![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বলার মত কথা নাই, শোনার মত মানুষ নাই, আর লেখার সময়-ও নাই; তারপরেও কেউ যদি বলে ফেসবুকে আমি সময় অপচয় করি, তাহলে কেমন লাগে?
আসলে ফেসবুককে আমি প্রধানত ব্যবহার করি যেসব কাজে-
১) এমন কিছু বলা যেটা আমি হয়তো মুখে সামনাসামনি কাউকে বলতে পারতাম না
২) প্রয়োজনীয় কোন কাজে কারো সাথে ফ্রি যোগাযোগ করা, ফাইল আদান-প্রদান করা
৩) নিজের বিষয়ভিত্তিক বা অন্যান্য বিষয়ের নতুন বা পুরানো তথ্য-জ্ঞানমূলক পোস্ট পড়া ও শেয়ার করা
৪) নিজের ব্লগ শেয়ার করা
প্রত্যেক স্ট্যাটাসের কিছু "টার্গেট অডিয়েন্স" থাকে। ৯৯% ক্ষেত্রে যাদের উদ্দেশ্য বলা, তারা হয়তো দেখেও সেই লেখা থেকে কিছু শিক্ষা নেন না; আর যাদের জন্য বলা না, তারা এসে আবোল-তাবোল বকেন। "যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা" আজকালের আত্মীয়-স্বজন/বন্ধু-বান্ধব এই নীতিতে বিশ্বাসী।
বেশির ভাগ কর্মক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার নিষিদ্ধ। অফিসের হর্তা-কর্তা থেকে শুরু করে অভিভাবক মহল সবার উদ্দেশ্যে বলি- কোন বস্তুর "নিষিদ্ধ" রূপ বের করে আনতে আপনাদের তুলনা নেই। ফেসবুক যখন থেকে যাত্রা শুরু করল, যারা এর আসল দিকটা খুঁজে পেল, তারা এটাকে স্বার্থকতার সাথেই প্রয়োগ ও উপভোগ করতে লাগল। আর বরাবরের মতই অধিকাংশ বাঙ্গালি ফেসবুককে ব্যবহার করতে লাগল ফেইক আইডি খোলা, আলগা প্রেম-পিরিতি করা, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অন্য কারো সাথে চুটিয়ে প্রেম করা, দলগত/গোষ্ঠীগত স্বার্থসিদ্ধি করা, কোন্দল/বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, ইত্যাদি আরো নানান বাজে কাজে!
অথচ শিক্ষার মাধ্যম, সংবাদমাধ্যম, যোগাযোগের মাধ্যম, এমনকি বিপণনের মাধ্যম হিসেবেও ফেসবুকের তুলনা নেই। আর "বিনোদন" যদি মানুষের জন্য এতটাই ক্ষতিকারক হত, তাহলে তো সৃষ্টিকর্তা মানুষ না বানিয়ে রোবট বানালেও পারতেন।
আরো মনে রাখা উচিত যে, হোয়াইট হাউজ থেকে শুরু করে ক্রেমলিন পর্যন্ত সবকিছু আজকাল ফেসবুকের সাথে রিলেটেড, লিঙ্কড। গুগল ও ফেসবুক যে ব্যবহার করতে জানে, তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দরকার পরে নামেমাত্র।
আর হ্যাঁ, এটাও জেনে রাখা ভাল, ফেসবুকের অনিয়ন্ত্রিত বা অতিরিক্ত ব্যবহার কি কি ক্ষতি করতে পারে। খেলাধূলার প্রতি নিরাসক্তি, পড়ালেখার সময় ফাঁকিবাজি, খাওয়া ও কাজের প্রতি অনীহা, অতিরিক্ত বিনোদনের ফলে সৃষ্টিশীলতা ও প্রতিভা বিকাশে বিঘ্ন ঘটা, ইত্যাদি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
নো অফেন্স, কিন্তু আমাদের জেনারেশনটাই মনে হয় অন্তত আমাদের দেশে ফেসবুককে সঠিকভাবে/পূর্ণাঙ্গভাবে ব্যবহারকারী ওল্ডেস্ট জেনারেশন। আমার বাবা যেমন বাংলা, ইংরেজী, বাংরেজী কোন এসএমএস-ই পড়তে বা লিখতে পারেন না; আমার চেয়ে বয়সে বড় সবারই মোটামুটি একই অবস্থা। তারা বুঝেন না, এক সেকেন্ডের "লাইক" বাটন চাপের মধ্য দিয়ে যে আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্য একজন থেকে আরেকজনে প্রবাহিত হয়, কয়েকটা আগোছালো বাক্যের স্ট্যাটাসের মধ্যে দিয়ে যে বার্তা ঢাকা থেকে সান-ফ্রান্সিসকোতে পৌঁছে যায়, ফেসবুক না থাকলে সেটা অনেকটাই জটিল ও সময়সাপেক্ষ হতে পারতো।
এঞ্জিনিয়ার হই আর যাই হই না কেন, লেখালেখি আমার শখ, প্রতিবাদের আর প্রকাশের ভাষা। পেশার জন্য নেশার বিসর্জন দিতে পারি না।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭
সকাল হাসান বলেছেন: গুগল ও ফেসবুক যে ব্যবহার করতে জানে, তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দরকার পরে নামেমাত্র।
কথাটা একদম সঠিক!
ফেসবুকটাকে আমরা ঠিকমত ব্যবহার করতে শিখে উঠতে পারি নি এখনো!
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১
অবাধ্য সৈনিক বলেছেন: হারা যা :-<
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
সুমন জেবা বলেছেন: "নো অফেন্স, কিন্তু আমাদের জেনারেশনটাই মনে হয় অন্তত আমাদের দেশে ফেসবুককে সঠিকভাবে/পূর্ণাঙ্গভাবে ব্যবহারকারী ওল্ডেস্ট জেনারেশন। আমার বাবা যেমন বাংলা, ইংরেজী, বাংরেজী কোন এসএমএস-ই পড়তে বা লিখতে পারেন না; আমার চেয়ে বয়সে বড় সবারই মোটামুটি একই অবস্থা। তারা বুঝেন না, এক সেকেন্ডের "লাইক" বাটন চাপের মধ্য দিয়ে যে আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্য একজন থেকে আরেকজনে প্রবাহিত হয়, কয়েকটা আগোছালো বাক্যের স্ট্যাটাসের মধ্যে দিয়ে যে বার্তা ঢাকা থেকে সান-ফ্রান্সিসকোতে পৌঁছে যায়, ফেসবুক না থাকলে সেটা অনেকটাই জটিল ও সময়সাপেক্ষ হতে পারতো ।"
দারুন বলেছেন ..