নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভোক্তারা যখন নিরুপায় ও জিম্মি

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০০

সাধারণ মানুষ সচেতন ও একতাবদ্ধ হলে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করা সম্ভব! আর সেই সাধারণ মানুষ যদি ফেসবুক ব্যবহারকারী হয়, তাহলে আরো অনেক কিছুই সম্ভব!
ফেসবুকে আমরা যত সচেতনতামূলক কথা শেয়ার করি, সেগুলোর ৯০%-ই বিফলে যায়, এটা অনস্বীকার্য সত্য। তবে, সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক, টুইটার, ইত্যাদি), প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া সব যখন একসাথে কোন বৃহৎ উদ্দেশ্যে কাজ করে তখন সেটা অবশ্যই সফল হয়; হোক সে উদ্দেশ্য ভাল বা খারাপ।
একটা উদাহরণ দেই। এবার মনে হয় না কোন গাধা কুরবানী ঈদে স্টেরয়েড খাওয়ানো গরু/ছাগল কুরবানী দিয়েছে। সাক্ষাৎ ক্যান্সারের বীজ থেকে পরিত্রাণ পেল লক্ষ-লক্ষ মানুষ; অন্তত এই যাত্রায়!
আজকে আমি যখন খালিপেটে সাগর কলা খাচ্ছিলাম, তখন মা বলল কলায় নাকি কেমিক্যালের গন্ধ। আমি খেতে খেতে বললাম, "কি আর করব, কলায় কার্বাইড থাকা তো এখন স্বাভাবিক। ক্যান্সার হলেও মারা যাবো, না হলেও বুইড়া হয়ে মারা যাবো, খাওয়া তো আর বন্ধ করতে পারি না; আমরা এ ক্ষেত্রে নিরুপায় ও জিম্মি!"
মা-কে আরো বললাম, "আমাদের জেনারেশনের ৬০% মানুষ ক্যান্সারে মারা যাবে। এর জন্য দায়ী হবে এই জেনারেশনের অভিভাবক জেনারেশন!" কথাটা শুনে মা কেমন করে যেন তাকাল।
আমি বুঝিয়ে বললাম, "তোমাদের জেনারেশনের কেউ এই কলা চাষ করে বেশি লাভের আশায় কাঁচা থাকতে পেড়ে ফেলছে, কেউ এই কলা কিনে মজুত করে তাড়াতাড়ি পাকানোর জন্য কেমিক্যাল দিচ্ছে, কেউ এই কলা বিক্রি করার সময় ভেজাল খাইয়ে বেশি মুনাফা হাতাচ্ছে, কেউ এই সব বিষ বিক্রি করার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অনুমোদন দিচ্ছে, আর বাকিরা নিরুপায় হয়ে এগুলো কিনে বাসায় আনছে!"
মা বলল, এসব ফেসবুকে লিখতে। আমি বললাম, "লাভ নাই; যাদের কথা বললাম, তারা কেউ ফেসবুক বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না; করলেও পরোয়া করে না!" মা বলল, তারপরেও লিখতে, কারণ তাদের পরিচিত, ছেলেমেয়ে, আত্মীয়-স্বজন, কেউ না কেউ কোনদিন এ ব্যাপারে তাদের বলবে, সচেতন করবে।
লিখলাম; যদিও জানি সবই "উলুবনে মুক্তো ছড়ানো"।
সেদিন খবরে দেখলাম, দেশে নাকি ১৫-২০টা ভেজাল ওষুধ তৈরীর কোম্পানি অনবরত ভেজাল ওষুধ (সহজ কথায় বিষ) তৈরী করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, ঔষধ অধিদপ্তর সহ আরো নাম-না জানা অনেক কতৃপক্ষ তাদের সামনে নিরুপায়, জিম্মি। কারণ, যতবারই এসব বিষ-প্রস্তুতকারকদের পাকড়াও করা হয়, বা তাদের কারখানা সিলগালা করা হয়, তাদেরকে বাঁচিয়ে দেয় "মহামান্য আদালত"!
এই না হলে বাংলাদেশ!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.