নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধিক্কার ঐ অধিকারের বাণিজ্যের প্রতি

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৫

৫ টি ভুয়া মৌলিক অধিকারের কথা বাল্যকাল থেকে বই-এ পড়ে এসেছি।
খাদ্য, পরনের কাপড়, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা- এগুলো শুধু ব্যবসার মাধ্যম, অনৈতিক লাভের উৎস, সুযোগসন্ধানীর গোপন হাতিয়ার।

যেখানে দেশের মানুষের এই ৫টি ক্ষেত্রেই বৈষম্য দূর করা যায় নি, সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বা স্বাধীনতার চেতনার কথা বলে মুখে ফেনা উঠানোকে ধান্দাবাজী ছাড়া আর কিছু মনে হয় না!

গলাকাটা শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, ভাড়াবাসা বা ক্লিনিকের মত বেসরকারি স্কুল/কলেজ/ভার্সিটি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য আতঙ্ক আর নিপীড়নের সমার্থক শব্দ। বাকি ৪ সেক্টর নিয়ে আজ বলতে আসিনি। আজ বলব শিক্ষা নিয়ে।

ব্যবসার নামে খোলা অগণিত প্রাইভেট ভার্সিটি ও মেডিক্যালগুলো অনুমতি দেওয়ার আগে কোন নির্দিষ্ট বেতন (ছাত্রছাত্রীদের ফিশ) কাঠামো বানানো হয়নি। দেশের ক্রমবর্ধমান শিক্ষাব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের নিরীখে প্রায় একশরও বেশি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অপরিসীম।

খুব সুচিন্তিতভাবে পাবলিক ও প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি সুবিধাভোগী মহল সামাজিক, শিক্ষাগত, অর্থনৈতিক পার্থক্য/দূরত্ব সৃষ্টি করেছে। ওই ফায়দালোভীরা একই সাথে দুইধরণের ভার্সিটির সাথেই সম্পর্কিত; এটা আমরা সবাই জানি ও বুঝি। এই দূরত্বগুলি সৃষ্টির মাধ্যমে তারা দুই পক্ষের বিভিন্ন অধিকারকে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে, দুই পক্ষ থেকে দুইরকম ফায়দা লুটে যাচ্ছে।

সম্প্রতি আরোপিত ভ্যাট বাতিলের দাবিতে দেশের (মূলত শুধু ঢাকার) প্রাইভেট ভার্সিটিগুলো (বেসরকারি মেডিকেলগুলোতে কোন আওয়াজ নাই!) থেকে বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু, কেন তারা সম্মিলিতভাবে একটি নিয়ন্ত্রিত/একীভূত বেতন, শিক্ষাপদ্ধতি, সিলেবাস ও পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে আন্দোলন করবেনা?

কিভাবে দেশের অধিকাংশ বেসরকারি উচ্চশিক্ষার বেতন এত বেশি হয়? অথচ, বিশ্বের কোন ভার্সিটি রেঙ্কিং-এ সুবিধাজনক কোন অবস্থানেই নেই এই ভার্সিটিগুলো। সিংহভাগ প্রাইভেটের ডিগ্রিকে দেশে-বিদেশে তেমন একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়না বললেই চলে। তার উপরে, দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি, কাজের অভাব, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির এই সময়ে কিভাবে, কোন আশায় অভিভাবকেরা এত অর্থ খরচ করে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন সন্তানদের?

সবক্ষেত্রে "দুষ্ট চক্রের" কবলে পরেছে এই দেশ। আমলারা বলছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে বলেই বেতন বাড়ানো হচ্ছে। আর দেশের সবরকম ছোটবড় ব্যবসায়ীরা গত কয়েকমাস ধরে তাদের পণ্য/সেবার মূল্য বাড়ানোর কারণ হিসেবে সাধারণ মানুষকে বলছে- "চিন্তা কি? বেতন তো বাড়ছে! আমাদেরও আয় বাড়তে হবে তো!"

- বাড়িওয়ালার উপর বসানো ট্যাক্স সে দ্বিগুণ হারে আদায় করে ভাড়াটিয়া থেকে!
- বেসরকারি ক্লিনিকের উপর বসানো কর তারা তিনগুণ হারে আদায় করে রোগী থেকে।
- রেস্টুরেন্টের সারচার্জ আর ভ্যাটের নামে গলাকাটা মূল্যে খাবার খায় ভোক্তারা!
- সিএনজি চালিত যানবাহনের মালিক-ড্রাইভারেরা বর্ধিত দরের ৫/৬ গুণ বেশি আদায় করে সাধারণ যাত্রীদের থেকে!
- প্রাইভেট ভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও এই মাইর খাওয়া থেকে বাদ যাবে কেন?

মানুষের অধিকার আর আবেগকে পুঁজি করে এভাবেই কি এদেশের স্বল্পসংখ্যক চালবাজেরা চাল চেলে যাবেন!?

