নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলমগ্ন ফুটবলপ্রেমী

২২ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

ব্রাজিলের সাপোর্টার হয়েও বলছি, মেসি যে গোল দিল তাতে রীতিমত মুগ্ধ আমি। টিভিতে চলছে এরকম একটা খেলা, আর চট্টগ্রামকে ভেনিসে পরিণত করে রিকশার স্থলে চলছে নৌকা! এজন্য ধন্যবাদ দিতে হয় সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ (Chittagong Development Authority), দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের।



না, না, এদের ধন্যবাদ দিয়ে কি হবে? আসুন, জনতাকে ধন্যবাদ দেই। যারা জলাবদ্ধ নগরীকে সুইমিং পুল, সউনা, বাথটাব প্রভৃতি হিসেবে উপভোগ করেন। এই জনতাই ৮ মাস পরিশ্রম করে নগরীকে এরকম বানিয়েছেন। আঁতুড়ার ডিপো থেকে শুরু করে সুগন্ধা আবাসিক এলাকা- সব জায়গাতেই ড্রেন ও ডাস্টবিন মিলে মিশে একাকার। পানি কি আসমানে উড়ে যাবে নাকি?



Click This Link



একটু ফ্ল্যাশব্যাক।



কয়েক মাস আগেও মৌসুমী ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিতে মেসির প্রিয় এই Digital নগরীতে সেইরাম বিশুদ্ধ পানিপূর্ণ জলাবদ্ধতা হয়। এর কয়দিন পরেই প্রশাসনের সচেতন ও অসহায় কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট ও কর্মকর্তা চান্দগাঁও-বহদ্দারহাট এলাকায় খালের উপর খাল ভরাট করে নির্মিত বাসা-বাড়ি, মার্কেট ইত্যাদি উচ্ছেদে যান।

সেখানে অবতার হিসেবে আবির্ভুত হন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর; ম্যাজিস্ট্রেটদের নিষ্ঠুর আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি নিজস্ব বাহিনী নিয়ে তাদের উপর চড়াও হন (পুলিশ-টুলিশ হন্ডুরাস সাপোর্টার, দুধভাত)।

তাৎক্ষণিকভাবে ম্যাজিস্ট্রেট প্রশাসনের কাজ বাধা দেওয়ার জন্য ঐ কাউন্সিলরকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। বেচারা পুলিশ না চাইতেও রেড কার্ড দেখিয়ে তাকে নিয়ে যায় নিকটস্থ থানায়।

ফলস্বরূপ পরদিন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ- "ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জনতার থানা ঘেরাও।"



এবার একটু ফ্ল্যাশফরোয়ার্ড।



বিজ্ঞানী-প্রকৌশলীরা নালা-নর্দমার মল-মূত্র ও আবর্জনার পানি থেকে কি করে জ্বালানী বানানো যায়, তা আবিষ্কার করে ফেললেন। ফলস্বরূপ, পেট্রোল-ডিজেল-অকটেন ও গ্যাসের দাম পেপে ও মুলার মত কমে গেল। পুঁজিবাদী যুদ্ধংদেহী দেশগুলো ইরাক-আফগানিস্তান থেকে নজর ঘুরিয়ে নজর দিল সিরাজউদ্দৌলার বাংলার দিকে। বৃষ্টি পরলেই যে এদেশের শহরের রাস্তা-ঘাট, বাসা-বাড়ি, অলি-গলি সবকিছু সোনায় ভরে যায়। জ্বালানী মানেই সোনা। তখন ১ টাকা = ৮০ ডলার। আমাদের আর কে ঠেকায়?



সবশেষে ফ্রি উপদেশ।



যদি দ্রুত এই শহরকে "নালা" থেকে নগরীতে পরিণত করতে চান, তাহলে-



১) মানুষকে ড্রেনে তরল ছাড়া আর কোন জিনিস না ফেলতে আদেশ দিন।

২) অলি-গলির ড্রেনকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার না করতে আদেশ দিন।

৩) খাল ও ড্রেন ভরাটকারীকে বাঘের খাঁচায় নিক্ষেপ করুন, সে যে-ই হোক।

৪) প্রত্যেক ওয়ার্ডে আবর্জনা সংগ্রহ ও পরিবহন ব্যবস্থা আরো সচল ও দ্রুত করুন।

৫) বড় নালা বা খাল তৈরী ছাড়া কোন আবাসিক এলাকা গঠন করা যাবে না- এরকম আইন জারি করুন।

