নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যত্রতত্র সোনার ডিম

০১ লা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৫০

ফেসবুকের পুরা টাইমলাইনে এখন সেই এপিক ভিডিও-রিলেটেড পোস্ট, যেখানে পিথাগোরাসকে সাহিত্যিক, নেপালের রাজধানী নেপচুন, এভারেস্ট ইংল্যান্ডে, ইত্যাদি troll-type কথাবার্তা বলা হয়েছে।
টিউশন আর কোচিং ক্লাসের বদৌলতে আমি পোস্ট-ডিজুস জেনারেশনের সান্নিধ্য পেয়ে ধন্য। তাদের জ্ঞানের ভান্ডার আর সবজান্তা এটিচিউড আমায় মুগ্ধ করে!

But, it's inevitable!
time will change the knowledge-base, philosophy, and purpose of education of society.

I saw a video long ago where many usa students cannot tell anything about their universities, town, county, state, country and other major issues of culture and heritage. They just know and do, what they hv to do, or what they care.
But, it is also a matter that, developed countries like usa themselves have dont-care-attitude towards other nations. It should reflect in their citizens thinking too!

যারা ছাত্রছাত্রীগুলোর অজ্ঞতার সপক্ষে কথা বলছেনঃ আমি সরাসরি বলব না যে, আপনাদের কথাই ঠিক!

পার্শ্ববর্তী দেশগুলি সম্পর্কে আম্রিকানরাও জানে। ওরা স্কুলের গদবাঁধা শিক্ষায় না শিখলেও জীবন থেকে শিখতে থাকে। বিদেশে কাজের পাশাপাশি অবসর আর ভ্রমণকে মারাত্মক গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারা সেভাবেই শিখতে থাকে পৃথিবী, সমাজ, দেশ, জীবন সম্পর্কে!

আর, যেই জায়গায় সাম্প্রতিক সময়ে এত বড় ভূমিকম্প হয়ে গেল, যেখানে মূসা ইব্রাহীম রেকর্ড অর্জন করে বিশ্বের সামনে দেশের মাথা উঁচু করল, তার কথা তারা জানবে না কেন? কি করে তারা পড়ালেখার বাইরে সারাদিন?? টিভি-পত্রিকা-ফেসবুক? সেখানেও তো এসব নিয়ে অহরহ আলোচনা হয়! কেন ‪#‎dsu‬ র মত ফেসবুক গ্রুপে লক্ষ লক্ষ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়ে? তাদের মাথায় কারিকুলামের বাইরে শুধুই কি নোংরামি?

আর, ইংরেজী না জানাটা তাদের জন্য ভন্ডামির পর্যায়ে পরে। তারা ইংরেজি মিউজিক ভিডিওর জন্য ক্রেইজি হতে পারে, গেম অব থ্রোনসের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, ইংরেজী চটি, প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল, কোথায় না তারা ইংলিশ দেখছে? জানার সদিচ্ছা থাকলে আস্তাকুঁড়ে থেকেও জানা যায়।
ঘরের নিত্যনৈমিত্তিক কাজও তারা করে না। সব কাজের দায়ভার তারা পিতামাতা বা বড়দের উপর চাপিয়ে দে। অথচ, আমাদের জেনারেশনকে দেখেছি সেই প্রাইমারি স্কুল লাইফ থেকেই যে যার মত পরিবারের কাজ করে যেতে!

তবে, সব দোষ এই পোস্ট-ডিজুস জেনারেশনের ঘাড়ে চাপাবো না।
the whole system has been collapsed long ago!

আর, the last but not the least, এ দেশের সাংবাদিকদের রুচি-মান-নীতি নিয়ে আলোচনা করে নিজের সময় নষ্ট করব না। এতেও তাদের দোষ নেই, সমাজেরই দোষ! আমি একটি অনলাইন পত্রিকার উদ্যোক্তা জেনে, এক ব্যবসায়ী কলেজমেট সেদিন রীতিমত নাক সিঁটকালো, কারণ তাকে রেডিসনের মত রেস্টুরেন্টে নাস্তা খাওয়ানোর মত পয়সা আমার নেই! শিক্ষকতা বা সাংবাদিকতার মত মহান পেশা থেকে মেধাবীদের দূরে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে; ফলস্বরূপ তাতে জায়গা করে নিচ্ছে তলানীর আবর্জনাগুলি। আরো একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা বলি, ntrca প্রিলি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রিন্ট করাতে গিয়ে ফটোকপি দোকানের মালিক ছেলেটি বলে, "ভাই এসব ফালতু পরীক্ষা কেন দিবেন? বিসিএস দিচ্ছেন, দিতে থাকেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে কি কলেজ শিক্ষক হবেন?" শিক্ষকতা পেশায় যদি গর্দভদের ঠেলে দেওয়া হয়, তাহলে আগামীপ্রজন্মও গর্দভ এবং মাকাল ফল হয়েই জন্মাবে, তাতে আর সন্দেহের কি আছে?

(#dsu = desperately seeking uncensored)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৬ সকাল ৮:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সব দোষ ডিজুস জেনারেশনের বললে একদম ভুল বলা হবে। অবশ্যই এর আগের জেনারেশনগুলোর দায় আছে। আছে শিক্ষা বিভাগের, স্কুলের, সমাজের!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.