নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে বৈরিতার কোন শেষ নেই

১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১০

জার্মানির ব্রাজিল বধের শোক ছাপিয়ে এখন হৃদয় আমার শত শত নিষ্পাপের লাশের রক্তে রঞ্জিত।

এভাবে মৃত্যুবরণই যদি তাদের নসীবে ছিল, তবে আল্লাহ কেন তাদের আত্মাকে মাটির পিঞ্জিরে বন্দী করে এই পাপের দুনিয়ায় পাঠালেন, তা মনে প্রশ্ন জাগে।



পৃথিবীতে বংশপরিক্রমায় যুগ-যুগ ধরে কিছু অদ্ভুত বৈরিতা চলে আসতে দেখেছি। এসবের পিছনে আদতে কোন স্বার্থ জড়িত নেই।

উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল শত্রুতা ফুটবলে শুরু না,শুরু অন্যখানে, ফুটবলের প্রচলনের অনেক অনেক আগে। সেই বৈরিতা কালে কালে শুধু রূপ পালটায়; লক্ষ মাইল দূরে কোন এক পাগলাটে দেশের শহরে-গ্রামে মানুষ কামড়া-কামড়ি করে ঐ শত্রুতার জের ধরে। অনেকে একে "মধুর শত্রুতা" বলতে পারেন। তাদেরকে ইতিহাসের বই ঘাঁটতে বলছি, কোন আর্জেন্টাইন-ব্রাজিলিয়ানের সাথে কথা বলতে বলছি। তাহলেই বুঝবেন, উত্তরাধিকারসূত্রে মানুষ শুধু সম্পত্তি বা দোষ-গুণ পায় না, শত্রুও পায়!



কেউ কেউ বলতে পারেন, প্যালেস্টেনিয়ান মুসলিমদের হত্যার জন্য ইসরাঈলি ক্ষমতাসীনেরা দায়ী; সাধারণ ইহুদীরা দায়ী না। তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, প্রত্যেক জাতিরই রক্তের দোষ আছে। ইহুদীদের সেই দোষ সবচেয়ে বেশী। জ্বিন জাতির মধ্যে "ইবলিশ" যেরকম সবচেয়ে বেশি নেয়ামত ও ক্ষমতা পেয়ে সমাদৃত হয়েও বেঈমানী করেছিল, ঠিক তেমনি বনী-ইসরাঈল জাতিও জ্ঞানে-গুণে-রূপে বিশ্বে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ জাতি। আফসোস, যুগে যুগে তাদের হারামিপনা দেখেছে এই বিশ্ব। তাদের কূট-নীতির সামনে কালে কালে মাথা নত করে এসেছেন বিশ্বের নেতারা।



একমাত্র হিটলারের মত বেপরোয়া, গোয়ার একনায়কই তাদের জন্য "পারফেক্ট ট্রিটমেন্ট" ছিল।



যারা আমার মত কবরে বছরের পর বছর পরে থাকার চিন্তায় চিন্তিত, তারা এখন নিশ্চিন্ত হতেই পারে। কারণ, কিয়ামতের অন্যতম কিছু লক্ষণ, মুসলমানদের উপর বর্ধিত অত্যাচার, তাদেরকে কোণঠাসা করে ফেলা, বিদ্রোহী মুসলমানদের জঙ্গি-সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া, মুসলমানদেরকে ধর্মকে যথাসম্ভব ব্যক্তিগতভাবে পালনের জন্য বাধ্য করা, আমার মত "নামে মুসলমান" আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়া, দুনিয়াজুড়ে নাস্তিক্যবাদের নবউদয় হওয়া।



পাশ্চাত্য মিডিয়া ও পৃথিবীর শক্তিধর দেশগুলো এখন মুখে কনিষ্ঠা আঙ্গুল ঢুকিয়ে বসে আছে। তবে আমাদের দেশের অনেক মানুষকে যখন ইসরাঈলি জারজদের এসব কাজকে ভেরিফাই করার জন্য "তথাকথিত" ইসলামী জঙ্গি সংগঠন হামাস, বোকো হারাম, আইএসআইএস বা ইসলামী ব্রাদারহুডের নাম উচ্চারণ করতে দেখি, তখন তাদের মস্তিষ্কের ক্ষীণতার জন্য আফসোস করতে হয়। মুদ্রার এই পিঠ দেখে বিচার করার এই প্রবণতা তবে বিশ্বের ৯৯% মানুষেরই। এই ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলো এক-একটা "বাকের ভাই (কোথাও কেউ নেই)" বা "রঘু/রোহিত (বাস্তব/হাতিয়ার)" বা "সমীর শেখ (নিউইয়র্ক)"।

রাজনীতি, কুটনীতি, অর্থনীতির ক্ষমতায়ন ও অপব্যবহারের কারণেই যুদ্ধ হয়, সরকার পতন হয়, নতুন সরকার আসে, মাঝে তৈরী হয় কিছু "তথাকথিত" জঙ্গি সংগঠন।



ইসরাঈলের পুষ্ঠলেহনকারী পাশ্চাত্য মিডিয়া এমন একটাও লাশ বা ধ্বংসযজ্ঞ দেখাতে পারেনি, যা প্রমাণ করে হামাসের মত ভিত্তিহীন সংগঠনের "লিমিটেড একুরেসি"-র মিসাইলগুলো কোন কাজে এসেছে। বরং প্যালেস্টে্নিয়ানদের লাশ ও ধ্বংসস্তুপ দেখানোর পাশাপাশি তাদের রিপোর্ট পরোক্ষভাবে এই ধারণাকে শক্তিশালী করে যে- "ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়" করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই বিশ্বের এই অন্যতম সামরিক মহাশক্তিধর দেশটির।



"আমি চাইলে সব ইহুদীদের হত্যা করতে পারতাম, কিন্তু কিছু ইহুদী বাচিয়ে রেখেছি, এই জন্যে যে, যাতে পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পারে, আমি কেন ইহুদী হত্যায় মেতেছিলাম!" ----- এডলফ হিটলার



Some men are considered or misinterpreted as Great Villains of mankind; actually the significance of their deeds lies in the veil of time.

Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৬

পার্থ বসাক বলেছেন: হিটলার কি আসলেই এই কথা বলেছে ? রাশিয়া জার্মানি আক্রমণ করার সময় তো হিটলার নিজেকে আর তার নাৎসিকে কাভার দেওয়াতেই ব্যাস্ত ছিলেন আর তার আগে তার রেজিমেন্টের সৈন্যরা ব্যাস্ত ছিলো ইহুদী মারাতে । হিটলার তার Zweites Buch বইতে জার্মানিতে এবং ইয়োরোপে ইহুদিদের তৈরি করা সমস্যা নিয়ে লিখেছেন । হিটলারের মৃত্যু ইহুদিদের মারতে মারতেই হয়েছে ।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৬

পার্থ বসাক বলেছেন: হিটলার কি আসলেই এই কথা বলেছে ? রাশিয়া জার্মানি আক্রমণ করার সময় তো হিটলার নিজেকে আর তার নাৎসিকে কাভার দেওয়াতেই ব্যাস্ত ছিলেন আর তার আগে তার রেজিমেন্টের সৈন্যরা ব্যাস্ত ছিলো ইহুদী মারাতে । হিটলার তার Zweites Buch বইতে জার্মানিতে এবং ইয়োরোপে ইহুদিদের তৈরি করা সমস্যা নিয়ে লিখেছেন । হিটলারের মৃত্যু ইহুদিদের মারতে মারতেই হয়েছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.