![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টিভি/পত্রিকায় গত বেশ কয় বছর একটা নিয়মিত খবর হল- "চট্টগ্রাম/ঢাকা/সিলেটের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন", ঠিক যেমন ঈদের মৌসুমে নৌপথে দূর্ঘটনা হয়ে মানুষ মারা যাওয়া একটা স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
শিক্ষা যেখানে শুধুই অহংকারীর অহংকার, অর্থ আয়ের মাধ্যম, খাদ্য থেকে খাদকে রূপান্তরের হাতিয়ার, সেখানে তো এসব ঘটবেই। শিক্ষা এখানে জীবনযাপনের মানোন্নয়নে ব্যবহৃত হয় না, মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হয় না।
সরকারের পে-স্কেলে ঘাটতি প্রচুর- মানি, যোগ্য মানুষকে পুরস্কৃত করা হয় না- এটাও মানি। কিন্তু তারপরেও কিছু পাগল থাকে, যারা খাওয়া-পরা-থাকার সুযোগ পেলেই দেশের জন্য রেলসেক্টর/নৌসেক্টরের উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে রাজি আছে। এখন অপেক্ষা শুধু সদিচ্ছার।
যারা সরকারী চাকরিতে আছেন, তাদের হাত-ও খুলে দেওয়া উচিত, মুখটাও। ফাইল থেকে ধূলা ঝাড়া, গাড়ী করে সরকারি বাসা থেকে অফিসে যাওয়া আসা করা, উচ্চপদস্থকে স্যলুট দেওয়া, নিম্নপদস্থকে ঝাড়ি দেওয়া ছাড়া আরো অনেক কিছু করার আছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
ডিজাইন এন্ড ডেভেলাপমেন্ট কোয়ালিটিতে সরকারের রিসোর্স পুওর; সাথে দূর্নীতি, টাকার খেলা আর ক্ষমতার অবৈধ প্রয়োগ তো আছেই। এজন্যই রেল ও নৌপথ আজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে, যে দুটো মাধ্যম এ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য। সড়কপথের ব্যবসায়ীরা অঢেল ব্যবসা করতে পারছে একমাত্র বাকি দুটো মাধ্যম মুখ থুবড়ে পরে থাকার কারণেই। এর সাথে ইটভাটার মালিকেরা, টেন্ডারবাজ ঠিকাদারেরা, ফুয়েল স্টেশনের মালিকেরা, জ্বালানি তেল আমদানিকারকেরা- সবাই জড়িত।
লাভ করা দোষের কিছু না; কিন্তু এ দেশের মানুষের লাভের লোভটা একটু বেশিই বেশি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩২
নিষ্কর্মা বলেছেন: সম্পূর্ণ একমত আপনার সাথে। এই দেশের নাম সোনার বাঙলা এই কারণে যে এই দেশে কোন দিনই অপরাধীদের বিচার করা হয় নাই, ইনশাল্লাহ আগামীতেও হবে না। আমরা একে অপরের ভাই, আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হল ভাইয়ের চামড়া রক্ষা করা, এবং বিনিময়ে নিজের চামড়া রক্ষা করা।