নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি শিখবেন, কি শিখাবেন

১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৩৩

আপনার বাচ্চাকে পড়ালেখা শেখানোর আগে হাতের কাজ শেখান।
যেমনঃ গাড়ি চালানো, গাড়ি মেরামত করা, কাঠ দিয়ে জিনিস বানানো, রান্না করা, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট রঙ করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

প্রত্যেকটা দক্ষতা বা কাজের ডকুমেন্টেশন বা একনোলেজমেন্ট-ও খুব জরুরি। অর্থাৎ, ছবি, ভিডীও বা সার্টিফিকেট।

এরপর দরকার, এক বা একাধিক সফটওয়ার, প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বা কোডিং এ ঝানু হওয়া। অন্তত একটা। যেটার ডিমান্ড বাজারে বেশি। যদিও এলগরিদম ধরতে পারলে সব প্রায় একই।

আর, ভাষা। হুম বিদেশী ভাষা। না ইংরেজি না। স্প্যানিশ, জার্মান, মান্দারিন বা ফ্রেঞ্চ।

প্রথাগত ডিগ্রি, পড়াশোনা ও প্রফেশনের পেছনে ছোটার দিন শেষ। খুব সহজ একটা হিসাব বলি। নিজে কি শিখে রাখবেন, বাচ্চাদের কি শিখাবেন।

ধরুন, পৃথিবীতে প্রলয়ংকরী কোন দূর্যোগ হল। মহামারি, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কিংবা যেকোন মানবেতর সংকট। বিভিন্ন পেশার ও দক্ষতার মানুষে তখন ঘাটতি পরবে। নতুনভাবে শুরু করতে তখন যেসব পেশার বা দক্ষতার মানুষের প্রয়োজন পরবে বলে আপনার মনে হয়, সেগুলিকেই বেছে নিন। এর জন্য হলিউডের ডিজাস্টার রিলেটেড মুভিগুলিও দেখতে পারেন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:০০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: শুধু শিখা আর শিখানোতে কি পেট ভরবে?! :(

১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭

আবীর চৌধুরী বলেছেন: পেট ভরার চিন্তা নিয়েই আমাদের সমাজের শিক্ষা ও পেশার ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই তো উন্নয়নের মহাসড়কে উন্নয়নের জোয়ারে হাবুডুবু খাচ্ছে গোটা জাতি। ব্যবসাতে লাভে লালে লাল হয়ে যাচ্ছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দেশ থেকেই সব পেশাজীবি পাচ্ছে বলে বিদেশ থেকে কর্মী নিচ্ছে না। প্রতি বছর যারাই উচ্চশিক্ষিত হয়ে বের হচ্ছে, সবাই চাকরি পাচ্ছে। তাই না?!

সবার নিচের মন্তব্যের উত্তরে যা লিখেছি, পড়ে দেখবেন সময় থাকলে।

২| ১৫ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:৩৩

পথিক প্রত্যয় বলেছেন: সবজান্তা হতে গেলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হবে

১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

আবীর চৌধুরী বলেছেন: রেস্টুরেন্টে গেলে কি সব খাবারই খান নাকি? ১০০ রকমের মেন্যু থাকা মানেই সবগুলি চেখে দেখা না। আমি শুধু অপশনগুলি বললাম, বেছে নেওয়ার দায়িত্ব যার যার।

কায়িক পরিশ্রমকে খাটো করে দেখার কারণেই বাংলাদেশের মত দেশগুলির এই দুরবস্থা। সেটা বুঝানোর জন্যই লিখলাম।

বাই দ্যা ওয়ে, আমি নরওয়ে থাকি। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। আমাদের চাইতেও ড্রাইভার, কার্পেন্টার, ক্লিনার, প্লাম্বার, পেইন্টার, কুক প্রভৃতি কাজের চাহিদা বেশি, বেতনও খুব ভালো। আর, হুট করেও এসব পেশায় কেউ ঢুকতে পারে না। লাইসেন্স লাগে, ডিগ্রি লাগে আলাদা। শুনতে অদ্ভুত লেগেছিল প্রথম প্রথম।

