নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ক্রিকেট: কেন তীরে এসে তরী ডুবা বারবার

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

কারো নাম নিয়ে বদনাম করব না। আমার মনে হয়, বিসিবির উচিত, প্লেয়ারওয়াইজ আলাদাভাবে ট্রেনিং/কাউন্সেলিং করানো।

স্পষ্টতভাবে, দলে ৩ genre এর প্লেয়ার দেখি।
সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, রুবেল।
সাব্বির, সৌম্য, মুস্তাফিজ।
লিটন, নাজমুল, মিরাজ।

এরমধ্যে আবার, স্পিনার আর সিমারদের আলাদাভাবে ট্রেইন করতে হবে। সিমারদের তুলনায় স্পিনারেরা খুব বাজে। সাকিবকে কিছুতেই আদর্শ স্পিনার মেনে এগোলে হবে না। মিরাজের ১ ওভারে ১৭ দেওয়া, এবং তার বদলে সৌম্যকে অতিরিক্ত ওভার বল করতে দেওয়ার কথা ভুলে গেলে হবে না। প্রয়োজনে তদবির/লিংক ছাড়াই তৃণমূল থেকে ভালো স্পিনার টেনে আনতে হবে।

ফিল্ডিং এ একটি ব্যাপার নজরে এসেছে আমার। উইকেট বরাবর থ্রোতে দূর্বলতা। উইকেটের দিকে ডাইরেক্ট থ্রোয়ের ক্ষেত্রে নার্ভ কাজ করে না। প্র‍্যাক্টিসের অভাব, কিংবা, এরকম পরিবেশে খেলার অপ্রতুলতা। উইকেটের পাশে থাকা প্লেয়ারের যথাসম্ভব কাছে যাতে থ্রো করা বলটি যায়, সেরকমভাবে ছুড়ে মারাও চর্চা করতে হবে। এই ভুলগুলি ভারত খুব কম করে বললেই চলে।
আর, নিজেদের দলীয় প্র‍্যাকটিসের সময় এমনভাবে প্র‍্যাকটিস করতে হবে, যাতে ব্যাটসম্যান ফিল্ডারদের মিস করে বল পিছনে পাঠাতে পারে, এবং একই সাথে ফিল্ডারেরাও নিজের কাছে না আসা বল ঝাঁপিয়ে আটকাতে পারে অন্তত। কারণ, আমার অভিজ্ঞতা বলে, অন্যান্য দলগুলির চাইতে, বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের "বিপক্ষ দলের ফিল্ডার বরাবর শট মেরে ক্যাচ দেওয়া"-র প্রবণতা খুবই বেশি!

ব্যাটিং এ প্রথমেই বলব, টেইল-এন্ডার তথা বোলারেরা যাতে ব্যাটে বল লাগিয়ে দৌড়ে রান নিতে পারে, সেই ট্রেনিং দিতে। সবসময় ব্যাটসম্যানদের উপর ভরসা করা যায় না। অনেকক্ষেত্রেই বোলারেরা রান চেইজ করতে কিংবা ভালো টার্গেট দিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে আরেকটি ব্যাপার লক্ষণীয়। যেকোন মুহুর্তে অদ্ভুত কিছু শট (স্কুপ, সুইপ, রিভার্স সুইপ, ইত্যাদি) ট্রাই করতে গিয়ে ক্যাচ দেওয়া, কট বিহাইন্ড হওয়া, বা বোল্ড হওয়া।
ক্রিজে দৌড়ে রান নেওয়ার ক্ষেত্রে বাচ্চাজাতীয় প্লেয়ার (যেমন, মিরাজ) ছাড়া মোটামুটি সবাই ভয়ানক দূর্বল। আমার আগে ধারণা ছিল, ইনজামামের মত প্লেয়ারেরা রান নিতে পারতনা শরীরের কারণে। কিন্তু, মাহমুদুল্লাহর তো সেই দূর্বলতা নেই। তারপরেও রান আউটের পরিসংখ্যানে মাহমুদুল্লাহ অনেক এগিয়ে।
পাওয়ার শটের ক্ষেত্রেও আমার ধারণা ছিল, ম্যাথু হেইডেনের মত বিশাল পেশীবহুলদের জন্য নিখুঁত বাউন্ডারি পার মামুলি ব্যাপার। গতকাল, দিনেশ কার্তিকের মত দৃশ্যত তালপাতার সেপাই অভাবনীয় সব শট খেলে আবারো আমার ধারণা ভুল প্রমাণ করেছে। এই দিনেশ কার্তিকদের কি খাওয়ানো হয়, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের খাওয়ানো হয় না?

ভারতের মত শক্তিধর দলগুলির সাথে বেশি বেশি খেলে যাতে "জাতে আসা যায়", সেজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা দরকার আরো বেশি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পরার্মশ শুনবে কে???

এরক তীরে এসে তরী ডুবার বেশ কটি অকল্পনীয় হার যেন কংলকের মালা হয়ে টিম বাংলাদেশের গলায় ঝুলছে!
আপনার মতগুলো কি ভাববে বিসিবির কত্তা রা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.