নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধ ১৯৭১ঃ সাংঘর্ষিক ইস্যুগুলির সরল দিকনির্দেশনা চাই

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

"১৯৭১ এ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে!"- এই পর্যন্ত কতগুলি হিন্দি সিনেমা, নাটক এবং রিয়েলিটি শোতে এই উক্তি বলতে শুনেছি, তার হিসেব রাখা ছেড়ে দিয়েছি। আগে, যেকোন ভারতীয় অনুষ্ঠানে এরকম কিছু বলতে শুনলেই এসব নিয়ে লিখতে বসে যেতাম, আড্ডায় সবার সাথে এসব শেয়ার করতাম। কিচ্ছু লাভ হয়নি, হবেও না।
কয়দিন আগে থেকে দেশের সম্মিলিত শিল্পী সমাজ Cultural aggression এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে; আমার ধারণা এর শুরু হয়েছে একান্তই অর্থনৈতিক স্বার্থেই। দেশের আত্মসম্মান, সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা রক্ষা এর উদ্দেশ্য নয়! যদি এসবই মূল উদ্দেশ্য হত, তবে কেন ভারতের সর্বস্তরের মানুষ এখনো ১৯৭১ এর যুদ্ধকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বলে স্বীকার করে না; কেন বলা হয়- "ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের ফলেই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে"?

আজ রাতেই চ্যানেল বদলাতে গিয়ে পুরানো হিন্দি এক মুভির একটি দৃশ্য দেখছিলাম। মুভির নাম- "কাচ্চে ধাগে", অজয় দেবগন এবং সাইফ আলী খান অভিনিত। দৃশ্যটিতে অজয়ের মা তাকে বলে, "১৯৭১ এ ভারত এবং পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার ফলে তার বাবা এবং তিনি আলাদা হয়ে পরেন; কারণ তারা বাবা হিন্দু, এবং মা মুসলিম।"

পুরানো ক্যাচাল নতুন করে পাড়ার উদ্দেশ্য একটাই- "যুদ্ধ যদি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যেই হয়ে থাকে, তবে বাংলাদেশ কেন পাকিস্তানকে ক্ষতিপূরণ দিবে?"
তার চাইতেও বড় প্রশ্ন- "ভারত যুদ্ধ করেছে, পাকিস্তানকে হারিয়েছে, সেই যুদ্ধে ভারতের ১৭০০ যোদ্ধা শহীদ হয়েছে; তাহলে সেই যোদ্ধাদের পরিবারকে ৮৫ কোটি রূপি ক্ষতিপূরণ বাংলাদেশ কেন দিবে?"

কেন? এখানেও double standard?!

[ছবির উৎসঃ Click This Link

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৮

CamEye বলেছেন: বলিউডের সিনেমা দেখা ছেড়ে ডকুমেন্টরি দেখুন! বলিউডে শুধু যুদ্ধটা ভারত পাকিস্তানের সেটা বলে কিন্তু এর পিছনের ইতিহাস, কারণ কিছুই বলেনা। তাই যদি বলিউডের সিনেমাকে রেফারেন্স হিসেবে ধরেন তাহলে খুব বড় ভুল করবেন! ইউটিউবে অনেক ডকুমেন্টরি আছে সেগুলো দেখুন তাহলে সব বুঝতে পারবেন! পক্ষপাত দুষ্ট বাংলাদেশী ইতিহাস পড়লে খুব একটা লাভ হবেনা! আসলে যুদ্ধটা প্রথম থেকে বাংলাদেশিদেরই ছিল কিন্তু শেষ পর্যায়ে সেটা ভারত বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে হয়! তাই ভারতীয়রা শুধু তাদেরই যুদ্ধটাকে উল্লেখ করে, তবে বাংলাদেশের যুদ্ধটাকে কেও অস্বীকারও করেনা! আর আপনি কোথায় পেলেন ভারতীয়রা বলে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের সৃষ্টি? যারা বলে তারা হয়তো ইতিহাস না জেনে বলে!

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:১৮

আবীর চৌধুরী বলেছেন: Click This Link

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকিস্তান ১৯৭১ সালের মুক্তিযু্দ্ধকে কিসের যুদ্ধ বলে; ভারত কি বলে; তাতে আপনার মাথা ব্যথা কেন?

