![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অধিকার বঞ্চিত সাধারণ মানুষেরা খোঁচা দিয়ে কথা বললে মানায়। রাষ্ট্রের সর্বক্ষমতাময় গদিতে বসে গোটা জাতির সাথে ওভাবে কথা বললে শোভা পায় না।
আপনি বললেন, ভ্যাট দিবে শিক্ষাব্যবসায়ীরা, শিক্ষার্থীরা নয়। আপনি আরো বললেন, টিউশন ফি না বাড়িয়েই সেই ভ্যাট দিবে ভার্সিটি কতৃপক্ষগুলো। অথচ, এই ভ্যাট কার্যকরের পর থেকেই বর্ধিত ফি দিয়ে আসছে লক্ষ শিক্ষার্থী।
আপনার যে কথাটি আমার মনক্ষুণ্ন করল, সেটা হল- আপনি এই ভ্যাট দেওয়ার যুক্তির পক্ষে বললেন, ভার্সিটি চালানোর অনেক নিয়মকানুন আছে। ঢাকা শহরে এক বিল্ডিং-এ দুই-তিনটা ভার্সিটি। তাদের পড়ার মান, অতিউচ্চ শিক্ষার্থীদের বেতন- এসব নিয়ে ঝামেলা আছে!
এখন জাতির প্রশ্ন হল ভ্যাট দিয়ে শিক্ষাখরচ বাড়িয়ে ফেললে ঐ মুষ্টিমেয় কুলাঙ্গার প্রতিষ্ঠানগুলো কি মুহুর্তেই পৃথক ক্যাম্পাস চালু করে ফেলবে? কর চালু করলে কি পড়ার মান, পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা জাদু দিয়ে উদ্ভব হবে? প্রাইভেট ভার্সিটির মানোন্নয়নে যখন এতই বিপত্তি, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হোক, জেলায় জেলায় পাবলিক ভার্সিটি করা হোক।
আর না হয়, এইচএসসিতে গোল্ডেন এ+ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের বলে দেওয়া হোক- "বাবা! মা! তোরা আর সামনে পড়িস না! গায়ে গতরে খেটে খা! সহায়-সম্বল সব দিয়ে প্রাইভেটে পড়বি, না পাবি সম্মান-স্বীকৃতি, না পাবি উপযুক্ত জীবিকা! দেশটা তোদের না রে বোকা! দেশটা টাকাওয়ালা, ক্ষমতাওয়ালা, আর মাথাওয়ালাদের। তোরা তো আক্ষরিক অর্থেই মধ্যবিত্ত!"
টিভিতে পা-চাটা সুশীল/সাম্বাদিকেরা দেখি বলছে- পুলিশ দুইদিন ছাড় দিয়েছে, সামনে আর দিবে না। ভার্সিটি কতৃপক্ষ নাকি নিজেদের স্বার্থে শিক্ষার্থীদের উস্কে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নাকি অবুঝ, অথবা কেউ তাদের ব্যবহার করছে অসৎ উদ্দেশ্য হাছিলে!
!!
সারাদিন তো ক্ষমতাসীনদের লেলিয়ে দেওয়া গুন্ডাবাহিনীর ঝটিকা আক্রমণের খবর অনলাইন নিউজ-পোর্টালগুলিতে দেখলাম; এখন প্রধান পত্রিকাগুলিতেও দেখছি। বেশ ভাল! অনলাইনে লেখালেখিতেও সরকারের দালালেরা, পাবলিক ভার্সিটির সুবিধাভোগী সুবিধাবাদীরা হুমকি-ধমকি, নিন্দা-তিরস্কার করে গেলেন।
আমি বুঝি না, সরকার কেন একটা স্বাভাবিক অধিকারের আন্দোলনকে পলিটিক্যাল আন্দোলনের মত দমাতে চাইছে? দেশের প্রতি স্তরের সাধারণ ভোক্তাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তারা কিসের বাহাদুরি প্রমাণ করতে চাইছে?!
শেষ মুহুর্তে আরো একটি বিষয়ের উপর দৃষ্টিপাত করতে চাইঃ
- ভিআইপিদের গাড়ি যাওয়ার সময়, পলিটিক্যাল মিছিল-মিটিং-এর সময়, কিংবা কোন কারণ ছাড়াই কি ঢাকাতে যানজট হয় না?
- চট্টগ্রামে গত কয়েক মাস যাবত যাতায়াতকারী ও রাস্তার দুপাশের বসবাসকারীদের দোষেই ভয়াবহ যানজট হচ্ছে।
তাহলে, আজ কেন প্রাইভেট ভার্সিটির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দোষ দিচ্ছেন মূর্খ নাগরিকেরা? নাকি তারা বিড়ালের হাড্ডি খেয়েছেন? প্রত্যেকের আঁতেই কিন্তু ঘা লেগেছে, লাগছে, লাগবে। তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বর্ধিত মূল্য যারা সইতে পারে, তারা তো মানুষরূপী গণ্ডার!
বছরের পর বছর সিএনজি চালক-মালিকদের হাতে যারা যাত্রীদের জিম্মি করে রাখে, তারা কি আসলেই মনে করে "জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস"?
এই লেখা লিখবার সময়ে দেশে পাবলিক ভার্সিটি বনাম প্রাইভেট ভার্সিটি দ্বন্দটা বড় আকারে দানা বাঁধতে যাচ্ছে। বিএনপি বা অন্যরা নিজে যেচে এসে এই শান্তিপূর্ণ দাবি আদায়ের আন্দোলনে শামিল হচ্ছে। সাইবার ৭১ গায়ে পরে ঢাকা ভার্সিটির ওয়েবসাইট হ্যাক করছে। জাহাঙ্গীরনগরের বাস ভাংচুর করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ বা নামধারীরা হামলা চালাচ্ছে। এসব করে কার কি লাভ হবে? দেশের মানুষের কোন কিছুতেই কি ন্যায্য অধিকার নেই!?
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১২
এম. আরাফাত মাহমুদ বলেছেন: খুব আকুতি দিয়ে বললেন , যাইহোক আমি বলছি, দেশে সরকার নাই, নির্বাচিত সরকার থাকলে দেশের মানুষের খবর রাখতে, ছাত্র-ছাত্রীদের সুখ-দুঃখের খবর রাখতো। তোমরা যখন এই অনির্বাচিত সরকার কে ভোট দাও নাই, তাই তোমাদের এই পরিনিতি। সবচেয়ে বড় কথা তোমরা প্রাইভেটরা কেনো রাজনীতি করো না??
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৮
নিশীথসূর্য বলেছেন: বেলা গড়িয়ে অনেক হোল
বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তোল,
ভ্যাট ছাড়া শিক্ষা চাই
শিক্ষা ছাড়া মুক্তি নাই !!!
------------> জেড আই রানা ..