![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং ক্লাইমেট চেইঞ্জের মজাটা হল, আপনি দুনিয়ার কোন জায়গাতেই নিরাপদে ও নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন না।
গরম এলাকায় থাকলে তীব্র দাবদাহে, খরায়, ধূলা ঝড়ে বা দাবানলে মরবেন।
ঠাণ্ডা এলাকায় তাপমাত্রা ভয়াবহ রকম কমে গিয়ে, গ্যাস-তরল জ্বালানী ফ্রিজ হয়ে হিটিং সিস্টেম বন্ধ হয়ে গিয়ে, সবাই বরফ হয়ে মরবে।
পাহাড়-পর্বতের মানুষেরা অগ্ন্যুৎপাতে, ভূমিকম্পে বা ভূমিধ্বসে মরবে।
সাগরতীরের মানুষেরা সুনামি আর জ্বলোচ্ছাসে না মরলেও সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ভিতরে এসে যাওয়ার পরে উপরের যেকোন একটা উপায়ে মরবে।
সমুদ্রের নিচে কৃত্রিম উপায়ে বসতি গেড়ে থাকলেও ভূমিকম্প সেটা থেকেও রেহাই দিবে না; আর পানির তীব্র চাপ উপেক্ষা করে সেখানে বেঁচে থাকাও অসম্ভব।
আকাশে ভাসমান অবস্থায় থাকলে ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, এসিড বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি বা ক্ষুধা-পিপাসা-ক্লান্তিতে মরতে বাধ্য।
মহাশূন্যে কৃত্রিম উপগ্রহে চান্স তুলনামূলক বেশি, যদি সেখানে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখা যায়, এবং একই সাথে খাবার উৎপাদনের টেকসই ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু তাও সীমিত সংখ্যক মানুষের জন্য সম্ভব।
এর চেয়ে আরেকটু বেশি চান্স সৌরজগতের অন্য কোন গ্রহে, যেখানে মানববসতি স্থাপন সম্ভব। সম্ভবত এজন্যই হয়তো NASA কিংবা SpaceX এর মত প্রতিষ্ঠানগুলি উঠেপরে লেগেছে মহাকাশ অভিযান বা মহাকাশে বসতিস্থাপন নিয়ে। বিশ্বের প্রতিটা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা গুরুত্বপূর্ণ বাছাইকৃত ব্যক্তিদের নিয়ে হয়তো মহাকাশ অভিযানের গোপন নকশাও হয়ে গিয়েছে; কে-ই বা জানে!
তারপরেও মরতেই হবে। পৃথিবীর মানুষেরা বিভিন্ন দূর্যোগে মরতে শুরু করার পরে বেশিদিন লাগবে না পুরো পৃথিবীটা ধ্বংস হতে। আর একটা গ্রহ ধ্বংস হওয়া মানেই, পুরো সোলার সিস্টেম কলাপ্স করা। একটা গ্রহ-ও আস্ত থাকবে না!
Entropy তখন তার পূর্ণাঙ্গতা পাবে।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৯
বুড়ো হিমু বলেছেন: আপনি তো বড্ড চিন্তায় ফেলে দিলেন। হায়রে এন্ট্রপি !!
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৮
যোখার সারনায়েভ বলেছেন: কি সাংঘাতিক !
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: এনট্রপি বাড়ছে।
বড় অদ্ভুত নিয়ম।