![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকারের উচিত যত বড় আর শক্তিশালী সিন্ডিকেটই হোক না কেন, তাদের দাবি-দাওয়া ও কাজের ধরণ দেশের ও দেশের মানুষের স্বার্থের বাইরে গেলে, তাদেরকে নির্দয়ভাবে দমন করা।
সম্প্রতি গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা যে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছিল, তা এদেশে নতুন না। মাংসের বাজারের নোংরা পরিবেশ পর্যবেক্ষণে যাওয়াতে ম্যাজিস্ট্রেটদের উপর কসাইরা চড়াও হওয়া, ভেজাল ঔষুধ বন্ধের জন্য অভিযান চালানোতে ফার্মেসীগুলোতে ধর্মঘট ডাকা, রাস্তাঘাটের বিলবোর্ড অপসারণে যাওয়াতে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ম্যাজিস্ট্রেটদের মারধর করা, খালদখল করার কারণে কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের কারণে তার সমর্থক-গুন্ডারা থানায় হামলা করা- এরকম লক্ষ লক্ষ উদাহরণ প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে সারা দেশে। পত্রিকার কোণায়, চ্যানলের খবরের শেষে এসব ঠাঁই পায়। কিন্তু এসবের গুরুত্বই সবচেয়ে বেশী।
ভোটব্যাংক ধরে রাখা, ব্যবসায়িক-রাজনৈতিক-আঞ্চলিক-পেশাগত স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখা, এসব করতে গিয়ে প্রশাসন ও সরকার কোন না কোনভাবে এসব সিন্ডিকেটের অনৈতিক ও বেআইনী দাবী মেনে নেয়, তাদের অত্যাচারের সামনে মাথা নত করে, সাধারণ ভোক্তা-জনগণকে তাদের সামনে বলি দেয়।
গণতন্ত্র মানে যদি "সিন্ডিকেটবৃত্তি"-কে লালন করা হয়, তবে দেশে সেরকম গণতন্ত্রের দরকার নেই।
সামরিক শাসন যদি সিন্ডিকেটবৃত্তি বিলুপ্ত করতে পারে, তবে সামরিক শাসনের পক্ষেই নীরবে মত দিবে কোটি-কোটি ভুক্তভোগী মানুষ!
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১০
সুমন কর বলেছেন: হুম...কথায় যুক্তি আছে।