নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ের দাওয়াতের খাবার এবং অতিথিদের আচরণ

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

খুব মনোযোগ দিয়ে আমার কথাগুলি পড়ুন। সবার সাথে কথোপকথন এর মাধ্যমে শেয়ার করুন; বিশেষত যারা ফেসবুকে নেই, কিংবা ফেসবুকের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি এড়িয়ে যান, পড়ার সময় পান না।

১) বিয়ের দাওয়াত এর খাবার খাওয়া কোন "ফুড কন্টেস্ট" নয়। "কে কত খেতে পারে", এই প্রতিযোগিতাটা শেষ পর্যন্ত "কে কত নষ্ট করতে পারে"-তে পরিণত হয়।

২) বিয়ের দাওয়াত এর খাবার খেতে গিয়ে আতিথেয়তা বা আদিখ্যেতার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। নিজের খাবার নিজে নেওয়ার চেষ্টা করুন, সাধ্যমত, যা যা খাবেন, যতটুকু খাবেন। অন্যেরা নিজ নিজ খাবার নিজেদের ইচ্ছামত নিয়ে খাবে।

৩) কম কম দিয়ে শুরু করুন। শেষ হলে, ক্ষিদে বা ইচ্ছে থাকলে, নতুন করে নিবেন। কাড়াকাড়ি করে সব আইটেম নিয়ে খাবারের পাত্রগুলি শূন্য করে ফেলার "হাভাতে সংস্কৃতি" থেকে বের হয়ে আসতে সবার জন্য আদর্শ হয়ে উঠুন। ফুড সার্ভার বা বয়কে নিষেধ করুন, সেও যাতে তাড়াহুড়া না করে।

৪) খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:- কোনভাবেই কোন খাবারের আইটেম এঁটো করবেন না। খাবারের মাঝখানে নিজে কিংবা অন্যকে হাত দিয়ে কিছু দেওয়া মানেই "এঁটো করা"! কোন খাদ্যবিশেষ খেতে পারবেন না মনে করলে, শুরুতেই পরিস্কার হাতে সেটি তুলে রাখুন। আরো ভালো হয়, খাবার সার্ভের সময় না নেওয়া।

৫) আপনার সাথে থাকা বাচ্চা, বা বয়স্ক মানুষ, বা খেতে পারবেন না এমন, বা কম খান এরকম কাউকে জোর করে বেশি বেশি খাবার বেড়ে দিয়ে, গিফটের টাকা উশুল করা, কিংবা আপনার হোস্টিং-এ আয়োজিত দাওয়াতের বদলা নেওয়ার মত নীচ আচরণ থেকে বিরত থাকুন।

৬) পানি এবং পানীয় নেওয়ার সময় আরেকজনের প্লেটে এবং অন্য খাবারের ভেতরে যাতে না পরে খেয়াল রাখুন। পানি এবং পানীয়র বোতলের মুখ হাত দিয়ে না ধরে, বোতলের মাঝখানে ধরে আনা-নেওয়া করুন। সবার খাওয়া হয়ে গেলে পানি/পানীয়র বোতলের ছিপি/ঢাকনা আটকে দিতে পারলে খুবই ভালো হয়।

৭) মনে রাখবেন, যেসব খাবার বেঁচে যায়, সে যেভাবেই হউক না কেন, হয় আয়োজকদের ঘরে যায়, কিংবা সবশেষে নিম্নবিত্তদের পেটে যায়। যার ভাগ্যেই থাকুক না কেন, সবাই কিন্তু "মানুষ"! আপনি যদি আরেকজনের ঘাটাঘাটি করা, হাতানো, এবং প্লেটের অবশিষ্ট খাবার খেতে না পারেন, তবে তারা খাবে কেন?

৮) প্রতি প্লেট বিয়ের খাবারের অর্থনৈতিক মূল্য অনেক- এটা আমরা সবাই জানি। খাবারের প্রতি সম্মান দিন। ক্ষেত/খামার থেকে শুরু করে আপনার সামনে পর্যন্ত খাবারগুলি যারা নিয়ে এসেছে, তাদের পরিশ্রমকে সম্মান করুন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনযোগ দিয়ে পড়লাম; আবারো পড়বো

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: খাওয়ার মাঝখানে ডান হাতে তরকারির চামচ ধরতে নিষেধ করলেন না?

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সিফটিপিন বলেছেন: অনেকেই আছে বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খেতে এসে 'এ মাংস খাবনা, রান্না ভালো হয়নি,(অথচ এক গামলা সাবার) হাড্ডিসহ মাংস চাই, ঝোল দেবেন না, দু-কামর দিয়ে ফেলে দেবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাবটা এমন যে, সে সব সময় মাংস খায় X(( । এদিকে বাড়িতে চৌদ্দ দিন পর একদিন হাফ কেজি মাংস কিনে একপিচ খায়। ঝোল বাঁচলে পরের দিন গরম করে চেটে পুটে খায়, আর বলে খুব সুস্বাদু।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০০

A.Z.M.Julkernine বলেছেন: হুম বুঝলাম.....

