![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে জনসম্মুখে আলোচনা করা ঠিক না। কিন্তু, আমার ধারণা এটা ব্যক্তিগত সমস্যা না, এটা সামষ্টিক সমস্যা।
আমাদের ভাড়া বাসার দারোয়ানের আচরণ দেখে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও হাতে-কলমে বুঝা যায় যে, একটি ফ্যাসিবাদী-নৈরাজ্যবাদী সরকার তার হুকুমের গোলাম আর পেটুয়াবাহিনী ব্যবহার করে কিভাবে জনসাধারণের উপর শাসন-শোষণ-অপমান-লাঞ্ছনা করে থাকে।
আর, আমার পূজনীয় পিতামাতা হচ্ছেন আদর্শ ছা-পোষা, মেরুদণ্ডহীন, ভেতো-ভীতু বাঙ্গালী। তাদের চামড়া গন্ডারের চেয়েও পুরু, তারা বিড়ালের হাড় খেয়ে জীবনধারণ করেন। তাদের অমায়িক আর নির্লিপ্ত আচরণ প্রমাণ করে তারা এদেশের প্রজাসাধারণের-ই এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ; পার্থক্য হচ্ছে, তারা রাজার ঘরে টাকা দিয়ে থেকে রাজার পেয়াদা দ্বারা রাতে-দিনে অপমানিত হয়!
দারোয়ানের বেয়াদবী আর দুঃসাহসের ইতিহাস বলতে যাবো না। সাম্প্রতিক ঘটনাই পুরো পরিস্থিতি তুলে ধরবে।
গতকাল আমার ছোট খালা, খালু আর ছোট বোনসহ সকালে বাসায় এসেছে। আজ রাতে চলে গেল ঢাকায়।
যেকোন বাসায় কাজের সময় বা অন্য যেকোন সময় পানি চলে যাওয়া (ছাদের পানির ট্যাংকে পানি শেষ হয়ে যাওয়া) অস্বাভাবিক কিছু না। লোডশেডিং তো বিদ্যুৎ আর গ্যাসের ক্ষেত্রেও হয়। কিন্তু, আমাদের ক্ষেত্রে যখনই ঘরে মেহমান আসে, বা কাজ বেশি থাকে, দূর্ভাগ্যবশত তখনই পানির হাহাকার শুরু হয়। গতকাল সেটাই হয়েছিল। দুপুর আড়াইটা থেকে নাকি পানি নেই। অথচ গতকাল আমাদের ঘরে বুয়াই আসেনি; অর্থাৎ সকাল থেকে বিল্ডিং-এ ব্যবহৃত পানির খুব কম অংশই আমাদের ঘরে ব্যবহৃত হয়েছে। আমার মা নিচে গিয়ে চেঁচিয়ে দারোয়ান লাটসাহেবকে পানির মেশিন ছাড়ার জন্য বলে। সে যথারীতি গা হেলিয়ে দুলিয়ে ১০ মিনিট পরে পানি ছাড়ে; তাও আবার ৫ মিনিটের জন্যে; অথচ, আমাদের ৪ তলার বাসায় পানির মেশিন ছাড়ার ১৫ মিনিট পরেই ঘরের ট্যাপগুলিতে পানি আসে!!!
তাহলে বুঝুন অবস্থা। এদিকে মা ঘরের কোন কাজই করতে পারলো না ঠিকমত। পানি ছাড়া কোন ঘরোয়া কাজ সম্ভব কিনা সেটা নিজেই ভেবে দেখুন। কোনমতে মেহমানসমেত মা খাওয়া সেরে নিল। বিকেলে আমার দুই বোন যার যার শিক্ষালয় থেকে এসে গোসল করা তো দূরের কথা হাতের আঙ্গুল-ও ধুতে পারলো না। সন্ধ্যায় আমি এলাম; রাতে এক বন্ধুর ওয়ালিমা আছে; দ্রুত রেডি হতে হবে। আমি এসে দেখি অবস্থা বেগতিক। গোঁয়ার আর প্রভুভক্ত এই দারোয়ানের কাছে আমার মা আর কতই নিজেকে হেনস্তা করবে; সে যে শুধু অশিক্ষার কারণে সবাইকে তুমি/তুঁই/তুই করে বলে তা-ই নয়, তার আচরণের ধরণ এটাই প্রতীয়মান করে বিল্ডিং-এর মালিক তার-ও মালিক, ভাড়াটিয়াদের-ও মালিক!!!
