নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূষণের দুষ্টচক্র: বন্ধের রিমোর্ট আপনার হাতে

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪১

ভালো খবর না।
পাকিস্তানের নওয়াবশাহ নামক জায়গা চরম তাপমাত্রার জন্য বিশ্বজুড়ে কুখ্যাত। সম্প্রতি ৩০ এপ্রিল এই তাপমাত্রা রেকর্ড ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছালে পুরো শহরের সব ব্যবসায়িক, শিক্ষা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাহ্যিক রাস্তাঘাট শূন্য হয়ে যায়, বাইরে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে যায়।

আমার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকে ২টি ছোট ঘটনা শেয়ার করি।

১) ঢাকায় লোকাল বাসে চড়ে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে কারওয়ান বাজার এফডিসির মোড়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল পরার পরে বেশ কিছুক্ষণ থেমে থাকতে হচ্ছিল। এক মোড়ে এরকম সিগন্যাল পরার পরে বাস ড্রাইভার চাবি ঘুরিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিল। সাথে সাথে বাসের ফ্যানগুলিও বন্ধ হয়ে গেল। সবাই বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ হলেও আমি ড্রাইভারের পেছন থেকে তাকে সাধুবাদ জানালাম। পাশে মহিলা সিটে বসা একজন মহিলা (সম্ভবত শিক্ষিকা) আমার সাধুবাদের কারণ বুঝতে পেরে বলল, "এই ইঞ্জিন চালুর সময়ে যে জ্বালানি খরচ হবে, তা সিগন্যালে বাস দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে খরচ হওয়া জ্বালানির ১০০ গুণ!" আমি নিমরাজি হয়ে বললাম, স্টার্টিং এ ইগনিশনের জন্য একটু বেশি ফুয়েল অবশ্যই লাগে। তবে একশ গুণ না!" হাসলাম।

পুরো ঢাকা শহরে বছরে কয়েকশত কোটি টাকার জ্বালানি খরচ হয় শুধু ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকা গাড়িগুলির ইঞ্জিন চালু রাখার কারণে। যানবাহনের ফিটনেস না থাকা, বন্ধ ইঞ্জিন চালু হতে সময় লাগা বা চালু না হওয়া, বাসের ফ্যান চালু রাখার জন্য এই ইঞ্জিন চালু রাখার ট্রেন্ড রয়েছে।

অথচ, জ্বালানির অপব্যায়ের ফলে বায়ুস্তরে অবমুক্ত গ্রিন হাউজ গ্যাসের আধিক্যর কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে ও তাপমাত্রা বেড়ে জীবনযাপন অসহনীয় হচ্ছে। তখন, ফ্যান/এসি চালিয়েও লাভ হবে না। ঘর, অফিস, কর্মস্থল, গাড়ি সবখানে এসি লাগানো বুদ্ধিমানের ও সামর্থ্যবানের কাজ? নাকি পুরো দেশের পরিবেশকে বসবাসযোগ্য রাখার জন্য যা যা করণীয় করা দরকার?

২) একই দিনে গুলশান পুলিশ প্লাজা মোড় থেকে গুলশান ১ গোলচত্বর যাচ্ছিলাম এসি বাস "ঢাকা চাকা" চড়ে। বাসে সবাই উঠে বসার পরে, বাস চালু হওয়ার সাথে সাথেই সবাই ফ্যানের জন্য মড়িয়া হয়ে উঠলো। আমি আশ্চর্য হয়ে পাশের যাত্রীকে বললাম, "এসি চলছে তো!" তিনি বললেন, "ফ্যান-ও ছাড়বে। লাগবে তো"
সত্যিই ঢাকার আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন। চট্টগ্রামের মত না। সেদিন মেঘলা ছিল, রোদ তেমন স্থায়ী ছিল না। তাও অসহ্য গরম। প্রকৃতিকে ধ্বংস করে কৃত্রিম যন্ত্রচালিত সভ্যতার উপর নির্ভরশীলতাই পৃথিবী ধ্বংসের কারণ হবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:২০

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বিজ্ঞানের অপরিকল্পিত ও অপপ্রয়োগ এই সভ্যতার ধ্বংসকে ত্বরান্বিত করবে। সময় মতো সতর্কতা প্রয়োজন।

২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৩২

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: সারা বিশ্বে চলছে পরিবেশকে ধ্বংস করার অশুভ পায়তারা। বাংলাদেশতো আরো এককাঠি সরেস। বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ জ্ঞাতসারে হোক অজ্ঞাতসারে হোক পরিবেশকে কত দ্রুত হত্যা করা যায় তার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

সুমন কর বলেছেন: হুম, সহমত।

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

মাহিরাহি বলেছেন: আরো বেশি উপার্জন কর, আরো বেশি ব্যয় কর।
কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদ ত ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে।
ভোগ বিলাশে আমাদের বিনাশ হওয়ার শুধু বাকী।

৫| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.