![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পানির পাইপের উপর ছেলেটার বসে থাকার ছবি, ভিডিও, পোস্ট, লেখা, গল্প, উপন্যাস, খবর, আঁকা ছবি ইত্যাদি যতবারই দেখেছি, আমার মাথায় প্রত্যেক বারই প্রথমে সেই প্রশ্নই এসেছে।
কারণ, আমি বুদ্ধি ও বিবেকসম্পন্ন মানুষ। তামাশাপ্রিয়, হুজুগে কাঙ্গাল না।
রানাপ্লাজা, চকবাজার, নিমতলী, আরএফ টাওয়ার প্রত্যেক কাহিনীতে মানুষ এরকম কাল্পনিক বা বাস্তবিক গল্প ও হিরো খুঁজে নেয়। অনেক সিনেমার পর্দার কাহিনীতে নিজেদের অপূরণীয় বা অসম্ভব সব ফ্যান্টাসি দেখে মজা পাওয়ার মতই।
আমার প্রথমেই মনে হয়েছে, কেন পানির পাইপের উপর মানুষকে বসে থাকতে হবে। পানির পাইপ কেন ফাটা। ফাটলো কিভাবে। হাজার হাজার মানুষের পায়ের চাপে, কিংবা মানুষের গাড়ির চাকার পিষে ফাটেনি তো।
উন্নত বিশ্বে বাচ্চাকাচ্চাদের শৈশব-কৈশোরের প্রিয় এইম ইন লাইফ ফায়ারফাইটার। আর, আমাদের মত দেশের ক্ষেত্রে সেটা "পাইলট"। কল্পনা ও অসঙ্গতির সাথে অযৌক্তিকতা ও নির্বুদ্ধিতা যখন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়, তখনই বাংলাদেশী নামক জাতির জন্ম হয়।
ছেলেটাকে ফায়ার সার্ভিসের লোক একটা জোর করে বসিয়ে দিয়ে গিয়েছিল ফাটা পাইপের উপর। এই দেশে এই সংস্কৃতি নতুন কিছু না। কোন আবেগের বশে নয়। বাধ্য হয়ে।
কি থেকে কি হয়ে গেল সব।
রেশমা নাটক থেকে শুরু করে চকবাজারের কাল্পনিক দম্পতি নাটক।
এই জাতির তাও শিক্ষা হয় না?
থু!
নিজে টাকা না নিয়ে এতিমখানায় দিয়ে দেওয়ার যে কারণটা বলল বাচ্চাটা, তাতেই প্রমাণিত হয়, পরবর্তী ব্যাপারগুলি পুরোটা সাজানো।
এই দেশের, এই জাতির, এই সমাজের এতটা অভূতপূর্ব উন্নতি হয়নি যে, ঐ ছেলের পরিবারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৈন্যদশা সত্ত্বেও দানের টাকা নিজে না নিয়ে এতিমখানায় দিয়ে দিবে, কারণ গোলাপীরা এতিমের টাকা মেরে খেয়ে জেলখানায় কবরের দিন গুণে।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জাতি হিসেবে আমাদের মান খুব উপরে নয়। আমাদের আবেগও হয় সস্তা। কেননা, আমরা খুব দ্রুতই ভুলে যেতে পারি। মানুষ হিসাবেও আমরা খুব উচুঁ দরের নই।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
হাবিব বলেছেন: আমাদের মধ্যে অনেকেরই আবেগ খুব বেশি। আর আমরা বেশি বেশি ভুলে যাই
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: এটা রেশমা নাটক নয়। নাটক খুব সম্ভবত তাকে দিয়ে বলানো কথাগুলো।
একটা অনলাইন নিউজপোর্টালে পরলাম '' সম্প্রতি বনানী অগ্নিকাণ্ডে পানির পাইপ চেপে ধরে হিরো বনে যায় শিশু নাঈম ইসলাম। তার এমন কাজে খুশি হয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বাংলাদেশি তাকে পাঁচ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আলোচনায় আসার পর টিভি উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় একান্ত সাক্ষাৎকার নেন। বনানী ট্র্যাজেডির বীর নাঈমের সঙ্গে তখন তার বাবা-মাও ছিলেন।
নাঈম পুরস্কারের সেই টাকাগুলো নেবে কিনা? আর নিলেও সেই টাকা কিসে খরচ করবে? এমন প্রশ্ন করেন উপস্থাপক জয়।
জবাবে নাঈম জানায়, সেই টাকাগুলো সে এতিমখানার অনাথ শিশুদের জন্য দান করে দিতে চায়। ছেলের এ জবাবে সায় দেন তার মা-বাবাও।
এতিমখানায় কেন টাকা দিতে চায় এমন প্রশ্নের উত্তরে নাইম বলন, কিছু বছর আগে খালেদা জিয়া এতিমের টাকা লুট করে খেয়েছে তাই এই টাকা তিনি এতিমদের দিতে চান।
তবে শিশু নাঈমকে জয়ের এ ধরনের প্রশ্ন করাটাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেছেন ফেসবুক ব্যবহাকারীরা।
তারা বলছেন, ওই শিশুটি নিজ থেকে এসব কথা বলেনি। উপস্থাপক জয় শিশু নাঈমকে কথাগুলো শিখিয়ে দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে শিশুটির কথা বলার ধরনেই তা স্পষ্ট।
২০১৪ সালে জয় পূর্বাচলে একটি প্লট চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আরেফিন বিপুল নামে যে আইডি থেকে জয়ের প্লট আবেদনপত্রটি পোস্ট করা হয়েছে; তাতে বলা হয়েছে- ‘শাহরিয়ার নাজিম জয় পূর্বাচলের প্লট মনে হয় এখনো পায় নাই, নাঈমকে শেখানো কথায় এবার তার প্লট কনফার্ম। ''
৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১৫
আবীর চৌধুরী বলেছেন: আমি জয় ভাইকে বিশ্বাস করি। এই কথা বাচ্চাটাকে অন্য কেউই শিখিয়ে দিয়েছে। ঐ ভিডিওতে বাচ্চাটার সেই উক্তি শুনে জয় নিজেও বিস্মিত হয়েছিলেন। এটা যে কেউই ভিডিওটা দেখলে বুঝবে।
সাজানো নাটকে ভরা এই দেশে হুট করে কাওকে হিরো বা ভিলেইন ভাবাটাই চরম বোকামি। হিরোইজম বা ভিলেনিয়াস যেকোন কিছুর পিছনে সম্মিলিত সিন্ডিকেট বা চেইন অব কমান্ড কাজ করে।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে বাঙ্গালীর আবেগ খুব বেশী।