নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলুয় ভুবন ভরা

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

দেশে আলুর ফলন বছর বছর বাড়ছে। কৃষকেরা আলু চাষের দিকে ঝুকে গিয়েছেন, কারণ ধানের তুলনায় জমিতে আলুর ফলন কয়েক গুণ বেশি হয়। পুষ্টিগুণেও ধানের/চালের/ভাতের চেয়ে অনেক এগিয়ে আলু।

আমাদের দেশ চাল নিয়েই চালাচালি হয়, মাতামাতি হয়। প্রধান শস্য হিসেবে চালকে রিটায়ারমেন্ট দেওয়ার সময় চলে এসেছে। আলু অনেক দেশেরই প্রধান শস্য। আমাদের হলে কি সমস্যা।

এ বছর রেকর্ড পরিমাণ আলুর ফলন হয়েছে। আলুচাষীরা নিজেদের ন্যায্যমূল্য পায়নি- এইটা পুরানো কথা। হিমাগারগুলিতে আলুর আড়তদারেরা সব আলু মজুদ করে রেখেছিলেন এতদিন বেশি লাভ পাওয়ার আশায়। সেই পাহাড়পরিমাণ আলু এখন কয়দিন পরই নষ্ট হতে শুরু করবে

মজুতদারেরা বলছে, বর্তমান খুচরা বাজারদরের চাহিদা অনুযায়ী তারা আলু ছাড়তে শুরু করলে বস্তাপ্রতি তাদের অমুক টাকার ক্ষতি হবে। সব ভাঁওতাবাজি। তাহলে, প্রান্তিক আলুচাষীরা এত কম মূল্য পায় কিভাবে?

এই সমস্যার একটা দ্রুত সমাধান হতে পারে এরকম-

দেশের বন্যাপিড়ীত অঞ্চলে এবং রোহিংগা শরণার্থীদের মধ্যে ত্রাণ হিসেবে আলু দেওয়া হোক। সরকারি/বেসরকারি/আন্তর্জাতিকভাবে যে অর্থসাহায্য আসছে, সেসব দিয়ে আড়তদারদের থেকে সরাসরি আলুর বস্তা কিনে নেওয়া হোক। চাল-ডাল-আটার পরিবর্তে আলু দেওয়া হোক।

সময় থাকতে অতিরিক্ত উতপাদিত শস্য বিদেশে রপ্তানি করা যায় না। অথচ, চাহিদার মৌসুমে সেই একই শস্য পচে যাওয়ার পরে উল্টা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

রোহিংগারা যখন দেশে আসতে শুরু করেছিল, তখন শুনেছিলাম মায়ানমার থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। দেশ যখন চালের চেয়েও পুষ্টিকর শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তখন কেন শত্রুভাবাপন্ন প্রতিবেশীর মুখাপেক্ষী হতে হয়? আলুচাষীরা, মহাজনেরা, কৃষি অর্থনীতিবিদেরা তখন চুপ ছিল কেন?

এত আলু পচতে যাচ্ছে, তাও তো ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে পটেটো-ফুডের আকাল। এগ্রো-ইন্ড্রাস্টিয়াল সেক্টরে কোন ইনোভেশন নাই, রিভলিউশন নাই। রেস্টুরেন্টগুলিতে তাও আলু দিয়ে তৈরি খাবারের চড়া দাম।

আমাদের দেশেই এসব সম্ভব!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: বেশী করে আলু খান-ভাতের উপর চাপ কমান--বেচারী মন্ত্রী তাহলে খারাপ বলেন নাই।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩২

শাহানাজ সুলতানা বলেছেন: যে ফলনই বাড়ুক না কেন কৃষন পাচ্ছে না তার ন্যায্য মূল্য। সাধারণ জনগন কিনছে চড়া দামে। মাঝখান দিয়ে কিছু শুবিধাবাদি মানুষ হচ্ছে লাভবান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.