আগে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনার কারণে আমি এই দারোয়ান-হারামজাদার সাথে কথা বলি না। মোবাইলে তার নাম্বার "ব্লকড লিস্টে"। ছোট করে বলে রাখি, সে প্রথম যখন এই বিল্ডিং-এ এসেছিল, তখন একদিন তাকে যখন আমার বাবা-মা ঢাকা থেকে আসবে বলে রাতে তাড়াতাড়ি গেইট বন্ধ করতে নিষেধ করেছিলাম, তখন সে তার নাম্বার নিজে থেকে আমাকে দিয়ে বলেছিল- "এই নাম্বারে রাতে ওরা আসলে ফোন করবে।"
তার-ও কিছু দিন পরে আমি এক বন্ধুর বোনের গায়ে হলুদে যাওয়ার সাথে সাথে রাত সাড়ে দশটায় সে আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিল, "তাড়াতাড়ি ঘরে চলে আসো, আমি গেইট বন্ধ করে দিবো।" তার সব ভাষা ঘোরতর চাঁটগাইয়্যা। সে বয়সে চাচা বলার ধারেকাছে যায় না। তার চাইতে বয়স্ক, চালাক-চতুর, ধুরন্ধর দারোয়ান এই বিল্ডিং-এ আগে ছিল। কিন্তু তার মত বেয়াদব ও প্রভুভক্ত হয়তো আর কেউই ছিল না। কোন দারোয়ান আমার বাবা-মায়ের সাথে তো দূরের কথা, আমার দিকেও চোখ তুলে কথা বলার সাহস করেনি।
আমার বন্ধুদের এসব বললে তারা বলে, ব্যাটাকে "চাচা" ডেকে যাইতে-আসতে বকশিশ দিবি। এজন্য বলে রাখি, দারোয়ানকে কোন কিছু দেওয়া তো দূরের কথা, তাকে কোন আদেশ দেওয়া, অনুরোধ করা, তার সাথে কুশলাদি বিনিময়ের মত কিছু করাও এই বিল্ডিং-এ অলিখিত নিষিদ্ধ আচরণ!!! সহজ ভাষায় বলা যায়, এই বাড়ির চাকরদের মর্যাদা ও ক্ষমতা এই বাড়ির গাড়ীবিহীন-নিম্নমধ্যবিত্ত ভাড়াটিয়াদের (একমাত্র আমরাই) চেয়েও বেশি।
এবার সাম্প্রতিক কথায় আসি।
আমি এসে নিতান্ত বাধ্য হয়ে ব্যাটাকে মোবাইলে ফোন করলাম।
আমিঃ এই সিদ্দিক, পানি ছাড়! বাথরুম, রান্নাঘর কোথাও পানি নেই।
হারামজাদাঃ তুমি কে?
আমিঃ পানি ছাড়তে কি বাইরের মানুষ বলবে। আমি উপর থেকেই (এই বিল্ডিং-এর) ফোন করতিছি, এটা বুঝো না?
হারামজাদাঃ তুই কে?
আমিঃ আমি তোর বাপ! পানি ছাড়!
হারামজাদাঃ তুই গিয়ে মালিক-কে বল!
