নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাজারঃ ধর্মীয় নয়, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

sufism, sunnism, wahibism, এসব কখন এসে Islam কে বিকৃত করে ফেলল, বুঝতেই পারলো না কেউ। এদের ভিতরকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পার্থিব সুবিধাভিত্তিক পার্থক্যের আলোচনায় যাবো না। আজকে আলোচনা করছি, মৃত ব্যক্তিদের কবর ঘিরে নির্মিত "মাজার" নামক সামাজিক/অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি নিয়ে।

মাজার সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই যা বলতে হয়ঃ কুরআনে আছে- "কোন মৃত ব্যাক্তি কোন জীবিত ব্যাক্তির উপকারে বা অপকারে আসতে পারে না।"
অতএব, মাজার ব্যাপারটাই অবৈধ, অনৈসলামিক। মাজার-ব্যবসা, মাজারপূজা, shrinism এগুলি ইসলামপরিপন্থী তা বুঝা যায়, মাজারে অমুসলিমদের আনাগোনা, মাজারকে শ্রদ্ধার আসনে রেখে মানত করা- এসব দেখে।
বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই (ভারত-পাকিস্তানেও) পীর-আউলিয়া-দরবেশ-সুফি-সাধক-ধর্মপ্রচারক বা কোন বিখ্যাত ব্যক্তির কবরস্থানকে মাজারে পরিণত করে রীতিমত শিরক-কার্যক্রমকে আনুষ্ঠানিক/প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে দেওয়া হয়।

অশিক্ষিত-ভীতু-দূর্বলচিত্ত-অপরাধের পরে কাতর মানুষদের আবেগকে পুঁজি করে উক্ত মাজারের প্রতিষ্ঠাকারীরা বংশপরিক্রমায় শত শত কোটি টাকার ব্যবসা করে আসছে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইলেই তাদেরকে মৌলবাদী/উগ্রপন্থী/ধর্মান্ধ/সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি চেতনাপ্রসূত উপাধিতে ভূষিত করে কলুষিত করা হচ্ছে।
ইসলামবিদ্বেষীদের সাথে ইসলামের যে সহস্র বছরের দ্বন্দ, সেই দ্বন্দের মধ্যে সুকৌশলে এই মাজারব্যবসায়ীরা তাদের ইস্যুও ঢুকিয়ে ফায়দা লুটে যাচ্ছে। ধর্মকে পুঁজি করে ব্যবসা মূলত এগুলিই, ধর্মকে অপব্যবহার করার সর্বোত্তম উদাহরণ এরাই!
যুদ্ধাপরাধী ইস্যু কিংবা জঙ্গি ইস্যুতে মাজারব্যবসায়ী এবং মাজারব্যবসায়ীদের সমর্থকদের (যারা চায় ইসলাম বিকৃত হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাক) একটি পরোক্ষ নিশানা থাকে তাদের দিকে, যারা মাজারব্যবসার সমালোচনা করে, এবং মাজারপূজার বিরোধী।

যদি কোন মৃত ব্যক্তির কবরে গিয়ে যেকোন মুসলিম ব্যক্তি ঐ মৃত ব্যক্তির জন্যে কিংবা যেকোন মৃত ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে মুনাজাত করে, কবরের নির্দিষ্ট দোয়া পড়ে, কিংবা যেকোনভাবে তাকে "স্মরণ" করে, নিজের জন্যে ঐ মৃত ব্যক্তির কাছে কিছু না চায়; তবে এতে দোষের কিছু থাকে না। মাজারের মোতোয়াল্লী, খাদেম, ইমাম বা মাজারসংশ্লিষ্ট যেকেউ যদি সত্যিকার মুসলিম হত, তবে তারা আগত মেহমানদের বলত- "এখানে চাওয়ার কিছু নেই। চাইতে হলে আল্লাহর কাছে চান। আর, আল্লাহর কাছে চাইতে হলে মাজারে আসতে হয় না; যেকোন জায়গায় চাওয়া যায়।"

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, মাত্র কয়দিন আগেই চট্টগ্রামের নাজিরহাট/ফটিকছড়ির এক স্থানের মাজার-খাদেম পরিবারের একজন আমার বাবাকে বলেছিল- "অমুক গায়েবী মসজিদের পানি নিয়ে গিয়ে ঘরের সবাইকে খাওয়ান। সব মুশকিল আসান হয়ে যাবে।"

আশা করি, এসব ভন্ড, পথভ্রষ্টদের বোধোদয় হবে। ইসলাম নিয়ে ভন্ডামী করার চাইতে ইসলামত্যাজ্য হওয়া অনেক ভালো।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

শোভন কুমার বর্ধন বলেছেন: পোষ্ট ভালো লাগলো।।।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

বর্ষন হোমস বলেছেন:
দেশে এখন অনেক কিছুই চলছে।কোনটা ফেলে কোনটার দিকে কর্ন্যপাত করবে মানুষ।অবৈধ আর অনৈতিক কাজ দিনকে দিন জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।আমি আপনি বলেই ক্ষ্যান্ত হচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.