![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গরমের কষ্টটা প্রাকৃতিক, বৃষ্টির কষ্টটা মানবসৃষ্ট।
এই হালকা বৃষ্টির পরেই শহরের অলিগলি, মাঝারি বা বিশাল রাস্তার বেশির ভাগেরই এক দশা। দায় পুরোটাই পাবলিকের উপর!
মানুষের সভ্যতা বেড়েছে স্যাটেলাইট চ্যানেলের সংখ্যা বৃদ্ধিতে অথবা হাতে আইফোন বা স্যামসাং গ্যালাক্সির শো-অফে! নাগরিক জীবনযাপনের মাপকাঠিতে বা সামাজিক-মানবিক আচরণে বাঙ্গালি অসভ্যই রয়ে গিয়েছে।
পয়োনিষ্কাশনের পাইপ সোজা এসে পরছে ২ ইঞ্চি গভীরতার নালাতে। সেই নালা আবার মলমুত্রের পাশাপাশি তাবৎ অপচনশীল আবর্জনায় ভর্তি। এত কিছুর পরেও ছোট নালা যে নর্দমায় পরবে, সেখানে নির্মাণাধীন ভবনের কাঁচামালে সয়লাব। যাও একটু সুযোগ আছে, নর্দমার বস্তু যে খালে পরবে, সেই খালের উপর একটু পর পরেই বিশাল সব ভবন!
এখানে ম্যানহোল খোলা, ওখানে ফুটপাত ভাঙ্গা, এই রাস্তায় ফ্লাইওভারের ধ্বংসযজ্ঞ, ওই রাস্তায় কাঁচাবাজারের মহোৎসব। এমন পথও আছে, যে পথ পথিকের জন্য আর নেই, শুধু চাকার যানবাহনেই তা পাড়ি দেওয়া সম্ভব।
তারপরেও বিদেশে থাকা বঙ্গসন্তানেরা কি যেন মিস করে; বদ্ধ পানিতে জন্মানো লক্ষ-অযুত মশার কামড় খেতে খেতে বাচ্চারা তোতাপাখির মত দেশাত্মবোধক কবিতাগুলি পড়ে যায়; চাকরি শেষে টিউশনিতে দৌড়ানো যুবকটি পথিমধ্যে পিছলা খেয়ে ২০০ টাকার স্যান্ডেলখানি ছেড়ার আগে ঠিকই গুনগুন করে বর্ষার রোমান্টিক গান গেয়ে যায়।
ডোবার ব্যাং গুলি সমস্বরে ডেকে যাচ্ছে, আর বলছে- "Rain is the gift from god; holy cow!"
০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ৩:৪২
আবীর চৌধুরী বলেছেন: আপনার চলার পথে, বা থাকার জায়গায় হয়তো কমেছে।
সবার ক্ষেত্রে অবশ্যই নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: তারপরও দুর্ভোগ অনেক কমেছে।