নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হোমরা-চোমরাদের ভীমরতি

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৯

ব্যাঙ্গের ছাতা কি সরকারের অনুমতি ছাড়াই গড়া যায়? যদি ব্যাঙ্গের ছাতা সমর্থনই না করেন, তাহলে অনুমতি দেন কেন? ভ্যাট দেওয়া বা কর কিভাবে কোন কিছুর "মান" বৃদ্ধি করে? বয়সের সাথে সাথে আপনাদের কথা আর চিন্তাতেও তো জং ধরেছে দেখি!

ধরেন, যারা গুলশান-বারিধারার আলিশান বাংলোতে থাকে, সবরকম বিলাসিতা নিজের টাকায় ভোগ করে, তারা সরকারকে নানারকম কর দেয়, কারণ তারা উচ্চমানের জীবনযাপন করে, আর সামনেও এরকম সুবিধা ভোগ করে যেতে চান বলেই কর দেন!

যারা কমলাপুরের বস্তিতে থাকে, তারা কি কর দেয়? না দেয় না। তারা অন্যের জায়গায়, অবৈধভাবে, নিজেরা পলিথিন/বেড়ার একরুমের ঘর বানিয়ে, সবরকম স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুবিধাবিবর্জিতভাবে বসবাস করে। তাদের কর দেওয়ার সামর্থ্য নেই, কর দেওয়া নাগরিকের সুবিধাও তারা পায় না!

এখন, পাবলিক ভার্সিটিগুলোর পেছনে শত শত কোটি টাকা খরচ করা হয়, কারণ সেখানকার শিক্ষার্থীদের প্রায় বিনাখরচেই উচ্চশিক্ষার সব ডিগ্রি দেওয়া হয়! তাদেরকে কোন করও দিতে হয় না। অথচ করের বিপরীতে সরকার ভোক্তাদের যেসব সুবিধা দেন, সবই তারা ভোগ করে এসব রাজসিক বিনামূল্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

৮ লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে পাস করিয়ে ১ লাখেরও কম পাবলিক ভার্সিটির সিটের যোগান দিয়ে সরকার খালাস! প্রাইভেট ভার্সিটি ও মেডিকেলগুলো #নানারকমের বেতন, শিক্ষাপদ্ধতি, পরীক্ষাপদ্ধতি, অবকাঠামো, আর আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নিয়ে ৭ লাখ উদ্বাস্তুকে জায়গা দেয়। এদের মধ্যে কয়েকটাতে আসলেই অতিউচ্চবিত্তপর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পড়ে; যাদের অধিকাংশই আমলা-শিল্পপতি-রাজনীতিজীবিদের সন্তান। নীতিনির্ধারকদের চেনাশোনা জগতের পরিবারের মানুষেরাই ওসব ফাইভ-স্টার ভার্সিটিতে পড়তে পারে; তাই তারা তাদের উদাহরণ দিয়েই যাচ্ছে। অথচ, বাকি ভার্সিটিগুলোর শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটা জমকালো না। তারা সরকারী বা বেসরকারী কোন সুযোগ-সুবিধা পায় না; কেন তারা কর দিবে?! তাদের শিক্ষাখরচ, ক্রমবর্ধমান জীবনধারণের খরচ বহন করতেই নাভিশ্বাস উঠে যায়। কোথায় তাদের ছাত্র হিসেবে বসবাস বা যাতায়াতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে, কোথায় মান বৃদ্ধির জন্য কিছু ভার্সিটিকে সাহায্য/চাপ প্রয়োগ করা হবে- তা না; বরং ভ্যাট আরোপিত হল!!

ভ্যাট কিভাবে ব্যাঙ্গের ছাতাকে সিংহের গুহায় পরিণত করবে? সেগুলো তো বরং উই-এর ঢিবিতে রূপান্তরিত হবে!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০১

সানোয়ারুল ইসলাম বলেছেন: শিক্ষা খাতে ভ্যাট নয় বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন। বাংলাদেশ এই রকম ছাগল পাগল 'ক্ষ্যাতা' দের জন্যই পিছিয়ে গেছে,যাচ্ছে।আমি বিশ্বাস করি সঠিক লোক নেতৃত্ব দিলে বাংলাদেশ মাত্র দশ পনেরো বছরেই সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে।আওয়ামীলীগ বিএনপি ও অন্যান্য সবাই শুধু হতাশাই উপহার দিচ্ছে।বাংলাদেশকে পৃথিবীর এক নাম্বার 'উন্নত ' রাষ্ট্র হিসেবে কল্পনাই করে যাবো? । বাংলাদেশে একটা ঝড় দরকার। আশা করি অচিরেই সব কালো তছনছ হয়ে যাবে।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৮

চলন বিল বলেছেন: কথায় যুক্তি আছে

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৭

আবীর চৌধুরী বলেছেন: কিসের এত অহংকার ঢাকা ভার্সিটির ছাত্রদের? ভর্তি পরীক্ষাতে মেধা-শ্রমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার অহংকার? বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার অহংকার? ভার্সিটিটি রাজধানীতে হওয়াতে রাজনৈতিক প্রাণকেন্দ্র হওয়ার অহংকার? সরকার বা রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাওয়ার অহংকার? নাকি শুধুই সৌভাগ্যবান হওয়ার অহংকার?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধুই ছাত্রলীগের? আর কোন দল বা সাধারণ ছাত্রছাত্রীর কি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কিছুই বলার নেই?

আর, ছাত্রলীগ কি শুধুই ঢাকা ভার্সিটিতেই? দেশের অন্য ভার্সিটিগুলোতে বা প্রাইভেট ভার্সিটিতে কি ছাত্রলীগের কর্মী/সমর্থক বা আওয়ামীলীগের একজন নেতা/কর্মীর সন্তান/আত্মীয় পড়ে না?!

সাইবার ৭১কে সাইট হ্যাক করতে বলা হয় নাই। তারা একটা ভিজিল্যান্ট গ্রুপ, স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই তারা সেই কাজ করেছে। বাস আটকানো, বা, অন্য যেসব কাজের সমালোচনা হচ্ছে তা অবশ্যই নিন্দামূলক কাজ; আন্দোলনের অতি ক্ষুদ্র এবং বিক্ষিপ্ত ঘটনা। সামগ্রিক আন্দোলনটি ছিল শান্তিপূর্ণ। যে ঢাকা ভার্সিটিকে আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী

উপরের ৪ টি অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে নিচের ছবিতে উল্লিখিত হুমকির কি যৌক্তিকতা আছে?

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২৪

আবীর চৌধুরী বলেছেন: Click This Link

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৫৭

আসিফুল হক বলেছেন: মাঝে মাঝে চিন্তা করি , আমরা যারা আজকে প্রাইভেট এ ভ্যাট দিয়ে পরছি , আমরা যখন ভালো কিছু করবো তখন কি আমাদের এই দেশের অপর কোন আবেগ থাকবে। আমরা কি চাইবো যে প্রোডাক্ট কিনে আমরা আজকে টাকা উপার্জন করছি , সেই উপার্জনের টাকার টাক্স দিয়ে পাবলিক ভার্সিটিতে কেউ পরুক। আমার মনে হই না কেউ চাইবো । আর আজকে যারা পাবলিক ভার্সিটিতে বিনামুল্যে পরছে তারা হইতোবা ভুলে গেছে, আমাদের মত ছাত্রদের বাবা মা এর টাক্স এর টাকাই তারা আজকে ফ্রি তে পরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.