নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালো পাঞ্জাবি

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

কয়দিন আগে কুমিল্লায় ঢাকাগামী চলন্ত বাস থেকে পুলিশের উপর bomb নিক্ষেপ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পরা "জঙ্গি"-র স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যানুযায়ী সেদিন রাতেই মীরসরাইয়ে পুলিশ/rab/ctu অভিযান চালিয়ে "জঙ্গি আস্তানা"-র সন্ধান পায়।

এখন, আমার পয়েন্ট, মীরসরাই-সীতাকুন্ড-মহেশখালী-বাঁশখালী-নোয়াখালী-পটুয়াখালী-খুলনা-টেকনাফসহ দেশের অসংখ্য স্থানে সুদূর অতীত হতে নির্দিষ্ট মৌসুমে ডাকাত/জলদস্যু/স্থানীয় অপরাধী/arm dealer/drug dealerদের প্রকোপ পরিলক্ষিত হয়।
Law enforcing বাহিনির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আস্তানা থেকে যা যা উদ্ধার করে, তথাকথিত "জঙ্গি আস্তানা" থেকেও সেদিন তা তা-ই উদ্ধার করা হয়।

পার্থক্য ছিল শুধু #কিছু "কালো পাঞ্জাবি"!

উল্লেখ্য এই যে, ওই ভাড়া বাসার মালিকের এবং স্থানীয় মানুষের বিবৃতি অনুযায়ী, যিনি বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন, তিনি একজন কাপড় ব্যবসায়ী!

আমার এই status এর উদ্দেশ্য যতটা না সন্দেহ প্রকাশ, তার চেয়েও বেশি আশংকিত/আতংকিত হওয়া।
কেন?

১) একজন সাধারণ বাংলাদেশী মুসলিম পরিবারে গড়ে প্রত্যেক পুরুষের ৫টা পাঞ্জাবি থাকে। আমার তার চাইতে বেশি আছে। ঈদের, নববর্ষের, গায়ে হলুদের পাঞ্জাবিগুলি দেখে উপলক্ষ বুঝা যায়। কালো পাঞ্জাবি আছে একটি; শোকের অনুষ্ঠান যেমন জাতীয় শোক দিবস, বা, ভাষা শহীদ দিবস। সাদা কাবুলি এবং ছাই রং এর জোব্বা পরে হাঁটলে তো আফগানী জাজাবর যোদ্ধা বলেই মনে হয় নিজেকে!

২) প্রায় বেশির ভাগ বাংলাদেশী মুসলিম পরিবারে, কেউ পড়ুক বা না পড়ুক, মানুক বা না মানুক, অন্তত ১০/১৫টা ইসলামিক (জিহাদী???) বই থাকে। কুরআন, হাদিসের বিভিন্ন বই ছাড়াও, ইসলামিক এসব বইয়ের কোনটা উপহার পাওয়া, কোনটা পুরস্কার, কোনটা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত। আমার তবে এই তিন ধরণের বাইরেও কিছু বই আছে। পাবলিক লাইব্রেরি থেকে এনে আর ফেরত দেওয়া হয়ে উঠেনি; কেউ আর তলবও করেনি! ৯৯% মুসলিম পরিবারে এই বইগুলি শুধু ধুলাবালির আস্তাকুঁড় ছাড়া আর কোন ভূমিকা রাখে না।

৩) জঙ্গি আস্তানা-শীর্ষক বাসা পাওয়া গেলেই আশেপাশের মানুষেরা কিছু typical বক্তব্য দেয়, যা তাদের নিজেদের ক্ষেত্রেও খাটে। যেমনঃ বিল দিতে গেলে বাইরে থেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়, ভাড়া নিজেরা নিয়ে আসে-বাসায় যেতে দেয় না, মাঝে মাঝে কিছু বাইরের যুবক আসা যাওয়া করে, ইত্যাদি ইত্যাদি। সবারই এসব সন্দেহের কথা মাথায় আসে সংশ্লিষ্ট অভিযানের পরে। তাহলে, সবার সন্দেহ থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রত্যেকে বাসা ভাড়া নেওয়ার পরে কি ঘরের দরজাগুলি উপড়ে ফেলবে, জানালার পর্দাগুলি ছিড়ে ফেলবে, প্রতিদিন ঘরে উন্মুক্ত মিটিং-পার্টি-মেজবান রাখবে, ঘরে শুধু বৃদ্ধ/মহিলা/শিশুই থাকবে, যুবকেরা কি লিঙ্গান্তর করে যুবতী হয়ে যাবে?

--------

কয়েক মাস আগে এক বড় ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত খেতে চট্টগ্রাম থেকে দল বেঁধে মীরসরাই ঘুরতে গিয়েছিলাম আমরা ২০/২৫ জন। দিন ছিল শুক্রবার। তাও আমরা fashion-সচেতন মুসলিমেরা কেউ পাঞ্জাবির ধারেকাছে যাইনই; অনেকে ঘুরাঘুরি করতে করতে জুমার নামাযই পরে নি। সেদিন, আশ্চর্যজনকভাবে কালো পাঞ্জাবি পরে গিয়েছিলেন এক সনাতন ধর্মাবলম্বী আইনজীবি ভাই। বিশাল বপু, খোঁচা দাড়ি আর কালো পাঞ্জাবি দেখে, নিসন্দেহে, আজকের দিনে, তিনি বিশ্বের প্রথম অমুসলিম জঙ্গির উপাধি পেয়ে যেতেন!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুসলিম পরিবারে গড়ে ৫টা পাঞ্জাবি থাকে।
কোরবানির জন্য চাপাতিও থাকতে পারে।

কিন্তু হ্যান্ডগ্রেনেড পিস্তল থাকেনা।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪২

আবীর চৌধুরী বলেছেন: সেটাই তো

ধরুন, আমি সেরকম সাধারণ মুসলিম। যার ঘরে ইসলামিক বই, পাঞ্জাবি, ছুরি-দা-চাপাতি সবই আছে।
একই সাথে আমি একজন ডাকাত, অপরাধী। হাইওয়েতে ডাকাতি করি। হাতবোমা দিয়ে গাড়ির চাকা ফাটিয়ে পিস্তল দেখিয়ে লুট করি।
এখন বলেন, আমি জঙ্গি, নাকি অপরাধী/ডাকাত/সন্ত্রাসী?

যুদ্ধাপরাধী মূলা খাওয়া প্রায় শেষ। জনগণ নামক গাধার জন্য নতুন মূলা দরকার। এই মূলা দেখে বহির্বিশ্বের শত্রুরা ঝামেলা পাকাতে এগিয়ে এলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে না তো?

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ডাকাইতের লাইজ্ঞা এইসব বান্দাগো কান্দন দেখলে তো সন্দেহ হইবোই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.