আমিঃ ... (প্রচণ্ড রেগে গিয়ে) তোর এত্ত বড় সাহস? দাড়া, আমি নিচে নামতিছি। এক্ষুণি আন্টিকে (বাড়িওয়ালী) বলব। (কথা বলতে বলতে আমি ঘরের দরজা খুললাম, দরজায় দাড়িয়েই বলতে লাগলাম) তোর মত এরকম বেয়াদব দারোয়ান এই বিল্ডিং-এ আর ছিল না! আমার যদি হাত-পা বাঁধা না থাকত, তোর গলার টুঁটি ছিড়ে ফেলতাম।
ফোন কেটে দিয়েছি। এদিকে দুইতলায় বাড়িওয়ালীও দরজা খুলেছিল। সম্ভবত তার-ও পানির প্রয়োজনবোধ হওয়ায় পানির মেশিন ছাড়তে দারোয়ানকে বলার জন্যে দরজা খুলেছিল; অথবা দারোয়ান আমার ফোন পাওয়ার পরে সোজা দুইতলায় গিয়ে বেল দিয়ে উনাকে ডেকেছিল। যা-ই হোক, আমি দরজা বন্ধ করে দিলাম। দারোয়ান মেশিন ছেড়ে ছাদে গিয়ে দেখে আসতে উঠল। আর এদিকে দুই তলা থেকে ৫-৭ মিনিট ধরে পুরো বিল্ডিং-এ শুনিয়ে "মহামান্য কহিলেন" !! কি কহিলেন, কাকে কহিলেন কিছুই বুঝি নাই, আমার মা আমাকে বুঝার চেষ্টাও করতে দেন নাই।
সেদিন মাথার মেজাজ বিগড়ে গিয়ে আর বাইরের প্রোগ্রামটাতে গেলাম না। তাছাড়া, নিচে নেমে ঐ খানকির পুতের সাথে দেখা হলে সে যদি উল্টো-পাল্টা কিছু বলে, তাহলে তার জবাবে আমার একটা থাপ্পড়ই যথেষ্ঠ। তখন আবার পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিবে। নিজেকে বা নিজের পরিবারকে "সামাজিক কাঠগড়ায়" দেখতে চাই না বলে সবসময় এরকম পরিস্থিতি এড়িয়ে চলি।
পরের দিন; মানে আজকের (৯ই জানুয়ারী) কথা।
সারাদিন কিছু হল না। মেহমানেরা ঘর থেকে চলে যাবেন। রাত সাড়ে ১১টায় বাবা আসলো। তার-ও আগে নিচে গেইট বন্ধ করে খানকির পুতে বিড়ি খাচ্ছিল। বাবা আসাতে বিড়িসহ সে গেইট খুলে দিল। এখানে বলি রাখি, আমরা খুব কম-ই গেইট বন্ধ করার পরে বাসায় আসি। শহরের বাইরে থেকে আসা, বা কোন দাওয়াত-অনুষ্ঠান ছাড়া এটা হয়ই না। আর, মানুষ প্রতিদিন ঢাকা থেকে আসে না; আর, প্রতিদিন রাত করে দাওয়াত খেয়ে আসার মত "দাওয়াত"-ও মানুষের থাকে না! This is common sense!
আর, মেহমান? আমাদের ঘরে রাত করে ফিরে যাওয়ার মত মেহমান আসে বছরে ৭/৮ বার। তা-ও কিছু মেহমানকে আমরা লজ্জা-শরমের বালাই খেয়ে বলেই ফেলি, সাড়ে ১১টায় গেইট বন্ধ করে দেয়; গেলে তার আগেই যেতে হবে; যদিও আজকাল সোয়া ১১টাতেই গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়!!!
মেহমানেরা চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় বসবাস করতে চলে যাচ্ছেন; তাই বাবা আসার পরে বিদায় প্রক্রিয়া কিছুটা দীর্ঘ হল। ১২টা ৫ মিনিটে নিচে আমার মা মেহমানদের সাথে নিয়ে নেমে দারোয়ানকে ডাকতে লাগলো।
মাঃ দারোয়ান উঠো। মেহমানেরা চলে যাবে; গেইট খুলতে হবে।
৫ মিনিট ডাকাডাকির পরে ঐ জারজ সন্তান আওয়াজ দিল...
হারামজাদাঃ এই নাও চাবি; গিয়ে খুলো!
মেহমানদের সামনে তার এরকম আচরণে মা রেগে গিয়ে বললঃ তুই উঠে খুলে দিয়ে যা।
তারপর সেই হারামজাদা তার অশ্রাব্য ভাষায় যা বলে গেল, তার সারমর্ম হল- আমাদের জন্য সে অতিষ্ঠ; আমরা অস্বাভাবিক জীবনযাপন করি; আমরা ১২টার পরে বাইরে থেকে আসি/বের হই; আমাদের ঘুম নাই; আমি গতকাল তাকে অপমান করেছি (!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!); ...
