নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশিক্ষার অভাব: কোন পথে এই জাতি?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:০৭



এই ছবিগুলি "রূপক" নামক এক কিশোরের ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট থেকে নেওয়া। ৩য় ছবিটি তার বোনদের। ইন্সটাগ্রামে সাজেশন দেখাচ্ছিল বলে একটু ঢুকে দেখলাম। কারণ, ফেসবুকে বাচ্চাটাকে ব্লক করেছি কয়েক ঘন্টা আগেই। দেখতে চাইছিলাম তার ইন্সটাগ্রাম একটিভিটিও কি ফেসবুকের মত কিনা। দেখলাম, একই! অসম্ভব রূঢ়ভাষী, প্রতিটা কথায় ফাক ছাড়া কথাই বলে না; অশ্লীল পোস্ট, অশ্লীল স্বলিখিত বা অন্যের কবিতা, অশ্লীল মিউজিক লিরিক্স, অশ্লীল অংগভংগি। সবচেয়ে বড় কথা, সে সমবয়সী ছাড়া গড়পরতা সবাইকেই ফেসবুক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে, যাকেই কোন না কোন কারণে পছন্দ হচ্ছে। আমাকে সম্ভবত রেসলিং বা মার্ভেল/ডিসি প্ল্যাটফর্ম এর কোন পেইজ/গ্রুপ থেকে জেনেশুনে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল। আমার অনেক সিনিয়র কাজিনদের বাচ্চা ওর সমবয়সী। তাই, ছেলেটাকে দেখে, গিটারসহ ছবি দেখে, মিউজিক লাভার ভেবে এড দিয়েছিলাম। শেষ স্ট্যাটাসে তার ভয়াবহ রকমের উদ্ধত ও অবাধ যৌনতা নির্দেশক পোস্ট দেখে তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, ফ্রেন্ড লিস্টে কয়েক ধরণের সাব-লিস্ট করতে, যাতে বন্ধু, আত্মীয়, কলিগ, সিনিয়র, জুনিয়র, পরিবার আলাদা আলাদাভাবে থাকে। তারপর, প্রত্যেক পোস্ট এর ধরণ অনুযায়ী প্রাইভেসি সেটিং এ ইচ্ছামত কোন গ্রুপকে বাদ দেওয়া যাবে, বা হাইলাইট করা যাবে। সে উত্তরে বলল, এটি তার পোস্ট, তার প্রোফাইল, সে যা ইচ্ছা করবে। আমি উত্তরে বললাম, বেয়াদবি হতে পারে, তাই তার ভালোর জন্যে বলেছিলাম। এরপর তার উত্তরের অপেক্ষা না করে তাকে ব্লক করার জন্য প্রোফাইলে গেলাম। ব্লক করার আগমুহূর্তে দেখলাম, সে ফেসবুকে তার নিকনেইম দিয়েছে- "বেয়াদব"!

আমার এই এতখানি বয়সে খুব দ্রুত বাংলাদেশে অনেক কিছু পরিবর্তন হতে দেখছি। সামাজিক ও নৈতিক দিক দিয়ে জাতীয় পরিবর্তনের হার ভয়াবহভাবে ঋণাত্মক। জগাখিচুড়ী মার্কা সংস্কৃতি, বা স্বার্থান্বেষী অর্থনীতি, কিংবা প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে এসব হচ্ছে কিনা সে ব্যাখায় যাবো না। আমি বলব, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কথা, প্রতিপালনের কথা। যে কেউ, যার যার অবস্থান, পেশা, দলীয় পরিচয়, সম্প্রদায় বা বংশকে প্রতিনিধিত্ব করার সময় আন্তরিকতা ও ভদ্রতার সাথে, বা সীমারেখার মধ্যে থেকে, সভ্যভাবে কিছু করার অভ্যাস উঠে যাচ্ছে। আস্তিক-নাস্তিক, আওয়ামীলীগ-বিএনপি, অমুসলিম-মুসলিম, এরকম আরো নানান জাতীয়, আঞ্চলিক বা সামাজিক ইস্যুতে আবালবৃদ্ধবনিতা সবাইকে চারপাশে বিশ্রিভাবে ঝগড়া বিবাদ করতে দেখছি আমরা সবাই। দেখে বড় হচ্ছে ধনীর দুলাল, বস্তির চেংড়া ছেলে, বা ঝামেলা থেকে পালিয়ে বাঁচা মধ্যবিত্তের বর্ণচোরা কিশোরটা!