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল টপিক নিয়ে লিখেছেন । জেলা শহরে এসব বেশি হয়। ঢাকাতে বড় পার্টির আয়োজনে ভদ্রলোকেরাই আসে ফলে ফাউল কাজ হয় না। আসলে এটিকেট এমন একটি বিষয় যা সকল মানুষের পক্ষে পালন করা সম্ভব হয় না । সেপটিপিন ভাল উদাহরন দিয়েছে। বিয়ে বাড়ি এখন যাওয়া হয়না আর যদিও বা যাই তারা আমার ও আমদের জন্য মাছের আয়োজন করেন। এক সময় দুর্দান্ত খেতে পারতাম , সেদিন শেষ , দুঃখ :(

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লিখেছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে এসব পরিচিত দৃশ্য। আপাতঃদৃষ্টিতে যাদেরকে ভদ্রলোক বলেই মনে হয়, তাদেরকেও দেখেছি এসব করতে। বিশেষ করে মহিলারা তাদের সাথে আনা বাচ্চাগুলোকে তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে খাওয়াতে থাকেন এবং ক্রমান্বয়ে খাবার অপচয় করতে থাকেন।
আমি আরো দুটো পয়েন্ট যোগ করছিঃ
আপনার ডান ও বাম পাশের অতিথি দু'জনের প্রতিও কিছুটা লক্ষ্য রাখুন, তারাও যেন সহজেই টেবিল থেকে খাবার নিতে পারেন। প্রয়োজনে তাদেরকে এ ব্যাপারে একটু সাহায্য করুন।
খাওয়া শেষে টেবিলে বসে প্রকাশ্যে দাঁত খিলাল করবেন না।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৬

আল ইফরান বলেছেন: ট্রিভিয়াল কিন্তু সামাজিক পরিসরে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে এই বিষয়টি।
বিশেষ করে খাবার সার্ভ করার সময় যতটুকু না খাবে তার চেয়ে বেশি জোড় করে নিয়ে নেয়া। কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হল হলে সমস্যা খুব বেশি হয় না। কিন্তু অমিতচারী খাবারের জন্য সমস্যা বেশি হয় রেস্তোরার অনুষ্ঠানে যেখানে মাথা গুনে খাবার সার্ভ করা হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু খেতে পারি ঠিক ততটুকুই নেই। বেশি নিয়ে অপচয় করাটা আমার কাছে একধরনের অসভ্যতা বলে মন হয়।

৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। ফেবুতে এই পোস্ট ম্যাক্সিমাম মানুষের কাছে পৌছালে ভাল হত।

৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: ভাল কিছু পরামর্শ

১০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: একটি ছোট কিন্তু কার্যকরী এটিকস, আজকাল প্রায় সব দাওয়াতেই ন্যাপকিন বা টিস্যু পেপার দেয়া হয়। এইগুলি অধিকাংশ অতিথিরাই হাতমুখ ধুয়ে এসে মুছে ফেলার কাজে লাগায় অর্থাৎ খাওয়া শেষ হলে এটো তেল-ভাত মাখানো হাত সামনের দিকে বাড়িয়ে ধরে মানুষজনের ভীড়ের মধ্যে দিয়ে সাপের মত একেবেকে রাস্তা তৈরী করে নিয়ে ওয়াশরুমে যেয়ে থাকে। এই সময় অসাবধানতাবশত: কত লোকের জামায় তেল-হলুদের আল্পনা একেঁ রেখে যায় তার কোন ইয়ত্তা নেই। আর ওয়াশরুমে সাবানের পক্ষেও সবসময় তেল-হলুদের মসলা দূর করা সম্ভব হয় না বিশেষ করে আংগুলের ফাকে ফাকে ও হাতের বিশেষ কিছু জায়গায়।

এক্ষেত্রে খাওয়ার পরপরই যদি ঐ ন্যাপকিন দিয়ে আগে হাতের তেল-চর্বিগুলি মুছে নিয়ে তারপর ওয়াশরুমে যেয়ে হাতমুখ ধুয়ে নেন দেখবেন কত সহজে সব পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যদি সাবান ব্যবহারের সুযোগ নাও পান তবুও দেখবেন অতটা সমস্যা হচ্ছে না।

১১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০৯

আবীর চৌধুরী বলেছেন: এত ভালো মন্তব্য পাবো আশা করিনি।
খুব গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন সবাই।

১২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:৫৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে লেখা ভালো লাগল পড়ে।

১৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই সব ভোজ অনুষ্ঠানে প্রচুর খাদ্য অপচয় হয়। এই সব অপচয় বন্ধ করা উচিত। অনেক গরীব মানুষ খেতে পায় না। ভাতের জন্য মানুষ দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়া আর মধ্যপ্রাচ্যে কামলা দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের শরম থাকার দরকার আছে।

১৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৪১

অগ্নিবেশ বলেছেন: ভালো পোস্ট।

১৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:






কেউ যদি সুন্নত মত খেতে চায়, তার দিকে দুরভিসন্ধিযুক্ত দৃষ্টিতে তাকাবেন না।


পড়লাম, ধন্যবাদ

১৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

শায়মা বলেছেন: হা হা ঠিক ঠিক অনেকেই এমন করে। সে বসুন্ধরা কনভেনশন হোক বা সেনা কুঞ্জ। তাদের জন্য এই পোস্ট বিশেষ দরকারী।

১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

প্রামানিক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ

১৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

সুমন কর বলেছেন: সহমত। কিছু গ্রুপ আবার প্রতিযোগিতা করে খায়, বন্ধ হোক এসব অসুস্থ প্রতিযোগিতার !!

১৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: সবগুলো সত্যি বলেছেন

২০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: খাবার নস্ট করা কারোরই উচিত নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.