নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেলায়-জেলায় রেসলিং সেন্টার গড়ে তোলা হোক

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭



সমাজের অপরাধের মূলে রয়েছে প্রধানত দুটি ধারাঃ

১) দারিদ্র্য/বেকারত্ব/বৈষম্য/শোষণ/জুলুমবাজী...
২) পূর্বশত্রুতা/প্রতিশোধপরায়ণতা/দ্বন্দ-বিভেদ-কলহ...

২য় ধারার কারণটি নির্মূল করা খুবই সহজ। মামলা-হামলাতে না গিয়ে জেলায়-জেলায় প্রফেশনাল রেসলিং সেন্টার গড়ে তোলা যেতে পারে। এতে অনেক ফায়দা হবেঃ

ক) খুব সহজেই শত্রু-প্রতিদ্বন্দীর সাথে এক হাত লড়া যাবে। তবে তারা ভীতু-কাপুরুষ-শুধু মুখে লাফানো মানুষ হলে অন্য কথা।

খ) পুলিশ-বিজিবি-র‌্যাব-কোর্ট-উকিল-ব্যারিস্টার-জজ-জেলখানার উপর প্রেসার কমবে। যদিও হাসপাতাল বা কবরস্থানের উপর চাপ বাড়তে পারে। তবে সেজন্য অংশগ্রহণকারী দুজনকেই ফাইট শুরুর আগে বন্ড সাইন দিয়ে রিং-এ নামতে হবে।

গ) মানুষের বিনোদনের নতুন জায়গা হবে। এতদিন টিভিতে সাজানো খেলা দেখে আসছিল সবাই, এখন লাইভ-সত্যিকারের মারামারি উপভোগ করা যাবে। টিকিট কেটে ভালোই আয় হবে। আর বাজি ধরা, জুয়া খেলা তো এমনিতেও এদেশের অনেক "ওপেন-সিক্রেট"-এর একটা; সেটাই বা বাদ থাকবে কেন?

ঘ) প্রতিদ্বন্দীকে ঘায়েল করার জন্য হলেও মানুষ স্বাস্থ্যসচেতন হতে শিখবে। দূর্বল বাঙ্গালীর খোলস ভেঙ্গে বেরিয়ে আসবে সবাই। পোশাকের ভেতরে থাকবে এক-একটা বিস্ট, এনিম্যাল (শারীরিকভাবে, মানসিক ও আত্মিকভাবে নয়)।

ঙ) জেলাভিত্তিক রেসলিং সেন্টার-এর বাইরে কোন প্রকার হাতাহাতি-মারামারি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। সামগ্রিকভাবে দেশে হিংসা-বিদ্বেষ-সহিংসতা কমিয়ে আনা-ই হবে এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

চ) অলিম্পিক বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে শারীরিক কসরত লাগে এমন সব ট্র্যাকে বাংলাদেশের জয়-জয়কার হবে। আর কোন খেলোয়াড় সুন্দরতর ভবিষ্যতের আশায় বিদেশে খেলতে গিয়ে পালিয়ে যাবে না!

ছ) মারমুখো অংশগ্রহণকারীদের ট্রেনিং, গ্রুমিং, প্রোমোটিং এর ফলে অনেক বডিবিল্ডার, জুডো-কারাতে-কুংফু বেল্টধারীদের কর্মসংস্থান হবে।

ওয়াও, হোয়াট এ ফিউচার!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.