নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতে ক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের এমপিঃ খবর, ভিডিও লিংক, এবং আমার প্রতিক্রিয়া

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১১

সভাস্থলে ঢুকতে বাঁধা; ভারতে ক্ষোভের মুখে রাউজানের এমপি ফজলে করিম চৌধুরী, তবে মুখ খুলেন নি তিনি....

ভারতের বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার বাংলা সংস্করণ এইসময় ডট কমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভারতের মধ্যমগ্রামের নজরুল মঞ্চে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মাস্টারদা সূর্যসেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের সাংসদ করিম চৌধুরীর। কিন্তু তার সেখানে পৌঁছানোর আগেই তার উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে একটি সংগঠনের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা। অভিযোগ, তারা সকলেই বিজেপি সমর্থিত।

সাংসদকে ‘রাজাকার’ এবং ‘গণহত্যাকারী’ আখ্যা দিয়ে, কালো পতাকা নিয়ে সেখানে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে উপস্থিত হন প্রায় জনা পঞ্চাশেক বিজেপি সমর্থক। তাদের দাবি, অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত হলেও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশের সাংসদকে তারা যোগ দিতে দেবেন না।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জমায়েতকারীদের অভিযোগ, ‘এই সাংসদ বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাই তারা চান না ভারত থেকে তাকে কোনো সংবর্ধনা দেওয়া হোক, তাই তারা জমায়েত করেছিল।’

এই সময় অনুষ্ঠানের বেশ কয়েকজন আয়োজক মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষের শরণাপন্ন হন। এর পরেই বিধায়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, উল্টো বিক্ষোভকারীরাই তার ওপর চড়াও হয়।

এই ঘটনা সামনে আসতেই সংগঠনের এক পক্ষ বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন বারাসতের এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী। শেষে পুলিশি নিরাপত্তায় অনুষ্ঠান মঞ্চে নিয়ে আসা হয় সাংসদকে।

ওইদিন সন্ধ্যা ছটায় অনুষ্ঠান শুরুর কথা থাকলেও, নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় একঘণ্টা পরে ব্যাপক পুলিশি উপস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান শুরু করতে পারেন আয়োজকরা। বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশের সাংসদ এখানে আমন্ত্রিত হয়েছেন। মধ্যমগ্রাম পুরসভা প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া দিয়েছে। কিন্তু সংগঠনের কেউ কেউ বলছেন, তাকে ঢুকতে দেবেন না। এর সঙ্গে আমাদের দেশের এবং রাজ্যের সম্মান জড়িয়ে আছে।’

বিধায়ক রথীন ঘোষ আরও বলেন, ‘ওই সংগঠনের নিজেদের ঝামেলার কারণেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিলো কিছু মানুষ।’

মাস্টারদা সূর্যসেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে তাপস চৌধুরী বলেন, ‘এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
https://www.facebook.com/deshjog.tv/videos/388441371827050/

-----------------------------------------------------------------------------------------

এই রকম ঘটনাগুলি দেখলে এখনো প্রশ্ন জাগে,
জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্ব কি ভুল ছিল?
পাকিস্তান-ভারত সৃষ্টির জন্য বৃটিশদের কিংবা জিন্নাহকে গালি দেওয়া হয়, দায়ী করা হয়।
কিন্তু, এক হাতে তো তালি বাজে নি।

বাংলাদেশের হিন্দুরা সবসময় ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতনের সাথে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের তুলনা করেন; তুলনা করে মোদী সরকারের সব অপকর্মকে ভ্যালিড বলতে চান। অথচ অমর্ত্য সেনের মত মানুষেরাই সাক্ষ্য দেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে লক্ষগুণ এগিয়ে আছে। আমি আমার সারাজীবনেও তা-ই দেখে এসেছি।