১৯৭১ এর বাংগালীরা উহাকে যে যুদ্ধ (মুক্তিযুদ্ধ) বলে, তা কি আপনার জন্য ওকে? নাকি আপনি নতুন কোন নাম দিটে চান?

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:১৯

আবীর চৌধুরী বলেছেন: Click This Link

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

মিকাইল ইমরোজ বলেছেন: বাংলাদেশের অনেক লোকই তো মুক্তিযুদ্ধকে ৭১ সালের গন্ডগোল বলে। আর ভারতীয়রা কি বা বলবে? তবে ভারতীয়দের অবস্থান থেকে পাক ভারত যুদ্ধ বলাটা অস্বাভাবিক নয়। উইকিপিডিয়া দেখুন। নির্মোহ ভাবে চিন্তা করুন। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয়দের অংশগ্রহন কতভাবে এবং কতটুকু। ফলে ভারতীয়রা পাক-ভারত যুদ্ধ হিসেবে বলতেই পারে। এবং পাকিস্থান ভারতের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষনা করেছিল এবং যুদ্ধ হয়েছিল এই দুই পক্ষের মধ্যে। আপনি যে ভারতীয় দের দোষ দিচ্ছেন যে, তারা বাংলাদেশকে কম গুরুত্ব দিয়েছে কিন্তু আমরা কতটুকু ভারতের গুরুত্ব শিকার করি ৭১ এর ব্যপার (আ. লীগ সরকার ও হিন্দু ব্যাতিত)।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:২৩

আবীর চৌধুরী বলেছেন: উপরের লিংক যদি কাজ না করে কোনদিন। তাই, পুরো লেখাটি কপি করে নিচে পেস্ট করছি।