গতকাল রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ফুটপাতের পাশে থাকা দোকানের সামনে ৪ বছরের ছেলেকে হাতে ধরে দাঁড়িয়ে বাবা সিগারেট কিনলেন আর ফুঁকতে শুরু করলেন। ছেলে চকলেট খেতে চাইল, তার বাবা হ্যাচকা টানে ছাগলের মত তাকে টেনে নিয়ে হাটা শুরু করে দিল। মুখে তাচ্ছিল্যের হাসি, সাথে সিগারেটের ধোঁয়া। ঘটনাটি প্রতীকী। এভাবেই আপনার ছোট ছোট চিন্তা, কথা, আচরণ বা কাজের মধ্যে দিয়ে আপনি প্রতিনিয়ত অনভিজ্ঞ, অনভ্যস্ত বা নতুন কারো ভিতরে খারাপ বা ভালো কিছু ইনজেক্ট করে দিচ্ছেন।

ভুল শিক্ষা বা অশিক্ষা আচরণে বৈকল্য বা বিকৃতি আনতে পারে, সেটা আমাদের অনেকের বিবেকে ধরে। কিন্তু, উচ্চশিক্ষা বা শুদ্ধ পরিবেশও অনেক সময় মানুষের চিন্তা ও আচরণের বিকলাঙ্গতা ঠেকাতে পারে না। ব্যক্তিগত একটি উদাহরণ দিই। বিদেশী ভার্সিটিতে মাস্টার্সের জন্য ভর্তি নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরের ধাপ হল, সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা পাওয়া। আবার, ভিসা পাওয়ার অন্যতম প্রধান পূর্বশর্ত হল, ভার্সিটির নিজের ছাত্রাবাসে বা ক্যাম্পাসের বাইরে কোথাও থাকার অনুমতিপত্র প্রাপ্তি। কয়েক বছর আগে, ফ্লোরিডার একটি নামকরা ভার্সিটিতে মাস্টার্সে সামান্য স্কলারশিপ সহ ভর্তি অফার পেয়েছিলাম। ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট ছাড়া এখনকার সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হল ফেসবুক। তাই, খুঁজে খুঁজে ওই ভার্সিটির বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হই। বিভিন্ন প্রয়োজনে সরলভাবে বোকার মত প্রশ্ন করতে থাকি। নতুন দেশ, নতুন জীবন, ভিন্ন সমাজ, তারচেয়ে বড় কথা দেশ থেকে এতগুলি টাকা নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি ও বোঝা। ভেবেছিলাম, বিদেশের ভালো ভার্সিটিতে পড়া, ভালো পরিবার থেকে আসা, পিএইচডি/পোস্টডক এর মত ভারীক্কি ডিগ্রী অর্জনরত মানুষগুলি স্বদেশীদের যথাসাধ্য সংযতভাবে পরামর্শ দিবে, সাধ্যমত সাহায্য করবে। আর, যাই হোক মৌখিকভাবে, একজোট বেধে পরাস্ত বা পর্যুদস্ত করবে না। কিন্তু, তা হয়নি। থাকার জায়গা খোঁজা নিয়ে আমার এক পোস্টের পরে আমাকে ভুল বুঝে মারাত্মক অপমানিত করা হয়েছিল। নিজেকে সেদিন খুব নীচ ও অসহায় মনে হয়েছিল। এরকম না যে, ওই গ্রুপের সবাই ওরকম ছিল। গুটিকয়েক অসভ্য ও উদ্ধতদের বাদ দিলে বাকিরা নীরব দর্শক, কেউ বা ব্যস্ত, কেউ ভীতু- আমাকে সমর্থন করে নিজের বিপক্ষ ভারী করতে চায় না। পরবর্তীতে আরো কিছু কারণে আমার ভিসা পাওয়া হয়নি। ফেসবুকে কয়েক সপ্তাহের পরিচিত এক আন্তরিক সিনিয়র ভাইয়ের তার নিজ ঘরে আমার থাকার বন্দবস্ত এর মৌখিক ওয়াদা আমলে নেয়নি মার্কিন এম্বেসির ভিসা অফিসারেরা।

