![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে মানুষের হাতে হাতে। যখন আমরা কোন দামী খাবার খাই, শুধুমাত্র দামী রেস্টুরেন্টে খাচ্ছি বলেই চড়া দামটা দিয়ে দিই। নিজের মনকেও প্রশ্ন করি না, কেন এই উচ্চমূল্য? এই খাবারের মধ্যে কি ইলেক্ট্রন-প্রোটন-নিউট্রনের পাশাপাশি অন্য কোন মহাজাগতিক কণা অবস্থিত?
ঠিক তেমনি ভোগ্যপণ্য যেমন খাদ্যদ্রব্যের মানের অবনতিও মানুষের কারণে হয়েছে। লেমনগ্রাসের মত রেস্টুরেন্টে যেখানে ৩ জনের ইফতারিতে ১৬০০ টাকার মত খরচ পরে, সেখানে কয়েদিদের দৈনিক ইফতারি খরচ জনপ্রতি কেন মাত্র ২০ টাকা হবে? তাছাড়া, আমরা যখন অনাথ-দুস্থদের জন্য ইফতারির ব্যবস্থা করি, কিভাবে ১৫ টাকায় প্রত্যেকের জন্য একদিনের ইফতারি ম্যানেজ হয়ে যায়?
ফাঁক-ফোকরগুলি কোথায়? দামে, নাকি মানে? নাকি উভয়ক্ষেত্রেই?
আগের কোন রমজানে ভ্রাম্যমান আদালতগুলির এরকম সাহসী পদক্ষেপ দেখিনি। সাধারণত শুধু খাদ্যদ্রব্যের বাজারে পরিচালিত হত তাদের অভিযান, এখন পোশাক বা অন্যান্য পণ্যের বাজারেও হচ্ছে; যেটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। মিমি সুপারের মত মার্কেটে ৭০০০ টাকার লেহেঙ্গা ২৪০০০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে; সে দোকানে ম্যাজিস্ট্রেট তার দলবল নিয়ে হানা দিয়েছেন।
ভালো পদক্ষেপ। তবে, তাদের জরিমানা করার পরেও কি তারা দমে যাবে? নাকি দ্বিগুণ উৎসাহে ক্রেতাদের গলা কাটতে তৈরি থাকবে?
ভোক্তা অধিকার আইনের আওতায় যেকোন পণ্য বা সেবার বিক্রয়মূল্য/ক্রয়মূল্যের ধার্যকারণ জানার অধিকার কি আমাদের নেই?
আর, লেহেংগার দাম ৭০০০ টাকাও হয় কি করে? ঐ পোশাক পরলে কি ফ্লোর-মপ লাগে না? নাকি তাতে মণি-মুক্তাখচিত আছে? যারা এসব দোকান থেকে কেনাকাটা করে আসে, তাদের আয়-ব্যায়ের হিসাবও খতিয়ে দেখা উচিত।
দেশটা বড়ই লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে!
২| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:১৭
অশ্রুকারিগর বলেছেন: আপনি যেটা উল্লেখ করছেন সেটা টাকার অবমূল্যায়ন না সম্ভবত। হ্যা, টাকার অনেক অবমূল্যায়ন হচ্ছে কিন্তু সেটার উদাহরন হিসেবে এটা যায় না। একটা দেশে অবস্থানভেদে খাবারের বা জিনিসের দাম কম বেশি হতেই পারে, আমার এতে আপত্তি নেই। যার যেখান থেকে পছন্দ, যেটা সামর্থ সেটা খাবে। একটা সমাজে সবাই সমান হয় না। কেউ গরীব , কেউ মধ্যবিত্ত, কেউ উচ্চবিত্ত থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩১
পাউডার বলেছেন: যাদের টাকা আছে তারা এভাবে ছাড়া কিভাবে খরচ করবে!