।। বাংলাদেশের স্বাধীনতা - ভারতীয় মনোভাব ।।

২০০৫ সালে Indian Eastern Army Command এর আমন্ত্রনে বিজয় দিবস উৎযাপন করতে Fort William যাই। সেবারই প্রথম। আমাদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল খন্দকার,বীর উত্তম;মে.জে. সফিউল্লাহ,বীর উত্তম;মেজর জে.সিআর দত্ত,বীর উত্তম;লে. জে.মুস্তাফিজুর রহমান,বীর বিক্রম;মে.জে.ইবরাহীম,বীর প্রতীক সহ প্রায় ৬০ জন সামরিক ও বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা। ১৬ ডিসেম্বর রাতে Fort Williamএর অফিসার্স ইনস্টিউট-এ এক পার্টির আয়োজন করা হয়। একাত্তরের যুদ্ধ নিয়ে একটি DVD প্রদর্শন করে ভারতীয়রা। ছবিটি দেখলে যে কারোর মনে হবে যে ওটা ছিলো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো উল্লেখ নেই। পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর বরুণ গান্ধী,মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য,Eastern Army Commander লে.জে.অরবিন্দ শর্মা সহ বহু সামরিক ভারতীয় সেনা অফিসার উপস্থিত ছিলেন। ছবিটি দেখতে দেখতে মাথায় রক্ত উঠছিলো। মাথাটা সম্পূর্ণ ওলট-পালট হয়ে গেলো যখন ছবির শেষাশেং বলা হলো যে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের পাকিস্তানি বাহিনী ভারতীয় Eastern Armyর কাছে আত্মসমর্পণ করে। আমি আর নিজেকে সংবরণ করতে পারলাম না। আমি চিৎকার করে বললাম,এটা মিথ্যাচার। পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পন করেছিলো বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ডের নিকট,দেখুন Joint Forces Agreement তারিখ ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ এবং দেখুন Jnstrument of Surrender তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। উপস্থিত সবার মুখে কুলুপ। GOC in C,Eastern Army Command লে.জে.অরবিন্দ শর্মা আমার কাছে এসে ক্ষমা চাইলেন এবং বললেন যে তারা এটা শুধরিয়ে নেবেন।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালের ৭ থেকে ১০ এপ্রিল ভারত সফর করেন। তার পূর্বে ৩১ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত ঢাকা সফর করেন। এ সফর ছিলো একই মাসে ভারতীয় সেনাপ্রধানের দ্বিতীয়বার ঢাকা সফর। কী বার্তা দিতে চাইছে ভারত যা তারা ভাবছে যে আমরা বুঝেছি না।
১ এপ্রিল ২০১৭ কুর্মিটোলা গল্ফ ক্লাবে Bangladesh War course Foundationএর অফিসাররা জে.বিপিনের সম্মানে একটি Tea Party দেয়।
আমি অসুস্থ,দাঁড়িয়ে থাকতে এবং হাঁটতে কষ্ট হয়। পিছনের দিকে বসা ছিলাম। জে.বিপিনের কমিশন ৩ ডিসেম্বর ১৯৭৬,আমার চেয়ে প্রায় দুই বছর পর। তার মহানুভবতা। তিনি আমার সম্বন্ধে খোঁজ ভালোই নিয়ছেন। বললেন,স্যার,আপনি মে.জে.আরডি হীরা ( Rocky Hira ) এবং ব্রি.সাবেগ সিং-একাত্তরে যুদ্ধের সময় চিনতেন। আমি মাথা দু'বার উপর নিচ করলাম। তিনি বললেন যে তিনি নিজে তাদের দেখেননি। তারা সবাই ১/১১ গুর্খা রেজিমেম্ট-এর অফিসার। ১/১১ গুর্খা জে.হীরা এবং ব্রি.সাবেগ সিং-কে নিয়ে গর্ব করে। খানিক পরে প্লেটে খাবার নিয়ে এসে আবার আমার সাথে গল্প করবেন বলে বসলেন। আমি বললাম,জে.বিপিন;আপনার রাজনীতিূীবিদরা আপনার মতামত গ্রহন করবে না। তবে যদি মনে করেন যে আপনার মতামত তাদের কাছে সামান্য গুরুত্ব পাবে তাহলে তাদের বলবেন,এইসব হেদায়েত করে কোনো লাভ হবে না। বড়জোর অস্ত্র বিক্রির সাময়িক কিছু লাভ হবে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত লে.জে.জয়দেব এবং কলিকাতার Fort Williamএ বর্তমান Indian Eastern Commander লে.জে.অভয় কৃষ্ন তাদের মনের গহীনে রক্ষিত কথাগুলি বললেন - একাত্তর ছিলো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ।মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় বাহিনীকে সহায়তা করেছে মাত্র। জ্ঞানপাপীরা জানে Joint Forces Agreementএ ভারতীয় বাহিনীকে উল্লেখ করা হয়েছে Supporting Forces (সহায়তাকারী বাহিনী) হিসেবে। আমরা কেনো Frindly Foces বা মিত্র বাহিনী বলি? সে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের গৃহায়নমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন,বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মে.জে.শামীমুজ্জামান সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তারা তাদের মেরুদন্ড ভুলে ঢাকায় রেখে গিয়েছিলেন।
পাকিস্তানিরা একরকম ইতর ভারতীয়রা আরেক রকম।
আমরা কি কাঁধের জোয়াল বদল করতে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি? ভারতীয় এবং ভারতীয় এদেশীয় বেতনভোগী দালালরা কী ভাবছেন? একাত্তরের রাজাকার ও দালালদের মতো কাঠগোড়ায় দাঁড় করাবো। ক'দিন লাফিয়ে নাও।

লিখেছেন:-
কামরুল হাসান ভুঁইয়া,
অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা,
চেয়ারম্যান, সেন্টার ফর বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজ

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০১

মিকাইল ইমরোজ বলেছেন: তার চাইতেও বড় প্রশ্ন- "ভারত যুদ্ধ করেছে, পাকিস্তানকে হারিয়েছে, সেই যুদ্ধে ভারতের ১৭০০ যোদ্ধা শহীদ হয়েছে; তাহলে সেই যোদ্ধাদের পরিবারকে ৮৫ কোটি রূপি ক্ষতিপূরণ বাংলাদেশ কেন দিবে?"




যুদ্ধ যাদের মধ্য হোক বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে (অবশ্য ভারতও কম উপকৃত হয়নি)। সেজন্য কৃতজ্ঞতা আমরা দেখাতেই পারি। আর ভারত কি আমাদের কাছে ক্ষতিপুরন চেয়েছে না মুখ ফুটে কোন দিন। বলেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.