নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়াবা বাবার মুক্তি

২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

কিছু কিছু সংবাদ খুবই দৈনন্দিন হয়ে যাচ্ছে আজকাল। এই যেমন, ইয়াবার চালান ধরা পরা। টেকনাফ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিজিবি বা কোস্টগার্ডের হাতে প্রায়ই ইয়াবার চালান এবং বেশ কিছু পাপেট ধরা পরে। গতকালের পত্রিকায় পড়েছিলাম দেড় লাখ ইয়াবা; আজকে পড়লাম ৭ লাখ ইয়াবা। আপাত দৃষ্টিতে খবরগুলি শুনে আনন্দিত বা গর্বিত হতে পারেন; কিন্তু এই ধরা পরার সংখ্যাটি নগণ্য, এবং এইগুলি বড় চালান বাঁচানোর Diversion; আগেও এরকম হয়েছে অনেকবার।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশে এখন এত তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে; অথচ, একই অঞ্চল হতে উদ্ভুত এবং রোহিঙ্গাদের সাথে পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত এই ভয়াবহ সমস্যা নিয়ে কারো কোন ভ্রুক্ষেপ বা আক্ষেপ নেই। এদিকে এরই মাঝে সেই সমস্যার অন্যতম কারিগর মুক্তি পেয়ে গেলেন।

মায়ানমার থেকে শুধু রোহিঙ্গারাই আসে না, ইয়াবাও আসে। এই ইয়াবা গত ১০-১৫ বছরে দেশের মাদকাসক্ত এবং মাদকপ্রেমীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাদকে পরিণত হয়েছে। সহজলভ্য এবং পরিবহনে অপেক্ষাকৃত সহজ হওয়াই এর জনপ্রিয়তার কারণ।

যখন যশোরের সরকারদলীয় সাংসদ রণজিৎ কুমার রায়ের "সভাপতি পরিবার" দেখছে এই জাতি, তখনই রাজধানীর একাংশের মেয়র আনিসুল হক রাষ্ট্রীয় সম্পদ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখেন- দখলদারেরা রাষ্ট্রের চেয়েও শক্তিশালী!

যখন ঝালকাঠির সাংসদ বি এইচ হারুনের চেক প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে অন্যেরা, তখনই চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোছলেমউদ্দিন আহমেদকে জনসম্মুখে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী-সমর্থক।

সরকারের বা রাজনৈতিক দলগুলির সংশোধনের চেষ্টা বা আন্তরিকতায় ঘাটতি নেই। কিন্তু, মন্দকে দমানো এত সহজ নয়, খারাপকে থামানো সোজা নয়। তারা সব জায়গায় খুঁটি গেড়ে বসে আছে। এরকম পরিস্থিতিতে যদি ইয়াবাসম্রাটখ্যাত সাংসদ বারংবার প্রবল প্রতিপত্তির সাথে মুক্তি পেয়ে যায়, তাহলে দেশের সামাজিক এবং রাজনৈতিক অগ্রগতি কিভাবে হবে?

সম্ভবত মাসখানেক আগে, মিরসরাইয়ে গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা র‍্যাবের একটি গাড়িকে সাধারণ যাত্রীবাহী ভেবে হামলা করে। গাড়ির দরজা খুলে সিনেমার স্টাইলে ডাকাতদের নিধন করে র‍্যাবের সাহসী সদস্যরা। এরকম আরো নানাবিধ ঘটনার কারণে র‍্যাব-পুলিশের প্রশংসা করতেই হয়। ছিনতাইকারী, মাদকব্যবসায়ী, চোরাচালানকারী, জলদস্যু, ডাকাত, এসব অপরাধীদের যদি প্রচলিত আইনী কায়দায় মোকাবেলা করা না যায়, তবে অভিনব পন্থা বেছে নিতে কোন আপত্তি নেই। জনগণের সমর্থন থাকবে সবসময়।

জঙ্গিদমনের ব্যাপারে সরকার সাম্প্রতিক যেরকম আগ্রাসী পথ অনুসরণ করছে, মাদকসম্রাট বা গডফাদারদের ব্যাপারেও অতিসত্ত্বর সেরকম উপায় অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছি; হোক তারা সরকারদলীয় প্রভাবশালী। মনে রাখতে হবে, এক বালতি মধুর মাধুর্য নষ্ট করতে এক ফোঁটা মূত্রই যথেষ্ট!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.