![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টইটম্বুর এ ১৯৯৩ থেকে রীতিমত হার্টথ্রব ছিলাম। ওই সময়ের কথা মনে পরলে হিংসা হয়। এলাকার পোস্ট ম্যানগুলি আগে বাবাকে বেশি চিনত চিঠিপত্রের কারণে, পরে আমাকে চিনতে বাধ্য হয়- পুরস্কার পৌঁছে দিতে দিতে।
কচি কাচার আসর এই লাইনে পাইওনিয়ার হলেও টইটম্বুরই দীর্ঘদিন ধরে সাফল্যের সাথে ভালো অবস্থান ধরে রেখে এসেছে।
প্রথম আলোর গোল্লাছুটের ১ম ও একমাত্র জাতীয় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ১ম হয়েছিলাম। ১৯৯৮ সালে। ৩৫০০+ প্রতিযোগীর মধ্যে। ৫০০ টাকা দিয়ে যে ১৪টা বই পাওয়া যায়, সেটা আজকের দিনে অসম্ভব। বইগুলি পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলাম।
জনকন্ঠের ঝিলিমিলি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আসন্নতেও ছড়া-কবিতা লিখে কিছু পুরস্কার পেয়েছিলাম।
এ ছাড়াও যে ম্যাগাজিন, ক্রোড়পত্র, পত্রিকা পেতাম, বাছাবাছি না করে সবগুলি থেকেই নির্মল বিনোদন এবং তথ্য-জ্ঞান আহরণ করতাম। পুরস্কারের লোভে সব প্রতিযোগিতায় গুরুত্ব সহকারে অংশগ্রহণ করতাম। বেশির ভাগেই পেয়েও যেতাম।
কিশোর কন্ঠ-ও এর মধ্যে ছিল! ভালই চুষে খেয়েছি পুরস্কার।
১৬ বছর পার হয়ে যাওয়া, খুবই আফসোসের ব্যাপার।
কিশোরআলো এবং বিজ্ঞানচিন্তার জন্ম একই প্ল্যাটফর্ম থেকে, বহুলাংশে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। তারা নিজেদের অন্যান্য প্রাক-উদ্যোগকে (যেমন: গোল্লাছুট) ব্যবহার করেও একই কাজ করতে পারতো। তবে সেটার পরিসর হয়ত বড় হত না।
যাই হোক, যেটা বলতে চাইছিলাম।
ফেসবুক যুগে বাংলাদেশে এই ম্যাগাজিন দুটির আবির্ভাব। এদের সূচনা, বিকাশ এবং পথ চলায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মার্কেটিং এর প্রচন্ড অবদান আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ম্যাগাজিনদ্বয়ের ভক্ত-পাঠকেরা ভাবের আদানপ্রদান করে ফেসবুকের মাধ্যমেই।
আমার ছোট বোন বিজ্ঞানচিন্তায় লেখা পাঠায়/পাঠাতে চায়। মোবাইলে কুইজগুলির প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ফেসবুকে হারিয়ে যায়। আর পাঠানো হয় না।
ম্যাগাজিনগুলির সম্পাদকদের নিয়মিতভাবে পাঠকদের মনে করিয়ে দেওয়া উচিত- "যেকোন কিছুর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার নেশা। ফেসবুক-ও নেশা ধরায়। এর থেকে দূরে থাকুন!"
আর, কুইজে সচরাচর এমন কোন প্রশ্ন বা সমস্যার সমাধান চাওয়া উচিত নয়, যাতে আগ্রহীদের ইন্টারনেটের সাহায্য চাইতে হয়। পূর্বের কোন ম্যাগাজিন বা সাম্প্রতিক এডিশন থেকেই সরাসরি বা ঘুরিয়ে প্রশ্ন করা যায়।
পাঠ্যবই, রেফারেন্স বই, বা বয়োজ্যেষ্ঠদের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া যেতে পারে। এর ফলে, যন্ত্রনির্ভরতা, প্রযুক্তিবিলাস এবং নির্বুদ্ধিতা কমবে। সত্যিকারের সামাজিক যোগাযোগ ও মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি পাবে।
©somewhere in net ltd.