নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

শুধুমাত্র উজবুকেরাই "সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা থাকবে না" ব্যাপারটা নিয়ে তামাশায় লিপ্ত আছে। কিংবা তারা উজবুক না; তাদের "চাকরি" করার ইচ্ছা আছে, কিংবা "চাকরি" পাওয়ার। লিপস্টিক মুছার চাকরি!

বিশ্বের উন্নত সব দেশেই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ন্যুনতম বয়সটা বাঁধাধরা। কিন্তু প্রবেশের বয়সের শেষসীমাটা অনেক দেশেই "লিখিত" নিয়মের পর্যায়ে নেই। এর যৌক্তিক কারণ আছে অনেকগুলি।

১) মানুষের পড়ালেখা করার ইচ্ছার একটা সীমা আছে। জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা অর্জন এক জিনিস; আর পরীক্ষার জন্য গদবাধা পড়ালেখা করা ভিন্নতর (ও কঠিনতর) ব্যাপার। ৩০ এর পরে থেকেই এই স্পৃহা কমতে শুরু করে।

২) মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি বয়সের সাথে সাথে কমতে থাকে। নতুন কিছু করা, জটিল কিছু করা, চ্যালেঞ্জ নেওয়া, নতুন স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা, সময়ের সাথে সাথে কমতে থাকে, কঠিন হতে শুরু করে।

৩) মানুষ কারিকুলাম এডূকেশন শেষ করার আগে থেকেই কিংবা শেষ করার পরে যেকোন সময় থেকে, কোন না কোনভাবে আয় করা শুরু করে। পছন্দসই, মানানসই যেকোন একটি জীবিকা বাছাই করে, সেটিতে দীর্ঘ সময় ধরে লেগে থাকার ফলেই তার পেশাগত উৎকর্ষ (প্রমোশন, ব্যবসার কলেবর বৃদ্ধি, ভালো বেতনের জবে সুইচ করা, প্রভৃতি) সাধন হয়; আয়-রোজগার বাড়ে, সঞ্চয় বাড়ে, জীবনযাপনের মান বাড়ে। হঠাৎ করে নিজের প্রতিষ্ঠিত জীবিকা বাদ দিয়ে কেউ মাঝপথে নতুন জীবিকার জন্য শুরু থেকে লড়াই করার কথা কল্পনাও করতে পারে না।

৪) সামাজিক, সাংসারিক বা পারিবারিক অনেক সীমাবদ্ধতা তো আছেই। উদাহরণস্বরূপ, যে সময়ে আপনার পুত্র বা সন্তান ভার্সিটি এডমিশন টেস্ট দিবে, সে সময়ে আপনি তো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন না!
যে সময়ে আপনার সপ্তাহে একদিন বাজার করার কথা, ঘরের বিভিন্ন জিনিস মেরামতের খেয়াল করার কথা, বাবা-মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা, ছোট বোনের শ্বশুরবাড়ির মানুষকে ঘরে আপ্যায়ন করার কথা, বন্ধুদের নিয়ে মাসে অন্তত একবার কোথাও ঘুরে এসে ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করার কথা, সেই বয়সে কেউই কস্মিনকালেও "বিসিএস" এর মত মহাযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার কথা ভাবতেও পারে না।

উপরের ৪ টা পয়েন্ট ছিল খুবই বেসিক পয়েন্ট। যেগুলি মূলত মধ্যবিত্তের কথা বিবেচনায় রেখে লিখা। উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত উভয়েই যার যার মত করে ২০ বছর বয়সের পরে এস্টাবলিশড/সেটেলড হয়ে যায়; তাদের ৩০/৪০ এর পরে বিসিএসের যুদ্ধে নামার প্রশ্নই উঠে না।

তাই ঐক্যফ্রন্টের সেই নির্বাচনী ইশতিহার নিয়ে যারা ইতর-উজবুকের মত তামাশা করছে, তাদের উচিত হবে, জুতার তলানী চাটা গোলামীর অভ্যাস ত্যাগ করতে। মোসাহেবী আর তেলবাজি করে যা পাবে, সবই কবরের আগ পর্যন্ত। কবরে ঢুকলে, কিছুই কাজ হবে না। তখন ফেরেশতাদের যদি তারা বলে, "স্যার, আমি শয়তানকে নিয়ে অমুক ট্রল করেছি, তমুক কথা বলে শয়তানকে নীচ দেখিয়েছি", তাতেও তাদের মাইরের ভাগ কমবে না!

মাইর চলবে!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার চিন্তা ভাবনার সাথে আমি একমত না।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৪

আবীর চৌধুরী বলেছেন: স্পষ্ট করে বললে বুঝতে সুবিধে হতো। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.