নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূত্বকের উপরিস্থিত জলাশয়ের পানি দিয়ে, বিদ্যুৎ ছাড়াই সেচ কাজ

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:১২

শ্রদ্ধেয় শাইখ সিরাজ,
আমি এখন ত্রিশোর্ধ এক প্রাপ্তবয়স্ক। সেই বাল্যকাল থেকে কার্টুন আর সিরিয়ালের পাশাপাশি বিটিভির "মাটি ও মানুষ" খুব ভালো লাগতো কেন জানি। বাংলাদেশ, পৃথিবী, তথা মানবজাতিকে বাঁচাতে কার্যকরী, যুগোপযোগী, টেকসই, ও আধুনিক কৃষিব্যবস্থার গুরুত্ব আমি অনেক আগে থেকেই বুঝতে শুরু করি।
কৃষির সাথে প্রকৌশল ও বিজ্ঞানের নানান বিষয়ের সমন্বয় করে জীবনযাপন ও জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।

তারপরেও এদেশের শিক্ষিত সমাজ কৃষিবিমুখ, জাতীয় পলিসি বাইরে থেকে কৃষিবান্ধব মনে হলেও আদতে তা নয়।

জানিনা, আমার এই লেখা আপনার কাছে পৌঁছাবে কিনা। অনেক বিষয়েই আপনার কাছে লিখতে চাই। সময়/সুযোগ হয়ে উঠে না। আজ অনেকটা জেদের বশে লিখে ফেলছি।

আমার লেখার বিষয়: "ভূত্বকের উপরিস্থিত মানবসৃষ্ট/প্রাকৃতিক জলাশয়ের পানি দিয়ে বিদ্যুৎ ছাড়াই সেচ কাজ"।

কয়েকটি পয়েন্ট আপনার নজরে আনছি।

১) এক কেজি বোরো ধান চাষে ৩৫০০ থেকে ৪৫০০ লিটার পানি লাগে।
২) সমগ্র বাংলাদেশের মাটির নিচের পানির স্তর নেমে গিয়েছে আশংকাজনকভাবে, পানি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৩) প্রতি গ্রীষ্মের মত এবারেও সেচের জন্য বিশেষ এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুৎ বরাদ্দ হয়েছে।
৪) সারা দেশে, শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও প্রাকৃতিক সব জলাধার ভরাট করে আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং শিল্পস্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত আছে।

এই ৪টি পয়েন্ট উত্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল, সরাসরি মূল সমস্যাগুলি সবাইকে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া।

সমাধানের প্রসংগে আসি।

কৃষিতে বাংলাদেশের চেয়েও ঐতিহ্যবাহী কয়েকটি দেশ হল, চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো, ইত্যাদি। চীনের নাম বেশি গুরুত্বের সাথে নিব, কারণ চীন সেই হাজার হাজার বছর আগে থেকেই "ভূত্বকের উপরের পানি দিয়ে", "বিদ্যুৎ ছাড়াই", "বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য", "কার্যকরীভাবে", "পর্যাপ্ত" খাদ্যশস্য উৎপাদন করে আসছে!

আমাদের দেশের শাসকগোষ্ঠী যেখানে দেখেন শুধু নিজেদের সন্তোষজনক পরিসংখ্যান প্রমাণিত আপাত উন্নতির স্বরূপ, সেখানে বাকি বিশ্ব উন্নতির তথ্যের পাশাপাশি নিশ্চিত করতে চান- টেকসই উন্নতি, দুরদর্শী পদক্ষেপ, ঝুঁকি হ্রাস, সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার, শক্তির অপচয় হ্রাস, পরিবেশ দূষণ হ্রাস, সর্বোপরি মানবজাতির আসন্ন বিলোপের সময়সীমাকে দীর্ঘায়িত করতে বিশ্বের কৃষিবিদ, কৃষক, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ, সবাই একসাথে কাজ করে যাচ্ছেন।

অথচ, বাংলাদেশ হাঁটছে যথারীতি উল্টো পথে।

সুনির্দিষ্ট সমাধান আমি বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশেই অনেক যোগ্য কৃষিবিদ, কৃষক, পরিবেশবিদ, বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলী আহ্বান পেলেই ছুটে আসবেন। তাছাড়া, ইন্টারনেট তো আছেই। আমার মত সাধারণ মানুষও খুঁজলেই দেখতে পারে সেসব ভিডিও, ছবি, তথ্যবহুল লেখা, যেখানে ভারত ও চীনের কৃষকেরা "অনেকগুলি" পদ্ধতিতে "মাটির গভীরের পানি বিলুপ্ত না করে", "বিদ্যুৎ ছাড়াই", মাঠের পর মাঠ ফসলে ভরিয়ে দিচ্ছেন।

চাইলেই আমার মত এসব সঠিক কথা বলে ফেলা যায়।
কিন্তু, "করতে গেলেই" মুশকিল।

কারণ, বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, জ্বালানী আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান, সেচপাম্প উৎপাদন/আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান, জলাশয় ভরাটকারী প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তিদের সমন্বিত "মাফিয়া"-র দুর্ভেদ্য বাধা টপকে কোন মানুষের পক্ষেই এই অসাধ্যসাধন সম্ভব নয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.