আর, আপনি ভালোই বলেছেন। কিন্তু আমি কোন প্রেক্ষাপট ও কোন দেশ থেকে বসে এসব বলছি ধরতে না পারার কারণেই আমাকে হয়তো ভুল বুঝেছেন।
বিসিএস এক্সাম দিয়েছেন কখনো? দিয়ে কি মনে হয়েছে? ঐ সিলেবাসের কয়টা জিনিস সংশ্লিষ্ট কাজে লাগে? সবজান্তা তৈরি করছে তো আমাদের দেশেরই নোংরা ও বিশ্রি শিক্ষাব্যবস্থা!

এত ভুরি ভুরি উচ্চশিক্ষিত বেকারকে সামাল কিভাবে দিবে এই সমাজ? আর সামনে তো আসছে আরো কঠিন সময়। ২০৪০ এর মধ্যে বিশ্বের ৬০% প্রফেশন বিলুপ্তি পাবে। থাকবে শুধু দুই ধরণের কাজ; যেটা শুধু মানুষই করতে পারে, এবং যেটা মানুষ রোবট বা কম্পিউটারকে দিয়ে করাতে পারে।

বাংলাদেশ কি এজন্য প্রস্তুত?

৩| ১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:২৩

জুন বলেছেন: আপনার লেখাটি আজকের এই যুগে খুবই জরুরি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। হাতের কাযে দক্ষতা সবার জন্য প্রয়োজন।
এই প্রসংগে বলি। আমার গাড়ি চালকের ছেলে যখন এস এস সি পাশ করলো তখন আমি তাকে বারবার বলেছি, "তোমার ছেলেকে কোনো টেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি করে দাও, হাতের কাজ শিখুক। হাতের কাজের কোন বিকল্প নেই "। আর আগে থেকেই বলতো সে মরে গেলেও ছেলেকে ড্রাইভারি শেখাবে না। আই এ, বিএ পাশ করাবে। কোন রকমে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছে আজ চার বছর। কোথাও কাজ পায় না। ড্রাইভিং তো অনেক সন্মানের কাজ, এর চেয়ে নীচু কাজ করছে বিনা বেতনে। ছেলে বলে কোন অফিসে বেতন ছাড়াই একটা টেবলে বসার কাজ পেলেই খুশি হবে, এই সব কাজ তার ভালোলাগে না। এম এ পাশ করে লাখ লাখ বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাবার আয়ে সংসার চলে না বাবাও এখন তাকে নিয়ে পেরেশান।

১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:০২

আবীর চৌধুরী বলেছেন: যাক।
একজন অন্তত বুঝতে পেরেছেন, কি বলতে চেয়েছি।

আমার সিনিয়র কাজিনেরা এখনো বাচ্চাদের মারধর করেন। বকাঝকা করেন। ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-ব্যারিস্টার ইত্যাদি বানানোর প্রেশার। এখন থেকেই।

এই বাচ্চাগুলির কেউই হয়তো মজা করে ট্রাক ড্রাইভার হতে চায়। বাচ্চাসুলভ ভঙ্গিতে কেউ বা বুয়াও হতে চায়। অথচ, বিদেশে এসে দেখছি, এসব কায়িক পরিশ্রমের কাজের সাথে অন্যান্য পেশার কোন রকমের তফাত করে না এরা।

যে দেশ যত উন্নত, সে দেশে পেশা/ডিগ্রিভিত্তিক সামাজিক ব্যবধান তত কম।

এক অঘামূর্খের মন্তব্য পড়ে মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিছু না কিছুতে অবশ্যই পারদর্শী করে তুলতে হবে বাচ্চাদের। কিন্তু আজকাল বাচ্চারা কথাই শুনতে চায় না
সুন্দর লিখেছেন

৫| ১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন কর্মঠ বানাতে?
তবে আগে অবশ্যই লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ বেশি দিতে হবে।