৬) হাইওয়ের পাশের খাল ও নালাগুলো প্রশস্ত ও গভীর করুন।

৭) যেকোন ধরণের ব্রীজের ভিত্তিকলামগুলোর আশেপাশের মাটি সিমেন্ট দিয়ে পাকা করার উদ্যোগ নিন; যাতে মাটি ধ্বসে ব্রীজ ভঙ্গে না পরে।

৮) শহরের প্রত্যেক খাবারের দোকানের সামনে তাদের নিজস্ব ডাস্টবিন রাখতে আদেশ দিন, যাতে যেখানে সেখানে প্লাস্টিকের পণ্য পরে না থাকে। প্লাস্টিকই পরিবেশ বিপর্যয়ের মূল কারণ।

৯) অলিগলিতে ড্রেন সংরক্ষণ ও সংস্কারের দায় সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীকে দিয়ে দিন। মানুষ নিজের বিল্ডিং বানাতে গিয়েই আশেপাশে ড্রেন ভরাট ও গায়েব করে ফেলে।

১০) রাস্তাঘাটে আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেন তৈরীর উদ্যোগ নিন। এতে রাস্তায় পানিও জমবে না আর রাস্তা সংকুচিত-ও হবে না।

১১) প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো যারা ভরাট করছে, তাদেরকে সিটি কর্পোরেশনের ছাদ থেকে ফেলে দিন। শহরে পুকুর, বিল, লেক (হ্রদ), ডোবা ইত্যাদির প্রয়োজনীয়তা অনেক। যেকোন জলাশয় বৃষ্টির মিঠাপানিকে ধরে রাখে। এগুলো সুপেয় পানির আধার। এসব জলাশয়ের সাথে মাটির সংযগ থাকে। নগরে জলাশয় কমে গেলে ভুস্তরের নিচে পানি চলে যাওয়ার পথ না থাকায় বন্যা ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে মাটির নিচে পানির স্তর-ও কমে যায়। মানুষ একুল-ওকুল দুকুল হারায়।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

পৈতাল বলেছেন: ভালোকে ভালো, খারাপকে খারাপ বলুন। ফ্রি-ফ্রি পেনাল্টি পাওয়ার জন্য রেফারির বাসা ঘেরাও দিয়েন না
সহোমত।

২| ২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। সহমত।

৩| ২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ভালোই বলেছেন।

৪| ২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩১

মোবারক সরকার বলেছেন: Very Good. Valo laglo

৫| ২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩১

শেখ মফিজ বলেছেন: সমাজের রুদ্ধ্রে রুদ্ধ্রে দুর্নীতি অসচেতনা বাসা বেধেছে ।
কে কাকে কি বলবে ।
যার যেখানে যতটুকু ক্ষমতা, সে তাতেই অপব্যবহার করছে ।
সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ ,দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা তো আছেই ।
খাল নদর্মা যা আছে তার উপর বাড়ী দোকান সব হচ্ছে,
মাকের্ট দোকান পাট বাজার আর
যার ঘরে যত রকম ময়লা আছে সব ড়্রেনে ।

৬| ২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ৩ দিন ধরে পানি বন্ধী। আর আপনি রসিকতা করেন?

২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:১৯

আবীর চৌধুরী বলেছেন: রসিকতা-টা এই জন্যেই করা যাতে আদালতে ডাক পরলে বা কেউ গুম করে নিয়ে গেলে কৈফিয়ত হিসেবে বলতে পারি।

আর রসিকতা করব না তো কি করব? যারা পানিবন্দী, তাদের নিজেদের-ও দোষ আছে। এরকম না যে এই বর্ষাতেই প্রথম পানি উঠেছে। বার বার উঠে, আর বর্ষা গেলেই আবার তারা ভুলে যান, না হলে বাসা বদলে ফেলেন।

সবাই উপরের তলায় বাসা নিয়েও লাভ নাই। খাবারের খোঁজে হলেও নামতেই হবে!

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আমি হামজারবাগ হিলভিউতে থাকি ।
এবং এই চট্টগ্রামের মানুষ গুলার ওপরে আমি ক্ষুব্ধ । >_<

৮| ২৩ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

ডায়লগ বাবা বলেছেন: ভালো বলেছেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.