মাত্র কয়দিন আগে এই ঘটনার প্রায় পুনরাবৃত্তি হল। এবারের ঘটনাস্থল হায়ারস্টাডিএব্রোড নরওয়ে চাপ্টার নামের ফেসবুক গ্রুপ। বাংলাদেশের বিদেশে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত প্ল্যাটফর্মগুলির সবচেয়ে বিশাল ও ঈর্ষনীয় এই প্ল্যাটফর্ম এর নরওয়ের জন্য বিশেষভাবে চালু হওয়া এই গ্রুপ। গ্রুপে আবারো হাউজিং সম্পর্কিত একটি পোস্ট এর জের ধরে ভলান্টিয়ার ও কন্ট্রিবিউটারেরা একে একে আক্রমণাত্মক ও মানহানিকর মন্তব্য দিতে থাকে। ব্লক করেও তাদের থামানো যায়নি। আমাকে শেষ পর্যন্ত গ্রুপ ত্যাগ করতে হয়েছে। "বাঙালীদের এজন্য সাহায্য করতে নাই।", "এটা কি বাংলাদেশ পেয়েছে নাকি?", "এটা দুবাই/মালেশিয়া না যে- পাচার হওয়া যাবে!" এরকম বেশ কিছু মন্তব্য শুনে স্তম্ভিত যেমন হয়েছি, তেমনি তাদের জন্য আফসোস হয়েছে এই ভেবে- তারা সঠিক পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পায়নি; শুধু টাকার গরম, আর ডিগ্রির গরমই বুঝেছে। নিজে সিড়ি বেয়ে উঠে উপর থেকে অন্যদের লাথি দেওয়া শিখেছে, টেনে তোলা শিখেনি। একটি চরম উদাসীন, বেয়াদব, স্বার্থপর, নির্লজ্জ আর উজবুক প্রজন্মের সদস্য এরা। মে দিবসের মাহাত্ম্য ও এরা কখনো বুঝবে না। এরা কেন? দেশের নেতারাই বুঝেনি। দুবাই/মালেশিয়ার মত দেশগুলিতে থাকা লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবি ও স্বল্পআয়ের মানুষের হাড়ভাংগা পরিশ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আয়ের যে অংশ দেশে তারা পরিবারের জন্য ফেরত পাঠায়, সেগুলির সম্মিলিত পরিমাণের উপর দাঁড়িয়েই আজ উন্নত দেশের পথে বাংলাদেশ! আমি ৩ রুমের এপার্টমেন্টের অন্যদুটি রুমে থাকার জন্য পৃথক দুজনকে খুঁজেছিলাম বলে আমাকে ঘৃণ্যভাবে অবজ্ঞা করে বলা হয়েছিল, "বাংলাদেশের মত এখানে এক রুমে একাধিক মানুষ থাকে না; সাবলেট থাকে না!" তারা কি জানে, তারা ইউরোপে গিয়ে নামী ব্র‍্যান্ডগুলির যে পোশাক কিনে গর্ব করছে, সেই পোশাক বাংলাদেশের ইপিজেডের কোন এক শ্রমিকের হাতে তৈরি, যে তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটা রুমে থাকে! তারা কি জানে, বিদেশে উড়াল দেওয়ার আগে তারা ঢাকার নামি রেস্টুরেন্টে গিয়ে যে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেত, সেই খাবারের যোগানদাতা আলুচাষীরা বছরের ৩ মাস বর্ষণস্নাত খোলা আকাশের নিচে ব্রিজের উপর বাস করে? না, তারা জানে না, জানলেও পাত্তা দেয়না। তাদের পূর্বসূরি ও তাদের মত মানুষের জন্যই দেশটা আজ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে "ফুটোয় ভরা নৌকা"!

