নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৌকায় মৃত্যুযাত্রা

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৯

সেন্ট মার্টিন যেতে মৃত্যু-আতঙ্কঃ আজকে ১২ বছর ধরে জানি। (Click This Link) সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া, মহেশখালি ও দেশের প্রায় সব দ্বীপ-অঞ্চলে যেতেও কমবেশি একই অবস্থা।

স্থানীয় মানুষেরা, গরীব মাঝি-শ্রমিকেরা, এবং সাঁতার জানা পাবলিকেরা (যদিও সাঁতার জানা দিয়ে এরকম সাগরের মাঝে কিচ্ছু যায় আসে না, মৃত্যু নিশ্চিত) এসব গুরুত্ব দেন না, নিয়তি বলে মেনে নিয়েছেন, অনেকে অন্যের পরিস্থিতি দেখে হাসাহাসি করেন, চ্যালেঞ্জ হিসেবে অন্যদের এক্সেপ্ট করতে বলেন।
উপরন্তু, মানুষ-ও কাজ বা বিনোদনের কারণে, জেনে বা না জেনে জীবন-মৃত্যুর মাঝে লড়াই করেন।

লাইফ-জ্যাকেট অপ্রতুল মানলাম, কিন্তু সাগরের ঠাণ্ডা পানিতে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে ভাসলেও, উদ্ধারকারী বোট আসতে আসতেই অনেকে মারা যাবে।
এসব জলযানের সার্বিক কাঠামো এবং কার্যপ্রণালী অন্য কোন দেশে পাওয়া বিরল; জাদুঘরে সাজিয়ে রাখার যোগ্য এই নৌকাগুলি। এমনকি, জলযানে উঠা-নামার সময়ের যে পদ্ধতি, সেখানেও রয়েছে মৃত্যুঝুঁকি।

সবচেয়ে বড় কথা, বেশির ভাগ পর্যটন স্পট প্রান্তিক এলাকা, যেখানে উন্নয়নের (প্রকৃত উন্নয়ন, লোকদেখানো নয়) ছোঁয়া এখনও পৌঁছেনি। এবং পর্যটন অবকাঠামো (নিরাপদ যাতায়াত, নিরাপদ খাবার পানি, নিরাপদ স্যানিটেশন এবং নিরাপদ রাত্রিযাপন) প্রায় গড়ে উঠেনি বললেই চলে। ভ্রমণপিপাসু মানুষের আকর্ষণের কারণে, অবসরে-ছুটিতে মানুষের বিনোদনের আগ্রহের কারণে, ধীরে ধীরে এসব স্থানে "স্থানীয়ভাবে" পর্যটনশিল্প গড়ে উঠে। যেখানে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, পরিকল্পনা সবই স্থানীয় পর্যটন-অনভিজ্ঞ মানুষের; ওদের শুধু দুই টাকার জিনিস চার টাকায় বিক্রি করলেই লাভ। কে মরল, কিভাবে মরল, কিচ্ছু যায় আসে না এসব অঞ্চলের মানুষের। এই যে টিভি, ফেসবুক, পত্রিকায় এত লোভনীয় আর আকর্ষণীয় ট্যুরিস্ট স্পট দেখি, সারাদেশে; সেগুলির প্রায় সবখানেই, পর্যটকেরা হচ্ছে স্থানীয় মানুষের কাছে এটিএম মেশিন, হাস্যরসের পাত্র, উদ্ভট এলিয়েন।

আমি যখন প্রথম সাগরে এরকম ইঞ্জিনচালিত লম্ফমান হালকা নৌকা চড়ে যাওয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়তে পড়তে ভয়ে কাঁপছিলাম, তখন মাঝিমাল্লা ও অন্যান্য স্থানীয় যাত্রীরা তামাশা করছিল। এই হল "প্রকৃত বাংলাদেশ"।

শেষ কথা হচ্ছে, এখন চারদিকে "নৌকা"-র জয়জয়কার। এরকম সময়ে নৌকা মানুষের জন্য মৃত্যুর বাহন হবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আশা রাখি, নৌকার কাণ্ডারীরা ব্যাপারগুলি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে দেখবেন। সড়কপথের আর নৌপথের দুর্ঘটনাগুলিকে আর সাধারণ দুর্ঘটনা বলা যায় না। এগুলি পরিকল্পিত হত্যা, অবহেলা আর অবজ্ঞার সরাসরি ফলাফল।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৬

ইসলাম ইন লাইফ বলেছেন: হুম। চোখ খুলে দিয়েছেন আমাদের। এ জাতীয় লেখা সত্যিই চোখ খোলার মত!

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে--০--
খুব আফসোস হয়!!!

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে--০--
খুব আফসোস হয়!!!

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লোভের বলি আমজনতা!

কখনো সড়কপথে, কখনো নদীপথে নৌকায়
কখনো রাজনীতির বলিখেলা!
স্বৈরচারিতায়!!

জীবন যায় আমজনতরাই
ঠকে আমজনতাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.