মোটকথা আমার মায়ের গেইট খুলে দেওয়ার জন্য ডাকাডাকিতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়াতে তার বিরক্তি আর রাগ প্রকাশের ভাষাটা কিছুক্ষণ পরেই "শালিশ/নালিশ দেওয়ার কথায় রূপ নিল।
আমার মা তার কথার ১০% কানে শুনল, আমলে নিল। মা তখন মেহমানদের বিদায় দেওয়াতে ব্যস্ত ছিল। গেইট খুলে দেওয়ার পরে মেহমানেরা চলে যাওয়ার পরেও মায়ের পথ আগলে শুয়োরের বাচ্চাটা অনেক কিছু শুনাতে বাধ্য করতে চাইল। কিন্তু আমার মা কোনরকমে তাকে এড়িয়ে বাসায় চলে আসলো।
বাসায় এসে আমায় মায়ের সেই পুরানো আচরণ। ছেলেবেলা থেকে যেকোন কিছুতে আমার ০% দোষ থাকলেও আমার মা সেটাকে কম করে হলেও ৫০% দোষ বানিয়ে আমাকেই শাসন করত। এখন-ও তাই হল। আমাকে চুপ থাকতে, সহ্য করতে বলা হল। বাবা বলল, অগণিত ভাড়াটিয়া এর চেয়েও মারাত্মক কষ্ট আর অপমান হজম করে বেঁচে আছে। শুনে আমার আক্কেল গুড়ুম; মানুষ কেন "অস্বাভাবিক"-কে স্বাভাবিক মনে করে!? নিম্নমানের পণ্য দেখে কেন আমাকে সন্তুষ্ট হতে হবে?
এ দেশের শহরের কতগুলি বাড়িতে স্বাভাবিক সময়ের পরে বাড়ী ফিরলেও, সেটাকে দায়িত্বের/চাকরির অন্তর্ভুক্ত মনে করে গেইট খুলে দেয় দারোয়ানেরা??? নাকি, চাকরিটা শুধু জমিদারের জন্যই, ভাড়াটিয়ারা উলটো দারোয়ানের-ই "ইশারার পুতুল"?
আগে, আমাদের কাছে মেইন গেইটের একটা চাবি ছিল। বেশ কয়েক মাস আগে গ্যারেজের পাশে কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ চুরি/ক্ষতিগ্রস্তের ঘটনার পরে তালা বদলে ফেলা হয়; বাবা-কে আর চাবি দেওয়া হয়নি। সেই দূর্ঘটনার জন্য পরোক্ষভাবে আমাকেই দায়ী করা হয়েছিল; সে এক অন্য ইতিহাস।
যেহেতু, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে, ভাড়াটিয়াকে "সন্দেহভাজন"-এর তালিকায় রেখে, বিকল্প চাবি সরবরাহ করা হয় না, সেহেতু, দারোয়ানকে কেন এই আদেশ দেওয়া হয় না যে- "তারা তাদের প্রয়োজনে যখন যেভাবে খুশি ঘরে-বাইরে যাওয়া-আসা করবে, আর তুই সে কাজ করে দিবি!"
কেন দারোয়ানকে এই নির্দেশ করা হয় না যে, "তুই ভাড়াটিয়াদের জীবনযাপনের মালিক না, তারা কারাগারে নেই, তুই তাদের কারারক্ষী না, আমরা দারোগা না!!"
কেন দারোয়ানকে শহর ও গ্রামের জীবনযাপনের পার্থক্য বুঝানো হয় না? কুকুরের মত বিশ্বস্ত, অন্ধ প্রভুভক্ত, স্বল্প বেতনের, সহজলভ্য দারোয়ান রাখার সুযোগ নিয়ে কি ভাড়াটিয়াদেরকেই জিম্মি করে রাখতে হবে?
কদাচিৎ, ১২টার পরে বাইরে থেকে আসা, বা বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা শহরের কোন বাড়িতেই না হয়? এটি কি অনৈতিক, অপরাধমূলক, সমাজবিরোধী কোন আচরণ? এই জন্যে কেন দারোয়ান কতৃক বারংবার অপমানিত হতে হবে?
রাজনৈতিক, প্রশাসনিক বা অন্য যেকোন দাপট দেখাতে না পারার বিনয়ী আচরণকে কেন দূর্বলতা হিসেবে ধরে নেওয়া হবে?
