নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ ও যাত্রীসাধারণ এর সম্মিলিত করণীয়

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৩:১৭

খুব জরুরি একটি বিষয় নিয়ে লিখছি। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই ব্যাপারে দেশের সব থানায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠান।

সড়ক দুর্ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে সারা দেশে। সরকার/প্রশাসন একা কিছু করতে পারবে না, যদি না জনগণ একটিভ ভূমিকা না রাখে। জনগণ কি করতে পারে, তার ধারণা দিচ্ছি।

এক্সিডেন্টগুলির অন্যতম প্রধান কারণ বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ওভারস্পিডিং, ওভারটেকিং, স্ট্রিট রেইস, যাত্রী আগে উঠানোর জন্য ধাক্কাধাক্কি। গাড়িটা রিজার্ভড সিএনজি অটোরিকশা হউক কিংবা পাবলিক ইলেকট্রিক অটোরিকশা হোক, যাত্রীরা চাইলে সমস্বরে ড্রাইভারকে বুঝিয়ে বা বকা দিয়ে সঠিকভাবে চালাতে বাধ্য করতে পারে।

কিন্তু, বেশিরভাগ সময়, চালকেরা বুঝতে চায় না, বকা দিলেও শুনে না, উপরন্তু যাত্রীদের উপর চড়াও হয়, হয়রানি করে, খারাপ ব্যবহার করে। এইজন্য অধিকাংশ যাত্রী ভয়ে চুপ করে থাকে। তাছাড়া, যাত্রীরা চায় না, এসব চালক-শ্রমিক একজোট হয়ে যাতায়াতের অসুবিধা সৃষ্টি করুক, যা হরহামেশাই দেশে হয়ে থাকে।

এমতাবস্থায়, পুলিশ ও যাত্রীসাধারণ মিলিতভাবে একটি কাজ করতে পারে।

কোন গাড়ি বেপরোয়াভাবে চালানোর সময় চালক যাত্রীর কথা না শুনলে যাত্রী গন্তব্যের আগেই নেমে যাবে (যদি নিরাপদবোধ না করে), কিংবা গন্তব্যে যাবে। নেমে গাড়ির নাম্বার লিখে নিবে। নিকটস্থ থানায় গিয়ে বা হেল্পলাইনে ফোন করে ওই গাড়ির নাম্বার ও ড্রাইভার সম্পর্কে রিপোর্ট করবে।

থানার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা গাড়ির মালিক/চালক/শ্রমিককে তলব করে প্রথমে বুঝাবেন (বিশেষত মালিককে), পরে ওয়ার্নিং দিবেন। ২য় বার হলে, মামলার পাশাপাশি থার্ড ডিগ্রির ভয় দেখাবেন।

ব্যক্তিগত অনেক অভিজ্ঞতার পরে এই পরামর্শ দিচ্ছি। চালকেরা বুঝতে চায় না, মানতে তো চায়ই না। উল্টা গালি দেয়, চোখ রাঙায়, স্থানীয় নেতা/গুণ্ডার ভয় দেখায়।

এমতাবস্থায় পুলিশ সাহায্যে এগিয়ে না আসলে, জনগণ আইন হাতে তুলে নিতে শুরু করবে। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে।

-------

পাদটীকা:

চট্টগ্রাম এর লালখানবাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত বিশাল লম্বা ফ্লাইওভার। ফ্লাইওভার এর নিচের কলাম বা পিলারগুলিতে সিডিএ কিংবা সিটি কর্পোরেশন সবুজ রং এর কৃত্রিম প্লাস্টিক ঘাস লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকগুলিতে লাগানো হয়েছে। লাগানোর পরের দিন চুরি করে নিয়েও গিয়েছে। আর, এখন দেখা যাচ্ছে, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে নিরুপায় জনগণ সেই কলামগুলির গোড়ায় গিয়ে মুত্রবিসর্জন করছেন, অনেকটা কুকুরের মত!

এমতাবস্থায় দুটো কথা:-

১) প্লাস্টিকের ঘাস লাগিয়ে টাকা নষ্ট না করে মেক্সিকোর মত সত্যিকারের লতাগুল্ম শোভিত ভার্টিক্যাল গার্ডেন করতে পারতো। এতে স্বল্পখরচে সৌন্দর্য বর্ধন হত, একই সাথে বায়ুদূষণ ও কমতো।

২) ঢাকা-চট্টগ্রাম এর ফ্লাইওভার এর নিচের জায়গাগুলি কমার্শিয়াল ও মিউনিসিপাল কাজে ব্যবহার করা সময়ের দাবি। যেমন: পাবলিক টয়লেট। অঘোষিত ডাস্টবিন বা অপরাধের জায়গা বা স্থান অপচয়ের জন্য এসব জায়গা নয়!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৩:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার পোষ্টে আসলে কোন সমাধান নেই; যাত্রীরা হয়তো বাসের, সিএনজির ড্রাইভারকে বলে দেখতে পারেন ভালোভাবে চালাতে; বাকী যা বলেছেন, ওগুলো বাস্তব নয়।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৩:২৮

আবীর চৌধুরী বলেছেন: সমাধান সবার মুখে মুখে...

২| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: অনেক সমাধানের কথায় বলেছেন। কিন্তু সৌভাগ্য হচ্ছে এদেশে এগুলো অনেক অাগে থেকেই চালু আছে। মানুষ যথাসাধ্য তা করারও চেষ্টা করে।

আমরা গোড়ার গলদটা ধরতে পারি না। দেশে আইনের শাসন চালু করেন। এই সব অনাচার কর্পূরের মতো উবে যাবে। আর অাইনের শাসন না থাকলে ঐ হাজারো যুক্তি-পরামর্শ-পরিকল্পনা-বাণী-অালোচনাসভা বইপত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে। জনগণের কোনো কাজে অাসবে না।

মানুষের অন্যতম স্বভাব হচ্ছে অন্যকে মাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া। এটি দেশ-জাতি-কাল সবক্ষেত্রেই এক। পার্থক্য ঐ আইনের শাসন। উন্নত দেশ ঐ আইনের শাসনে উন্নত তাই সেখানে এগুলো তারা দেখে না। আমরা নই বিধায় আমাদের এটাই নিয়তি।

উন্নত বিশ্বে এক মুহুর্তের জন্য ঐ আইনের বাধাটা উঠে যাক। আমাদের সাথে তাদের খুব একটা পার্থক্য হবে না। নিশ্চয় হারিকেন ক্যাটরিনার পরে ইউএসএ তে লুটপাটের কথা স্বরণ আছে।

৩| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ সচেতন হলেই দূঘটনা কমবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.