#উদোরপিন্ডিবুধোরঘাড়ে

সিএনজি-চালিত যানবাহনে নতুন দর ঠিক করে দিল সরকার।
অটোরিকশা প্রতি দুই কিমি ৪০ টাকা।
চট্টগ্রামে গত বাজেটের পর থেকে ২০ মিটার যেতেও সিএনজিতে ৭০ টাকার নিচে কেউ এক পয়সাও নেয় না!

যেখানে সামান্য সিএনজি মালিক-চালকদের লাভের লোভে সরকার/প্রশাসন লাগাম দিতে পারে না, সেখানে কিভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত ভ্যাটের প্রকোপ থেকে তারা লক্ষ শিক্ষার্থীকে বাঁচাবে?

বলা হচ্ছে, কর দিবে ভার্সিটি অথরিটি, স্টুডেন্টরা না! কিন্তু ইতিমধ্যেই ছাত্ররাই দিয়ে এসেছে। আর, কোথায় প্রাইভেটের লাগামহীন শিক্ষাখরচকে কমাবে- তা না; উল্টা তাদেরকে ছাত্রদের বেতন বাড়ানোর উছিলা দিয়ে দেওয়া হল!

এ কেমন অত্যাচার!!!

#অবাক হব না, যদি ক্ষমতাসীন দলের কারো পক্ষ থেকে বলা হয়-
"এসব বিএনপি-জামাতের সরকার পতনের ষড়যন্ত্র"!

তাদেরকে বলা দরকার, ক্ষমতায় যদি বুশ-ক্লিন্টনও থাকত, তাও প্রাপ্য অধিকারের আন্দোলন থেকে কেউ বঞ্চিতদের হটাতে পারত না!

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের যৌক্তিক দাবি ও প্রাপ্য অধিকার আদায় করে নিতে হবে।

আন্দোলন-অবরোধ মানেই খারাপ কিছু না। আবার, নিজেকে বাঁচানোর নামে লুকিয়ে থাকলে হবে না; ঘুরেফিরে সবাই সিস্টেমের অংশ, সিস্টেমের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব আমাদেরই।

ভুলে গেলে চলবে না- সংবিধান অনুযায়ী, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫১

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"

উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?

উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?

উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।

-সংগ্রহ।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"

উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?

উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?

উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।

-সংগ্রহ।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:০৬

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: ভাই আওয়ামীলীগ শেষ অবদি রক্ত চুষে যাবে। এটাই তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮

আবীর চৌধুরী বলেছেন: আমরা যদি তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত হতে সহায়তা করি তবে তারা শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যতে উপার্জনক্ষম হবে এবং ট্যাক্স দিতে পারবে। সেই সাথে তারা বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও ভবিষ্যতে অংশ নিবে।
বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চার বছর মেয়াদি স্নাতক শেষ করতে গড়পড়তা ৬ লক্ষ টাকা লাগে। এর ৭.৫% ভ্যাট আরোপ করলে চার বছরে সরকারের কোষাগারে জমা হয় মাত্র ৪৫,০০০ টাকা। চার বছরে অর্থের সময়মূল্য এবং মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করলে এর প্রকৃত পরিমান হবে আরো কম।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন স্নাতক শেষ করে কোন চাকুরীতে যোগদিবে তখন তারা গড়পড়তা ২০,০০০ টাকা প্রতি মাসে বেতন বাবদ পাবে। অথবা আমরা বলতে পারি তাঁরা ২০,০০০ টাকা মূল্যের ভ্যালু আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করবে।
এতে তাদের বার্ষিক আয় দাঁড়াবে (২০,০০০ X ১২)বা ২৪০,০০০ টাকা। বাংলাদেশে সর্বনিম্ন করহার ১০% হলে এই আয়ের একজন কে আয়কর বাবদ দিতে হবে ২৪,০০০ টাকা। তাহলে দেখা যাচ্ছে সরকার এই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গ্রাজুয়েসন এর পর মাত্র দুই বছর চাকুরী করলেই শিক্ষাক্ষেত্রে ৭.৫% ভ্যাট বাবদ আরোপিত ৪৫,০০০ টাকার জায়গায় (২৪,০০০X ২) বা ৪৮,০০০ টাকা আয়কর বাবদ পাবে। একজন গ্রাজুয়েট যদি ৩০ বছর চাকুরী করে এবং তার সম্পূর্ণ চাকুরী জীবনে যদি ২০,০০০ টাকা করেও বেতন পান তবে সে সরকারকে আয়কর বাবদ দিবে প্রায় ৭,২০,০০০ টাকা।
এখন সরকারই সিদ্ধান্ত নিক তারা শিক্ষাকে দীর্ঘস্থায়ী বিনিয়োগ নাকি পন্য হিসেবে দেখবে।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

জেকলেট বলেছেন: ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি নামের একটা প্রভাব থাকে আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কাজ কারবার দেখে তার হাতেনাতে প্রমান পেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.