আমি চরম হতাশ এই জাতিকে নিয়ে। কারণ, আশা দেখতে গেলেই মধ্যাংগুলি দেখানো "ফাক ইউ" বলা রূপকদের প্রতিচ্ছবি সামনে ভেসে উঠে!

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পোস্টটি চমৎকার। এজন্য সাধুবাদ আপনাকে। দ্বিতীয় ছবিটা দেখে সত্যি কষ্ট লাগছে। কি শিখছে নতুন প্রজন্ম? বাবা/মা, স্কুল, পরিবার সবাইকে আরো সতর্ক হতে হবে। না হলে সামনে অনেক খারাপি আছে জাতির কপালে।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ !!! মাঝের ছবিটি ছেলের রুমের দেয়ালে বাঁধানো আছে যা দেখে ছেলের মা বাবা খুশিতে বাক বাকুম করছে - আফটার অল ছেলে আধুনিক হয়েছে !!!

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:০০

মাহের ইসলাম বলেছেন:

সুন্দর ভাবে আপনার অবজারভেশন পাঠকের সামনে নিয়ে এসেছেন।
আপনার মতামতের সাথে সহমত পোষণ করছি।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:০৭

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: মূল কথা হলো পারিবারিক বা প্রতিষ্ঠানিক শাসন উঠে গেছে। নিজের সন্তানের দোষ কখন-ই কোনো বাবা মায়ের চোখে পড়ে না। এজন্য তারা সন্তানকে শাসনও করে না। অপর দিকে স্কুলের শিক্ষকেরাও সেই আগের মত শিক্ষক নাই। তাছাড়া শিক্ষকেরা শাসন করলে নানা সমস্যায় পরতে হয়।
মূল কথা হলো পরিবারে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোন কাজের কোনো জবাবদিহি নাই।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এরাই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, উওরায় কিশোর আদনান হত্যাকান্ডের কথা কারো ভুলে যাওয়ার কথা নয়।এখন সব বাবা মারই দায়িত্ব এসে পড়েছে কিশোরদের প্রতি অনলাইনেও নজরদারী করা।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক এমনই অনেক অনেক ছেলেমেয়েদের পেছনের রুপ ভেসে ওঠে তাদের ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে । বাবা মা হয়তো জানেনই বা বা জানলেও কিছু করার থাকছে না।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

কানিজ রিনা বলেছেন: সময় উপযোগী পোষ্ট দিয়েছেন। পরিবার
থেকে সুচ্ছৃংখল শাসন ন্যায় নীতির শিক্ষা
উঠে গেছে এখন এখন পারিবারিক আধুনিকতা
দেশের সমাজ প্রলুদ্ধ। যত শিক্ষা ততো
উচ্ছৃংখল। ইহা নেট দুনিয়ার ঝড় হাওয়া
জলচ্ছাস। ভাললাগল ধন্যবাদ।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২১

চোরাবালি- বলেছেন: আমরা সভ্যতার আগে সম্পদ পেয়ে গেছি তাই কোনটা ভালো কোনটা খারাপ সেটিই বুঝি না; সন্তানেরটা দেখব কি করে।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই বয়সী ছেলেরা এই রকম হয়ে যাচ্ছে। তাদের ভাব ভঙ্গি সুবিধার না।
খুব উগ্র তারা। এখনই তারা স্কুলের মেয়েদের টিজ করে।
এদের বাবা মা কেন এদের প্রতি বিশেষ নজর দেয় না??