৬| ১৫ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: দরকারী কিছু কথা বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মুভি মানুষের মঙ্গলের চেয়ে অমঙ্গলই বয়ে এনেছে সবচেয়ে বেশী ।

১৭ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:১৯

আবীর চৌধুরী বলেছেন: আমি এতটা গর্দভ নই যে, মুভি দেখে কাজ শিখতে বলবো। কি লিখেছি, অনুগ্রহ করে ঐ অনুচ্ছেদটা আবার পড়ে দেখতে পারেন।

পড়ার পরেও না বুঝলে নিজের মূল্যবান সময় খরচ করে, বিনা পারিশ্রমিকে বুঝিয়ে বলছি।

ধরুন বাংলাদেশে তীব্র একটা ভূমিকম্প হল। ভূমিকম্পের সাথে অনেক জায়গায় বিস্ফোরিত হল, আগুন লাগলো, পানিতে ভেসে গেল। আপনি একজন লেখক, লেখালেখি করেন। বউ-বাচ্চা নিয়ে মোটামুটি কষ্টের সংসার। ভূমিকম্পের সময় আপনারা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন, তাই নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেলেন। কিন্তু গোটা গ্রাম পানির নিচে চলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এদিকে দূর্ঘটনার সময় ঘরের পিলারের সাথে আঘাত পেয়ে আহত হয়েছেন আপনার বয়স্ক মা। কি করবেন এখন?

আপনার পিতা মারা যাওয়ার আগে একটা বড় নৌকা রেখে গিয়েছিলেন, যার কোন ছাদ/ছাউনি নেই। আপনার পিতা কাঠমিস্ত্রী হওয়ার কারণে আপনি কিছু হাতের কাজ পারেন। ঘর থেকে সব টুলস নিলেন। ছাউনি বানালেন। পেশায় লেখক হলেও পড়াশোনা আপনার ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ভাগ্যক্রমে কিছু কাজ পারেন। কোথাও থেকে একটা ভালো মোটর জোগাড় করলেন। বৈঠার পাশাপাশি ক্ষেত্রবিশেষে নৌকা পরিচালনায় মোটরও লাগে। নৌকার মোটরটা সফলতার সাথে সংযুক্ত করলেন। আপনার স্ত্রী নার্স। তিনি আপনার আহত মা ও বাচ্চাকে নিয়ে নৌকায় উঠলেন। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিলেন।

দূর্যোগপরবর্তী পরিস্থিতিতে আপাতত বেঁচে থাকার জন্য আপনাদের ব্যবস্থা হয়ে গেল। বাকিটা সময়ই বলে দিবে।

উপরের ঘটনাটা কাল্পনিক। এইরকম অনেক সম্ভাবনাময় পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে অনেক ডিজাস্টার-রিলেটেড সিনেমাতে; অর্থাৎ প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা মানবসৃষ্ট দূর্যোগের পরে কিভাবে মানুষ সামাল দিচ্ছে; কি কি যোগ্যা/দক্ষতা/গুণ থাকার কারণে সভ্যতাকে সামনে নিয়ে যেতে পারছে। আমি শুধু একটি তুচ্ছ উদাহরণ দিলাম।

এই একই পলিসি বিশ্বের উন্নত সারির কয়েকটা দেশ সিক্রেটলি ফলো করে। নিজ নিজ দেশের প্রত্যেক সেক্টরের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্রফেশনালদেরকে এসেট অর্থাৎ সম্পদ বিবেচনা করা হয়; তাদের ব্যাপারে খুব সতর্ক ও যত্নবান হয়ে থাকে রাষ্ট্র ও সরকার।

বুঝাতে পেরেছি?
মুভি দেখতে বলিনি। কয়েকটি বিশেষ মুভি থেকে, বিশেষ কয়েকটি ব্যাপার, খেয়াল করতে বলেছি!