আমাকে এসব নিয়ে লেখালেখি বা বলাবলি করতেও বারণ করলেন আমার মা-বাবা। নাটকীয়, অতিরঞ্জিত বা শিশুসুলভ মনে হতে পারে অনেকেরই! কিন্তু, আমার দায়িত্ব আমি পালন করব। ভুক্তভোগীদের সতর্ক করা, অত্যাচারীদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য "লিখে মত প্রকাশের" চেয়ে সহজ আর নিরীহ মাধ্যম আর নেই। জানি, এতে কোন কাজ হবে না। হয়তো, এটা শুধুই আমার মনকে স্বান্তনা দেওয়া।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫১
গোধুলী রঙ বলেছেন: বাসার বাইরে থেকে একটা মাইরের ব্যবস্থা করেন, আর বেচারারই বা কি দোষ বলুন, আমরা সবাই মিলে যে একলা একলা থাকি, এতেই বান্দর গুলার সাহস বেড়ে যায়। বান্দরের কথাই যখন আইলো তখন একখান ঘটনা কই-
বান্দরেরই প্রায় সৎ ভাই, পোড়ামুখো হনুমান, যশোরের কেশবপুরে অনেকগুলাই একসাথে বাস করে, একটাকে এক লোক পিটিয়ে আহত করে, সমগ্র হনুমানকূল, একসাথে থানা ঘেরাও করে রাখে, যতক্ষন সেই ব্যাটাকে গ্রেপ্তার করা না হয়।
আহা, প্রকৃতির প্রানী সমুহের এমন গুন যদি মানুষের মধ্যে বিরাজমান থাকতো!!!
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২
tareqbaiya বলেছেন: obojog janan malek ke. neje gomre more kadar cehe obejoj best soleoson...
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৪
বিপরীত বাক বলেছেন: সে ক্ষমতা পেয়েছে তাই এরকম করছে। আপনার ক্ষমতা থাকলে আপনিও করতেন।
আছে না কিছু ভাড়াটিয়া, ৩ মণি চালের বস্তা এনে বিল্ডিং এর দারোয়ান কে বলে অই, এই টা পাচ তলায় উঠায়া দে। কিংবা কোন ভাড়াটিয়ার গার্লফ্রেন্ড আসলো,। সাথে সাথে সে দারোয়ান কে বললো যে অর জন্যে চটপটি আইন্যা দে।
আরও আছে কিছু ভাড়াটিয়া, দারোয়ান রে বলে, " অই আমার বাইকটা ধুইয়্যা দে।
আর বিল্ডিং এর দারোয়ান কে আদেশ করে চা- বিড়ি আনা তো মামুলি ব্যাপার।
ক্ষমতা পাইলেই এই জাতির মানুষ দের আসল চরিত্র, মানসিকতা বোঝা যায়। রাতারাতি বদলে যায় দীর্ঘদিন পাশে থাকা লোকজনের প্রতি তার ব্যবহার।
এটা বাঙাল জাতি র মানুষদের জাত রক্তের সমস্যা। আশেপাশে একটু খেয়াল করেন, অনেক ব্যাপারে আমার কথার সত্যতা খুজে পাবেন।।
বাঙাল এমন জাত যে,
৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে রিক্সা কিনে নেয়।
৫ টাকা ভাড়া দিয়ে পাবলিক বাস কে বাপের সম্পত্তি মনে করে।
১০ তলা বিল্ডিং এ দুই রুম ৮০০০ টাকা ভাড়া দিয়ে বিল্ডিং এর দারোয়ান, মালি, ম্যানেজার, মিস্ত্রী, ঝাড়ুদার, সবাই কে
বাপ- দাদার দয়ায় চাকরি পাওয়া লোকজন মনে করে।
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আমরা জানলাম যদিও ব্লগের কেউই এ সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না। সম্মানজনক সমাধান হচ্ছে এ বাসা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়া। ভাড়া থাকার বিড়ম্বনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বছর বছর ভাড়া বাড়ানো। ঘন ঘন বাসা পাল্টানো ও আরেক বিড়ম্বনা। তবে দারোয়ানের আচরণের যে বিবরণ দিলেন তাতে বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়াই আমার কাছে উত্তম মনে হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
কৌশলে কিছু করেন, যেন সে চলে যায়।