এই জাতিকে নিয়ে আমিও খুব হতাশ। বিশেষ করে উঠতি বয়সের ছেলেরা।

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আসলেই চিন্তার বিষয়। জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যত দুইই তো দেখি খারাপ।

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আজকাল আমাদের সমাজে নৈতিক শিক্ষার বড়ই অভাব।অভিভাবকেরা নিজেরাই নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত নয় তো তাদের সন্তানেরা আর কি শিখবে!

১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যে পরিবারের পিতামাতারা দুর্নীতি, ধান্দাবাজি এবং পরের হক মেরে অর্থউপার্জনে লিপ্ত, সেই পরিবারের সন্তানেরা কিভাবে সু(!) শিক্ষা পাবে ? আগে পরিবারের অধিকর্তার কিভাবে সুশিক্ষিত হবে তা নিয়ে প্রচুর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে - বাবা/মা ঠিক হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তানেরাও সঠিক পথের সন্ধান পাবে |

১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১১

হাঙ্গামা বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা।
চমৎকার লেখা।

১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: একজন উদ্ধত বাবা বা মায়ের আচল তলায় বেড়ে ওঠে এরা। আমার আশেপাশে অনেককেই দেখেছি বা দেখছি । ঘটনা বা দুর্ঘটনার নিত্য শিকার কিন্তু এরাই । ছেলে চৌকশ আর পাড়ায় দলবল আছে তাতেই বাবা , মার স্বস্তি । ৬এর ছেলে ক্লাসে মোবাইল এনেছে , শিক্ষিকা সিজ করলেন, অ্যাডমিন এসে বলল কার ছেলে জানেন? একজন উদ্ধত কিশোর বুড়ো রিকশাওয়ালাকে বলল এই হালা প্যাডেল মারতে পারস না বাল ফালাইতে আইছস ? বিদেশের কথা বললেন? আমরা সবাই স্কলার কিন্তু তাতে কি ? ঢাকার মতো দল বানাতে না পারলে অন্য কাউকে ড্রিংক পার্টি বা লোকাল মেয়েদের দ্বারা প্রলুব্দ করতে না পারলে শুরু হয় নানাবিধ অত্যাচার । এদের লাই দেয় কারা ? সিনিয়র যারা আগে এসেছে ।
আপনি যে হতাশা প্রকাশ করেছেন তাতে একমত , আমি কিন্তু ৩৫ বছর আগেকার কথা আর বর্তমানের কথা বললাম । মেয়েটি রাস্তায় উঠে গেছে , ছেলেটি বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত । তাকে ক্লাস ৮ এ যা ছবক দেবার দিয়েছি যেমন মেয়ে সাবালক হলে তাকে রিলেশন আর আচরন জনিত লেকচার দিয়েছিলাম । দুজনেরি কাজ দিয়েছে , ঈশ্বরের কৃপা। কিন্তু যে ছেলেটির ভালো হবার কথা সে তার উচ্ছৃঙ্খল মায়ের জন্য শেষমেশ দড়িতে ফাস নিল । বড়টি বিয়ে করল , বাচ্চা নিল কিন্তু দেখা গেল দুজনই নেশায় আসক্ত । এই ডুবন্ত সমাজকে আরও একধাপ পুড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিন্ন ব্যাবহার । ছেলেটি খান একাডেমী থেকে জ্ঞান নিয়ে শীর্ষ তালিকায় কিন্তু সামজিক মাধ্যম তাকে কাত করতে পারেনি । মেয়েটিকে পছন্দের পাত্রের সাথে বিয়ে দিলাম , তারা সুখে আছে। একটি বিষয় জোর দিয়েছি তাহলো ধূমপায়ী বা হতাশ কারো সাথে মিশবে না , মিশবে তাদের সাথে যারা তোমার চেয়েও ভালো । অনেকের জন্য উপদেশ কাজ দেয় না তাই বলে হাল ছাড়লে চলবে না। আশা আছে যদি রাষ্ট্র নায়ক আর শিক্ষকরা তাদের উচ্ছৃঙ্খল আচরন পাল্টায় ।

রাত ভরে বল্লেও একাহিনি শেষ হবার নয়।

১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবীর চৌধুরী ,



ভালো পোস্ট ।
পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশিক্ষার অভাব নিয়ে লিখেছেন । প্রশ্ন রেখেছেন - কোন পথে এই জাতি?