আমাদের দেশে মুসলিমেরা একটু ভারতবিরোধী বা ভারতের কোন সমালোচনা করলে, কিংবা ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কোন মন্তব্য করলে তাদেরকে পাকিস্তানের দালাল বা পাকিস্তানে চলে যা বলে গালি দেওয়া হয়। অথচ, বাংলাদেশের মুসলিমেরা পাকিস্তানে কোন কারণেই ভ্রমণ করে না, পাকিস্তানের কোন পণ্য বা সেবার উপর নির্ভর করে না, এমনকি পাকিস্তানের সরকার ও জনগণও বাংলাদেশের মুসলিমদের নিয়ে কোন মন্তব্য করে না।

কিন্তু সবসময়ই দেখা যায় যে, ভারতের কট্টর হিন্দুরা বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে খুব চিন্তিত; বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের হস্তক্ষেপ করা লাগে। যেন বাংলাদেশের হিন্দুরা তাদেরই নাগরিক; অথচ ভারতের সব মুসলিমেরা বাংলাদেশের নতুবা পাকিস্তানের নাগরিক!! একইভাবে, বাংলাদেশের সিংহভাগ হিন্দুদের নিজেদের বা কোন না কোন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বসতবাড়ি ও ব্যবসা আছে ভারতে। যেকোন প্রয়োজনে তারা নিয়মিত ভারতে যাতায়াত করে।

এইরকম বিপরীতমুখিতা আর কত দেখবো?

মুসলিমদের সাথে গোটা বিশ্বজুড়ে এরকম করা হচ্ছে। তারপরেও কেন "যত দোষ নন্দ ঘোষ"?

শুধু রাউজান বা চট্টগ্রামে না, গোটা বাংলাদেশে (প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চল ছাড়া) যেকোন সংখ্যালঘু (বিশেষত হিন্দু)-কে মোটামুটি অলিখিতভাবে ভিআইপি নাগরিক মনে করা হয়। কারণ, সামান্য কিছু ব্যত্যায় ঘটলেই তারা সেটাকে সংখ্যালঘু অবমাননা/অবহেলা/নির্যাতন হিসেবে নিয়ে নিতে পারে; এই ভয়ে। চাকরি, ব্যবসা, নাগরিক সুবিধা- সবখানে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তারপরেও কেন এসব ঘটছে?!

বাংলাদেশের সরকারের মেরুদণ্ডহীনতা, আওয়ামীলীগের সামগ্রিক পদলেহনমুখিতা, এখন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভগ্নদশায় রূপ নিচ্ছে। রাজাকার ট্যাগ লাগানো খেলা এই বাংলাদেশেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হয়েছিল। যে এমপিকে রাজাকার হিসেবে আখ্যায়িত করা হল, গণহত্যাকারী বলা হল, সেই এমপি মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন কচি টিনেজার। রাজাকার শব্দের সংশ্লিষ্টতা মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায়।

এই এমপি নিজের যোগ্যতা, বিশ্বস্ততা ও আন্তরিকতা প্রমাণ করতে গিয়ে, নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও বংশের লোকদের উপর অনেক অত্যাচার করেছেন (যারা আওয়ামীবিরোধী রাজনীতি করতো), রক্তের সম্পর্ক নষ্ট করেছেন; শুধু যাতে মানুষ তাকে বিশুদ্ধ আওয়ামীলীগার বিবেচনা করে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ মনে করে। তারপরেও তো শেষ রক্ষা হলো না!

শুধুমাত্র মুসলিম নামধারী এমপি হওয়ার কারণেই কি তার এই অবস্থা? অমুসলিমদের প্রতি সাহায্যপরায়ণ হওয়ার পরেও কি একজন মুসলিম নিজের ধর্ম পালন করতে পারবে না? নাকি তার একই বংশের অন্য কারো দোষের বদলা তার উপরেও নেওয়া হচ্ছে?

মানুষের এই প্রতিহিংসা আর প্রতিশোধপরায়ণতার রাজনীতির শেষ কোথায়? জাতীয় পরিগণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তো এখন এসব শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করছে!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পা'চাটার দল ক্ষমতায় থাকলে এমনটাই হবে।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: মোদি ইচ্ছা করলে এই সমস্যা মুহুর্তের মধ্যে মিটমাট করতে পারে।

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে উহাে ১ পয়সা মুল্য নেই, উহা আবার ভারতে কেন?

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৯

আবীর চৌধুরী বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.