৮| ১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪৭

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: হাতে কলমে কাজ শেখা আর শেখানোর ব্যাপারে সহমত। কিন্তু সিনেমার ব্যাপারে দ্বিমত। তার চেয়ে বই ভালো শিক্ষক।

১৭ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:২৮

আবীর চৌধুরী বলেছেন: আমি এতটা গর্দভ নই যে, মুভি দেখে কাজ শিখতে বলবো। কি লিখেছি, অনুগ্রহ করে ঐ অনুচ্ছেদটা আবার পড়ে দেখতে পারেন।

পড়ার পরেও না বুঝলে নিজের মূল্যবান সময় খরচ করে, বিনা পারিশ্রমিকে বুঝিয়ে বলছি।

ধরুন বাংলাদেশে তীব্র একটা ভূমিকম্প হল। ভূমিকম্পের সাথে অনেক জায়গায় বিস্ফোরিত হল, আগুন লাগলো, পানিতে ভেসে গেল। আপনি একজন লেখক, লেখালেখি করেন। বউ-বাচ্চা নিয়ে মোটামুটি কষ্টের সংসার। ভূমিকম্পের সময় আপনারা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন, তাই নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেলেন। কিন্তু গোটা গ্রাম পানির নিচে চলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এদিকে দূর্ঘটনার সময় ঘরের পিলারের সাথে আঘাত পেয়ে আহত হয়েছেন আপনার বয়স্ক মা। কি করবেন এখন?

আপনার পিতা মারা যাওয়ার আগে একটা বড় নৌকা রেখে গিয়েছিলেন, যার কোন ছাদ/ছাউনি নেই। আপনার পিতা কাঠমিস্ত্রী হওয়ার কারণে আপনি কিছু হাতের কাজ পারেন। ঘর থেকে সব টুলস নিলেন। ছাউনি বানালেন। পেশায় লেখক হলেও পড়াশোনা আপনার ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ভাগ্যক্রমে কিছু কাজ পারেন। কোথাও থেকে একটা ভালো মোটর জোগাড় করলেন। বৈঠার পাশাপাশি ক্ষেত্রবিশেষে নৌকা পরিচালনায় মোটরও লাগে। নৌকার মোটরটা সফলতার সাথে সংযুক্ত করলেন। আপনার স্ত্রী নার্স। তিনি আপনার আহত মা ও বাচ্চাকে নিয়ে নৌকায় উঠলেন। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিলেন।

দূর্যোগপরবর্তী পরিস্থিতিতে আপাতত বেঁচে থাকার জন্য আপনাদের ব্যবস্থা হয়ে গেল। বাকিটা সময়ই বলে দিবে।

উপরের ঘটনাটা কাল্পনিক। এইরকম অনেক সম্ভাবনাময় পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে অনেক ডিজাস্টার-রিলেটেড সিনেমাতে; অর্থাৎ প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা মানবসৃষ্ট দূর্যোগের পরে কিভাবে মানুষ সামাল দিচ্ছে; কি কি যোগ্যা/দক্ষতা/গুণ থাকার কারণে সভ্যতাকে সামনে নিয়ে যেতে পারছে। আমি শুধু একটি তুচ্ছ উদাহরণ দিলাম।

এই একই পলিসি বিশ্বের উন্নত সারির কয়েকটা দেশ সিক্রেটলি ফলো করে। নিজ নিজ দেশের প্রত্যেক সেক্টরের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্রফেশনালদেরকে এসেট অর্থাৎ সম্পদ বিবেচনা করা হয়; তাদের ব্যাপারে খুব সতর্ক ও যত্নবান হয়ে থাকে রাষ্ট্র ও সরকার।

বুঝাতে পেরেছি?
মুভি দেখতে বলিনি। কয়েকটি বিশেষ মুভি থেকে, বিশেষ কয়েকটি ব্যাপার, খেয়াল করতে বলেছি!

উপরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে যে জবাব দিয়েছিলাম, সেটাই কপি-পেস্ট করে আপনাকে দিলাম। কিন্তু অতিরিক্ত দুটো কথা না বললেই নয়।

আমি আমার মূল লেখাতে, শিক্ষার উপকরণ হিসেবে মুভির ফায়দা নিয়ে কিছু লিখিনি, বা বলতে চাইনি! প্রচণ্ড রকমের ভুল মেসেজ পেয়েছেন আমার লেখা থেকে!
বইয়ের কোন বিকল্প হয় না। কিন্তু বই জীবন বাঁচাতে, সমাজ গড়তে ও সভ্যতা এগিয়ে নিতে সার্বিক সহায়তা করতে পারেনা, পারেনি, পারবেনা। ইতিহাসের বই পড়ে দেখতে পারেন। আদিম মানুষ থেকে আজকের মানুষ এসেছে বইপড়ুয়াদের হাতে ধরে নয়। কিংবা সিনেমালাভারদের হাতে ধরেও নয়।
ভয়ানক কোন দূর্যোগ ঘটে গেলে, প্রয়োজনীয় কোন জ্ঞান বা দক্ষতা রপ্ত করার জন্য, কোন বইও পাবেন না, কোন যন্ত্রও পাবেন না যেখানে ইন্টারনেট থাকবে। তখন থাকবে শুধু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া কিছু মানুষ, তাদের সুস্থ শরীর, এবং মগজে যা কিছু আছে।

আপনার বাচ্চা যদি বাসায় বই না পড়ে, তাতে বিশেষ কোন ক্ষতি নেই। তবে সে যদি গাছে চড়তে না জানে, বা সাঁতার না জানে, বা মশালে আগুন জ্বালাতে না জানে, তবে বিশেষ ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। বাচ্চা বলতে দুধের বাচ্চা বুঝাইনি। ১৬ বছরের মানুষও কিন্তু বাচ্চা।
আর, কি শিখতে হবে বা শিখাতে হবে, সেটা দুটি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করতে পারেন। একটি হচ্ছে, আদিম মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে। আরেকটি আধুনিক মানুষের দিক থেকে। এই যেমন, আপনি যদি ডাক্তার না হয়েও কিভাবে ক্ষতস্থান পরিস্কার করতে পারেন, এবং ইনফেকশন ছাড়া সিলাই করতে পারেন, সেটা অনেক বড় একটা অর্জন।

৯| ১৭ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:৩০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: হ্যাকিং শিখতে বলবেন না B-))

১৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৭:০৬

আবীর চৌধুরী বলেছেন: জব্বর বলসেন!

১০| ১৭ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:৫৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সবই তো কইলেন অভিজ্ঞতাই মূল সেটাই কইলেন না B-))

১৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৭:০৮

আবীর চৌধুরী বলেছেন: অভিজ্ঞতার কথা আর বইলেন না। বড়ই বিচিত্র এই অভিজ্ঞতা ক্রাইটেরিয়াটা।
অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য যে কাজ করতে হবে, সেই কাজটা পাওয়ার জন্য অভিজ্ঞতাটা কই পাবো, সেটা বিশ্বে কেউই উত্তর দিতে পারলো না।

১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

আপনার সাথে দ্বিমত করার কোন কারণ খুজে পাচ্ছি না। কানাডা আমেকার কম্পিউটার সাইন্স এর গ্রাজুয়েটরা যেখানে ঘন্টা প্রতি আয় করে ৩০ থেকে ৫০ ডলার সেখানে গাড়ির মেকানিকের ঘন্টা প্রতি মূল্য সর্বনিম্ন ৭০-৮০ ডলার। টপ ক্লাস প্লাম্বারের ঘন্টা প্রতি মূল্য ২০০ ডলার। আমি কানাডায় আসার পরে দ্বিতীয় বছর যে বড়িতে ভারা থাকতাম সেই বাড়ি স্বামি স্ত্রীর বয়স ছিলো আমার সমবয়সী (২৫-৩০)। মেয়েটি ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে পড়ত আর ছেলেটি ছিলো প্লাম্বার। ছেলে ঐ বয়সে দুইটি বাড়ির মালিক।

১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২১

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার চিন্তা। ভবিষ্যৎ নিয়ে যা বললেন মন্তব্যে তাই হবে হয়তো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.