এই জাতির কোনও পথ নেই । পরিবার থেকে সুচ্ছৃংখলতা, শাসন, ন্যায় নীতির শিক্ষাও উঠে যায়নি । যা ছিলোই না , তা উঠে যাবে কি করে ? যা ছিলোনা ( ব্যতিক্রম বাদে ) তা উঠে যাবার কোনও কারন নেই ।
নৃতাত্ত্বিক ভাবে আমরা চন্ডাল / দ্রাবিঢ় থেকে উঠে আসা শংকর একটা প্রজাতি । আমাদেরর রক্তে হেন দূর্মদ - হার্মাদদের রক্ত নেই যাকে আপনি সামান্যতম আর্য্য রক্ত বলতে পারেন । তার উপর আমরা সহস্র বছর ধরে পরের গোলামী করে এসেছি । তাই শুরু থেকেই আমরা নোংরা - পচা- গলিত মন মানসিকতার উত্তরসূরী । এর ভেতর থেকে হাতে গোনা কেউ কেউ ব্যতিক্রমী হয়েছেন প্রকৃত শিক্ষার গুনে ।
এগুলো বোঝাতে বিবর্তনের অনেক ইতিহাস বলতে হবে । ওদিকে যাচ্ছিনে । শুধু বর্তমান প্রসঙ্গ টেনে বলি - খেয়াল করলে দেখবেন, দেশ স্বাধীন হবার সময় আপনার শহর বা গ্রামে ভদ্র বলতে যা বোঝায় তেমন পরিবারের সংখ্যা কত ছিলো ? হয়তো ৪/৫ টি পরিবার গন্যমান্য ও বনেদী পরিবার ছিলো । বাকী সব অন্ত্যজ - অশিক্ষিত - ভদ্রতার লেশহীন সব পরিবার । ম্যালথাসবাদ সূত্র অনুযায়ী এরা বেড়েছে ঝাড়ে বংশে আগাছার মতো আর মুষ্ঠিমেয় বনেদী পরিবার গুলো ( যারা শিক্ষা ও বিচক্ষনতার কারনেই সন্তান সংখ্যা ১/২টিতে সীমাবদ্ধ রেখেছেন ) তারা সেই আগাছা-পরগাছার ভীড়ে কোন ঠাসা এবং বিলুপ্তপ্রায়। আজকাল আমরা এইরকম বনেদীওয়ানার ( ? ) সমাজ । যার ৯৯%ই আগাছা প্রজন্ম এবং তাদের উত্তরসূরী ।
তাই আপনি আমাদের কোনও পরিবার থেকে সুচ্ছৃংখলতা, শাসন, ন্যায় নীতি, শিক্ষা কোনও দিনই খুঁজে পাননি এবং আগামীতেও পাবেন না ।
সম্ভবত এই ব্লগেই পরিবেশ রক্ষায় আপনার শহরকে " ক্লীন" রাখুন এমন আবেদনসহ একটি পোস্ট দেয়া হয়েছিল ।
আপনার এবং সেই পোস্টের জবাব একটাই ---" ক্লীন করুন আমাদের সব মানুষগুলিকে ঝাঁড়ু দিয়ে - সাবান দিয়ে খাসলতগুলোকে ক্লীন করুন । সকাল-দুপুর-বিকেল এই তিন বেলা বাঁশ দিয়ে আমাদের মতো বেহাংড়া মানুষগুলোর পাছা ঝেড়ে চামড়া উঠিয়ে দিন । "
দেখবেন সব পরিবেশ, সব সোস্যাল মিডিয়াগুলোই " ক্লীন " হয়ে গেছে কারন আমরা গোলামের জাত , আমাদের রাখতে হবে " মাইরে আর দৌঁড়ে "




১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

বিজন রয় বলেছেন: আপাতত বাংলাদেশের মানুষের কোন ভাল ভবিষ্যৎ নেই। এরা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে জঘণ্যতম ।

১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এই লাগামহীন পশ্চিমা সংস্কৃতি আর ফেসবুক নামের যন্ত্রণাই আগুণে ঘী ঢেলে দিচ্ছে।

১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভয়াবহ অধ:পতনের খাদের কিনারায় জাতি!

না আছে রাজনৈতিক দায়, না আছে সামাজিক দায়!
ধার্মিক ধ্বজাধারীরা উল্টোপথে!
মিডিয়া শতভাগ বানিজ্যমূখি! সামাজিক দায়বদ্ধতা শুন্য!

তথাকথিত উন্নতির নামে কেবলই অর্থের পিছে ছোটা মানুষ- হারিয়ে ফেলছে নীতি-নৈতিকতা-বিবেক!
পরিবার হয়ে গেছে একক!
বিষফলে প্রজন্ম হারিয়ে যাচ্ছে আইয়ামে জাহেলিয়াতে!!!

মুক্তির পথ নিয়েও লিখুন - - -

১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



এগুলো রোধে পারিবারিক অনুশাসনের পাশাপাশি প্রয়োজন ধর্মীয় নিয়মানুবর্তিতার সঠিক চর্চা। এসবের অভাবেই ভয়াবহ আকার ধারন করছে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়। সজাগ না হলে, সামনে আরও বিপদ রয়েছে এ জাতির।

পোস্টে অভিনন্দন।

২০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

অক্পটে বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। ধন্যবাদ লেখককে।

২১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমার বয়স ১৬, আমি ফেসবুক চালাই না। ব্লগ ব্যবহার করি।
আমি হলফ করে বলতে পারি, আমি আপনাকে হতাশ করবো না, এর কারণ আমাকে সতর্ক করা হয়েছে, সঠিক ভুল বিচারের দীক্ষা দেয়া হয়েছে। এসব অপদার্থদের তা দেয়া হয়নি!

২২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মন ছোঁয়ানো অনুভূতি।লাইকও দিয়েছি। কিন্তু আগের ২১ জনের মন্তব্যের উত্তর না দেখে কিছু লিখলাম না।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

আবীর চৌধুরী বলেছেন: ব্লগ টি এত বার পড়া হয়েছে, আর এতগুলি মন্তব্য দেখে থ হয়ে গিয়েছি। ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা নেই।
তাছাড়া, দেশ ছেড়ে বিদেশে পড়তে ও পছন্দের ক্যারিয়ার গড়তে যাচ্ছি।

একটু টেনশন ও তাড়াহুড়ো তে আছি।
:)

২৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১২

এজাজ ফারিয়া বলেছেন: সময় উপযোগী লেখা!

২৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: লেখাটি দারুন লাগলো। খুবই সমসাময়িক এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর উপর লেখা।

২৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি নতুন প্রজন্ম নিয়ে খুবই আতংকিত। ইউটিউবে এদের ভিডিও/প্র্যাংক খুবই আপত্তিকর। এদের কথা বার্তা এত উদ্ধত যে, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাসে, ট্রেনে বিব্রত হতে হয়। সমাজে রক্ষণশীলদের পরিমাণ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। এখনই পরিবারগুলোকে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। অবশ্য বাবা মা যদি ঠিক না থাকে তাহলে তো সন্তানদের নিয়ে কোন আশাই নেই...

২৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৭

লিযেন বলেছেন: কিই বা করার আছে। X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.