![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক অক্ষর গোমাংসরাই সবকিছুতে "অমুক বনাম মুক্তিযুদ্ধ " নিয়ে এসে ধান্ধাবাজি করতে চায়।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা হচ্ছে "কোটা সিস্টেমের" সবচেয়ে তলানির অপশন। এটি কিছুতেই মেধার ভিত্তিতে সিলেকশনের প্রধান অন্তরায় না। এই বিষয়ে আগের দুইটা লেখায় লিখেছি।
মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই জীবিত নেই। যারা জীবিত আছেন, তাদের বংশবৃদ্ধির সামর্থ্য নেই। সন্তানেরা নাতিপুতি নিয়ে এসেছেন। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরা সবাই যার যার জীবিকাতে প্রতিষ্ঠিত। কয়দিন পরে "নাতি কোটা", তারো কদিন পরে "পুতি কোটা" নিয়ে আন্দোলন হতে পারে! ক্ষমতাসীন দল পরশু নতুন তিনটি ভাতা ঘোষণা করল, গতকাল নতুন কয়েকটি ফ্ল্যাট বিল্ডিং প্রজেক্টের ঘোষণা দিল।
নাহ! এসব সুযোগ সুবিধা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এর জন্য করা হয় না। এসব মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেওয়ার জন্যেও হয় না। এসব তাদের আত্মাহুতির ঋণ শোধের জন্যেও করা হয় না। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বা তার বংশধরেরা চান বৈষম্যহীন, শান্তিপূর্ণ, সাম্যবাদী বাংলাদেশ।
এসব করা হয়, ব্যবসার জন্য। নিজের দলের বা কাছের লোকেদের অবৈধ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বেচাকেনা এই দেশে পুরানো খবর। রাজাকারের সংখ্যার সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে (যারাই সরকারের সমালোচক, সবাই গণহারে রাজাকার)!
কোটাসংস্কার আন্দোলন এর প্রধান টার্গেট কিছুতেই "মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধা কোটা" নয়। প্রকৃত আন্দোলনকারীরা কেন প্রধানমন্ত্রীর "কোটা বাতিলের" সিদ্ধান্তের পরে ক্ষুব্ধ ও চিন্তিত হয়েছে, তা শুধু মগজধারীদের মগজেই ঢুকবে। কারণ, কোটা সংশোধন না করে "মোটা দাগে" শুধু বাতিল বলে দেওয়া হলে- প্রথমত, অনেক দাবীদার বঞ্চিত হবে; দ্বিতীয়ত, সেই দাবীদারেরা নিজ নিজ দাবী নিয়ে নতুন আন্দোলনের ডাক দিবে (যা ইতিমধ্যে হয়েছে), এবং তৃতীয়ত, কোটাসংস্কার আন্দোলনকারীদের "মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী" নামাংকিত করে বিভিন্ন বিশ্রি গালিবাচক উপাধি দিয়ে জাতির সামনে খাটো করার সুযোগ দেওয়া হবে।
এবং, তা-ই হয়েছে!
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৪৭
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: যারা বৈষম্য দূর করতে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছে তারা কখনই বৈষম্য চায় না। কিন্তু যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় বরং তারাই ফায়দা হাসিলের জন্য এমন বৃহত্তম বৈষম্যের পক্ষে অবস্থান করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানিত করছে।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:২০
রকি বিশ্বাস বলেছেন: সরকার কোন নীতি বা আইন তৈরি যখন করেন , তখন সৎ উদ্দেশ্যেই করেন । কিন্তু পরবর্তিকালে তা অসৎ ভাবে ব্যবহার করে কিছু অসাধু মোনাফিক ।
বিভিন্ন কোটা প্রথা আসলে জনগনের সাথে ইমোশনাল ব্লাকমেইলিং ।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৪০
আমিনভাই বলেছেন: সয়তানতো এমনি।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০১
বেনামি মানুষ বলেছেন: কোটা সংশোধন না করে "মোটা দাগে" শুধু বাতিল বলে দেওয়া হলে- প্রথমত, অনেক দাবীদার বঞ্চিত হবে; দ্বিতীয়ত, সেই দাবীদারেরা নিজ নিজ দাবী নিয়ে নতুন আন্দোলনের ডাক দিবে (যা ইতিমধ্যে হয়েছে), এবং তৃতীয়ত, কোটাসংস্কার আন্দোলনকারীদের "মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী" নামাংকিত করে বিভিন্ন বিশ্রি গালিবাচক উপাধি দিয়ে জাতির সামনে খাটো করার সুযোগ দেওয়া হবে।
সত্যবচন। আর এটাই হচ্ছে।
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: যখন ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা নানান সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে তখন খুব রাগ লাগে।
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪
কানিজ রিনা বলেছেন: হ্যা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বা সাজানো মুক্তিযোদ্ধারা
এই কোটার ফায়দা লুটছে। আসল মুক্তিযোদ্ধা
কখনই কোটা নিয়ে মাথা ঘামায় না।
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সরকার নানা ধান্ধায় ছাত্রলীগের পেশিশক্তি ব্যবহার করে টিকে থাকতে চাইছে! কিন্তু এটা খেয়াল করছেনা তারা ণ্যাংটো হয়ে যাচ্ছে!
আমজনতার কাছে দিবালোকের মতো প্রকাশীত তাদের চেতনার ধান্ধা!
ছাত্রলীগের অসহনীয় অত্যচারা ৭২-৭৪ মনে করিয়ে দিচ্ছে!
নতুন প্রজন্ম যারা জানতোনা তাদের কাছৈ ডিজিটালি উপস্থাপিত হচ্ছে তাদের অত্যাচার!
সাধু সাবধান!
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:২৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত...