাতে গুণেই শেষ করা যাবে; তাদের সংখ্যার অস্বাভাবিকতা দেখে এটাই বলা যায় যে, “খ্যাতির প্রতি বিতৃষ্ণা” তাদের একধরণের জটিল মনোরোগ।

বেশির ভাগ খ্যাতি-খাদক ব্যক্তিরা অন্তত ভিতরে-ভিতরে প্রচণ্ড “আত্মপ্রেমী” বা “নারসিসিস্ট” হয়। সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটের সুপ্রাপ্যতার কল্যাণে আজকাল এদের সংখ্যা আমাদের দেশেও বেড়ে গিয়েছে। দেশে-দেশে ধর্ম বা সম্প্রদায়ের বিলুপ্তির সাথে সাথে লক্ষ-লক্ষ “-ইজম”-এর জন্ম হচ্ছে। একই মানুষ যে কত “-ইজম”-এ বিশ্বাসী, তা হয় তো সে নিজেও জানে না। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা শারীরিক বা জৈবিক ক্ষুধার জন্য হাহাকার করে, তারা পূজা করে যায়; আর অর্থ, ক্ষমতা, শ্রেষ্ঠত্ব ও খ্যাতির ক্ষুধায় ক্ষুধার্তরা “পূজনীয়”-র আসনে বসে থাকেন।

সাধারণ মানুষের অসাধারণ অন্ধ-বিশ্বাসের কারণেই খ্যাতিমানেরা বিখ্যাত বা কুখ্যাত হন। আর জনসাধারণের লাভের খাতায় জীবনের শেষে যোগ হয় দুটো বড়-বড় শূন্য। প্রকৃতপক্ষে, যেসব মানুষ “স্বার্থলোভী-বিখ্যাত”দের আলোকবর্তিকার পাশে কীটপতঙ্গের ন্যায় অবিরত পরিভ্রমণ করে, তাদের শুধুমাত্র দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ নিজেদের জীবনে কোন না কোনভাবে উপকৃত হন। বাকিদের কেউ কেউ হয়তো উপরে উঠার পথ পায়, ধোঁয়াশার মত সিঁড়িতে বেয়ে চলে চলে একসময় দেখে তার সেই পথপ্রদর্শক আসলে এক ভণ্ড, বকধার্মিক, বিড়াল-তপস্বী।

তাই সকলের উচিত নিজের তেলে নিজের সলতে জ্বালানো। এখন সময় নিজেকে নিজের পথ দেখানোর, হাঁটা শেখানোর। বিশ্বের দুয়ার সবার জন্যে খোলা, ইন্টারনেট নামক জানালা দিয়ে চেয়ে দেখুন। মানুষের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা করে যারা বিখ্যাত হতে চায়, তাদের থেকে বিরত থাকুন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ক্ষুদ পিপাসা আছে বলেই
এত ক্ষুদার প্রয়োজন
তার জন্যই সমাজ সংসার
রাজনীতি কত প্রহসন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.