নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাবির ভর্তি পরীক্ষায় বিতর্কিত প্রশ্ন

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০২

দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রতিবেদককে ২০১৩ সালে তিনি বলেছিলেন, "আমি বার্মিজ বিন লাদেন!" বিবিসি-সিএনএনসহ আরো অন্যান্য বিশ্বমিডিয়ার সামনে নির্দ্বিধায়, নির্লজ্জের মত নিজের উগ্রতার কথা জাহির করেন তিনি।

তিনি হলেন মায়ানমারের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বৌদ্ধভিক্ষু আশিন উইরাথু। তিনি, তার শিষ্যেরা, এবং তাকে অনুসরণকারী বৌদ্ধধর্মাবলম্বী জনগণ গৌতম বুদ্ধের দেখানো পথের ঠিক উল্টা পথে চলেন। হিংসাই তাদের পরম ধর্ম।

এরা সাধারণ বার্মিজ জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করে না। এরা সাধারণ বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের রিপ্রেজেন্ট করে না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় ওই বিতর্কিত প্রশ্নটিতে "বৌদ্ধধর্মাবলম্বী" শব্দটি দিয়ে যদি আশিন উইরাথু এবং তার সমর্থকদের বুঝানো হয়ে থাকে, তবে তাতে দোষের কিছু দেখি না। তবে, যেহেতু এটি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন, এবং এতে ব্যাখা-বিশ্লেষণ করার সুযোগ নেই, তাই এরকম প্রশ্ন করা এড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিল।

এবার আসি, অপর বিতর্কিত প্রশ্ন প্রসংগে। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ।

একজন মুসলিম (লিবারেল, মডারেট, প্রাকটিসিং, বা এক্সট্রিম) মাত্রেই জানেন- বাইবেল ও ইঞ্জিল শরীফ দুইটাই একই গ্রন্থকে নির্দেশ করে। যদিও আধুনিককালে অনেকবার বিকৃত হয়েছে বাইবেল। সরে এসেছে মূল "ইঞ্জিল শরিফ" থেকে। তারপরেও ৪টি অপশনে একই জিনিস দুইবার না দিয়ে ত্রিপিটক বা তাওরাত বা অন্য বইয়ের নাম দেওয়াটাই সংগতিপূর্ণ আচরণ ছিল।

দ্বিতীয়ত, গীতার পূর্বে "পবিত্র" লেখা না থাকা প্রসংগে বলতে হয়, বাইবেলের আগে ক্রিশ্চিয়ানেরা "হলি" বলে থাকে, এটি বাইবেলের নামের অংশ। তেমনি বাংলাভাষীরা কুরআনের আগে পবিত্র বলে থাকে, যদিও মূল নামে পবিত্র শব্দটি নেই। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গীতাকে গীতা-ই বলেন; পবিত্র লাগিয়ে পবিত্রতা জাহির করতে হয় না।

সবচেয়ে বড় কথা- দেশে অনেকদিন যাবত রামরাজত্ব (বাগধারা) চলছে। দেশের আনাচেকানাচে সবখানে অমুক লীগ, তমুক লীগ। আদালতের আইনজীবি পরিষদ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি থেকে শুরু করে বাস-ট্রাক শ্রমিক সমিতি, সরকারি-বেসরকারি-সামরিক সব খাতে ক্ষমতাসীনদের সদর্প পদচারণা।

এমতাবস্থায়, একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের #চারুকলা অনুষদের ভর্তিপরীক্ষায় এরকম প্রশ্ন দেওয়াটা কি অজ্ঞতা নাকি ষড়যন্ত্র, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত।

পরিবারের কর্তার টাকার ব্যাগ থেকে টাকা চুরি হলে সবার প্রথম সন্দেহ কাজের লোকের উপর যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, চুরি করেন গৃহিণী নিজেই, কিংবা কর্তার উত্তরাধিকারেরাই।

অনেক সময় দেখা যায়, ঘরে কাজের লোকই নেই! রাবির ক্ষেত্রেও কি এরকমই ঘটেছে?!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজশাহী ইউনিভার্সিটি আসলে একটি ভালো মক্তব

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি থেকে শুরু করে বাস-ট্রাক শ্রমিক সমিতি, সরকারি-বেসরকারি-সামরিক সব খাতে ক্ষমতাসীনদের সদর্প পদচারণা।

এমতাবস্থায়, একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের #চারুকলা অনুষদের ভর্তিপরীক্ষায় এরকম প্রশ্ন দেওয়াটা কি অজ্ঞতা নাকি ষড়যন্ত্র, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত।

পরিবারের কর্তার টাকার ব্যাগ থেকে টাকা চুরি হলে সবার প্রথম সন্দেহ কাজের লোকের উপর যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, চুরি করেন গৃহিণী নিজেই, কিংবা কর্তার উত্তরাধিকারেরাই।

অনেক সময় দেখা যায়, ঘরে কাজের লোকই নেই! রাবির ক্ষেত্রেও কি এরকমই ঘটেছে?!

নিজের দোষ কে কবে স্বীকার করেছে???? আর সেটা যদি হয় আওয়ামীলীগ তবে তো প্রশ্নই ওঠেনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.