নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মার্কেট অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গ

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটে বেশ কয়েকবার শপিং-এর অভিজ্ঞতায় দেখেছি এখানে বিভিন্ন পণ্যের দাম অত্যাশ্চর্যজনকভাবে কম। ধরা যাক, আপনি একটি প্রিঙ্গেলস কিনবেন- সুপার শপে এর দাম রাখবে ২৩০ টাকা, লোকাল খুচরা শপে ২১০ টাকা, লোকাল পাইকারী দোকানে ১৮০ টাকা এবং ডিএনসিসি মার্কেটে সেটি পাবেন ১৩০ টাকায়। এছাড়া বেবী ফুড এবং কস্মেমেটিক্স আইটেমের দাম লোভনীয়। এভাবে আগুনের পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় বিক্রেতাদের সাথে ক্রেতারাও দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বলা যায়।

পুঁজিবাদী সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে- সবচেয়ে উপরের স্তর থেকে নিচের স্তরগুলিতে পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য যা কিছু সম্ভব করে যাওয়া।

যদি, কনস্পারেসি থিওরিতে ঘি ঢালতে হয়, তবে এই ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনা আছে।

DNCC মার্কেটে যেকোন পণ্যের দামে যদি অন্য কোন মার্কেট থেকে ১০০ টাকার মত পার্থক্য হয়, তবে প্রতিদিন ওই পণ্যের ক্রেতা হারিয়ে লাখ লাখ টাকা অনৈতিক মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

তাছাড়া, এই মার্কেট বহুতল ভবন নয়, জায়গাটাও বেশ বড়। কুনজরে পরার মত ভাল লোকেশন।

এবার আসি এক্সিডেন্ট প্রসঙ্গে। খেয়াল করে দেখলাম, আমাদের দেশের বড় শহরগুলির কম বিক্রয়মূল্যের, পাইকারী-ঘরানার বাজারগুলির সবগুলিরই একই দুরবস্থা। বিদ্যুৎ, অগ্নিপ্রতিরোধ-নির্বাপণ, ভবন-কাঠামো প্রভৃতি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পয়নিষ্কাশন, বর্জ্যব্যাবস্থাপনা, নালা-নর্দমা, শৌচাগার, পার্কিং ইত্যাদির ন্যূনতম সুবিধাও নেই। তারের প্রকান্ড জট ঝুলছে অনেক দোকানের সামনেই। নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের প্রধান ব্যবহারকারী এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা!

আমি জানি, বিলাসবহুল শপিং কমপ্লেক্সগুলির মত সব উচ্চমানের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এই মার্কেট-কতৃপক্ষগুলির পক্ষে সম্ভব নয়; আর উচিতও নয়। কারণ, অপ্রয়োজনীয় বিলাসী এসব সুবিধা দিতে গিয়ে পণ্য এবং সেবার মূল্য বেড়ে যায়, ক্রয়মূল্য সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়।

কিন্তু, সরকার, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এবং প্রশাসনের কি উচিত নয়- নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তদের নিত্যপণ্যের এই বাজারগুলির সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সর্বনিম্ন মুনাফায় যারা জনগণকে সুবিধা দিচ্ছে, তাদেরকে নিরাপত্তা কে দিবে?

বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প সহ অন্যান্য সকল শিল্পকারখানার নিরাপদ পরিবেশ গঠনের লক্ষ্যে সরকারী, বেসরকারী এবং বিদেশী বিভিন্ন সংগঠন একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

এইসব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে যথাক্রমে রপ্তানিকারক, আমদানীকারক, উৎপাদক এবং বিপণনকারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলিকে। পাইকারী এবং খুচরা বিক্রয়-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি অবহেলিত কেন?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

জুন বলেছেন: আমার বহু বছরের পরিচিত এবং প্রিয় শপিং সেন্টারের এই পরিনতি বড্ড দুঃখজনক । বহু বছরের যাতায়তের সুবাদে বহু দোকান মালিক ছিল পরিচিত । তাদের চেহারাটা ভেসে উঠছে চোখের ওপর।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: অদক্ষ অযোগ্য অকর্মন্য ফা.ব্রি. এর কথা কেউ বলুন!

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যুক্তি আছে...

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: মার্কেটটি নিয়ে বহুদিন থেকে মালিকপক্ষ ও দোকানমালিকদের মধ্যে ঠোকাঠুকি চলছিল মনে হয়। পেপারেও এই রকম নিউজ এসেছিল আগে। তাই নাশকতার আশংকা এক বাক্যে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.